What do you think?
Rate this book


168 pages, Hardcover
First published January 1, 1944
বামুন পরিবারের ছেলে যতীন। বিদ্যার্জন করায় ক'দিন গাঁয়ের লোকের সুনজরে থাকলেও এই গৌরবময় সময় বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অর্জিত জ্ঞান যতীনের দীনতা ঘুচাতে পারে নি। যার ফলে যতীনের স্ত্রী আশালতা সন্তানাদি নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছে। অবশেষে না খেতে পেয়ে অসুখে ভুগে মারা যায় যতীন। আর এখান থেকেই বিভূতি বাবুর অনন্যতা এবং এই উপন্যাসের মূল কাহিনীর শুরু।
মারা যাওয়ার পর যতীন হঠাৎ করেই ঘরে তার শৈশবকালের প্রিয় সখী পুষ্পকে দেখতে পায় অথচ পুষ্প মারা গিয়েছে সে কত বছর হল! ক্ষণকাল পরেই পুষ্পের সহায়তায় ভাল করে বুঝতে পারে- সে মারা গিয়েছে এবং স্বর্গে আছে। ধীরে ধীরে যতীন সব কিছু বুঝতে শুরু করে পুষ্পের সহায়তায়। ওরা আছে তৃতীয় স্তরে। পুষ্পের স্থান যদিও আরও উপরে কিন্তু যতীনের জন্য সে তৃতীয় স্তরেই আছে। মোট সাতটি স্তর; সর্বনিম্ন স্তরের নাম প্রেতলোক যাকে পৃথিবীর ভাষায় নরক বলা হয়। বাদ বাকি অতি উচ্চ স্তরে দেবতাদের আনাগোনা। আর আছেন এক মহাশক্তি- যিনিই সমগ্র মহাবিশ্বের স্রষ্টা। বিভূতি বাবু বিভিন্ন জটিল বিষয়কে দেবযানে তুলে এনেছেন- স্রষ্টা, পুনর্জন্ম, দেহাতীত প্রেমের স্বরূপ, জ্ঞান লাভের মাধ্যমে কিংবা ভক্তির দ্বারা আত্নার পরিশুদ্ধি। তাছাড়া বিভূতি বাবু From the core of human eye to infinity অর্থাৎ এই বিশ্বের সৃষ্টি, জীব, ভিন্ন গ্রহ, নক্ষত্র, বিভিন্ন ছায়াপথ, প্যারালাল ইউনিভার্সের বিভিন্ন বর্ণনা করেছেন