কাজেই দেখাই যাচ্ছে এখন আমাদের স্কুলের কোনো নাম ডাক না থাকতে পারে কিন্তু আজ থেকে পনেরো কিংবা বিশ বছর পরে আমাদের স্কুলে থেকে অনেক বিখ্যাত (কিংবা কুখ্যাত) মানুষ বের হবে। ফুটবল প্লেয়ার, দার্শনিক, সিরিয়াল কিলার, মাদক সম্রাজ্ঞী, নায়িক, পীর, শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাহিত্যিক কিংবা নেতা এরকম অনেক কিছু তৈরী হলেও এই স্কুল থেকে কোনো বৈজ্ঞানিক বের হবার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে দেখা গেল আমাদের হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন খাঁটি বৈজ্ঞানিক বের হওয়ারও একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। তবে এটাকে সম্ভাবনা বলব না আশংকা বলব সেটাও অবশ্যি আমরা এখনো ঠিক জানি না।
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
বইয়ের নামটাই তো অদ্ভুত। বাঘের বাচ্চা, গাধার বাচ্চা... টাইপের কথা তো আমরা অহরহই শুনি। তাই বলে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা!!! সত্যি বলতে বইটার জনরা তে "বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী" লেখা হলেও এখানে বৈজ্ঞানিক টার্ম খুব কমই এসেছে। সাই-ফাই মানেই যে দাঁতভাঙা সব ইকুয়েশন, প্রজেক্ট, ডিডাকশন এনে বইয়ের পৃষ্ঠা মজবুত বানাতে হবে...এমন মাথার দিব্যিও অবশ্য কেউই দেয়নি। সে কারণেই বইটা আমার বেশ প্রিয়। আর, কোনো জিনিস প্রিয় হলে, সে বইয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা যায়না। ত্রুটিগুলোকে এড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
ক্লাস এইটের মিঠুন। চশমা পরা, গম্ভীর একটা ছেলে। শার্টের পকেটে একটা শিশিতে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা নিয়ে ঘোরে। এই ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা বানাতে গিয়ে কত ঝামেলা। এমনকি মিঠুনকে অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়! সে এসে ভর্তি হয় হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়ে। নতুন স্কুলে তার বন্ধু হয় ঝুম্পা, ফারা, বগা ও ইবু।
এই বন্ধুরা মিলে করতে থাকে উদ্ভট সব কাণ্ড। এমনকি আন্তঃস্কুল বিজ্ঞানমেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় তাদের স্কুল। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার কথা সুকৌশলে জেনে যায় উচ্চপদস্থ কিছু মানুষ। এই ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা দিয়ে যদি নিউক্লিয়ার বোমা বানানো হয়, তবে সেটা হবে হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে দশগুণ শক্তিশালী!
মিঠুনদের কাছ থেকে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা কেড়ে নেওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লাগে কুচক্রী কিছু লোক। শেষ পর্যন্ত কি আসলেই এটা মিঠুনদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয় না অন্য কিছু? ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাই বা কী? মিঠুন কীভাবে এটা তৈরি করে? এত প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ‘ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা’ বইটি।
আমার অতি অতি প্রিয় টুকুনজিল-এর মতই লেখকের আরেকটি দুর্দান্ত উপভোগ্য সায়েন্সফিকশন-ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস, যাতে খটমটে সায়েন্টিফিক ব্যাপারস্যাপার কম (যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই) নির্মল হাস্যরস আর কিশোর অ্যাডভেঞ্চার অনেক বেশি, টুকুনজিল-এর মত অতটা মন ছুঁয়ে যাওয়া হৃদয়গ্রাহী আবেগপূর্ণ না হলেও । ছোট একটা মফস্বল শহরের ছোট এক স্কুলের ছোট এক জিনিয়াস কিশোর ঘটনাচক্রে করে ফেলে এক অবিশ্বাস্য আবিষ্কার ("ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা"), আর সেটাকে ঘিরে ঘটতে শুরু করে তুলকালাম সব অদ্ভূতুড়ে কাণ্ড, একদিন যা অবধারিতভাবে নজরে চলে আসে সরকারী গুপ্তচর সংস্থার । সবকিছুতে তার হরিহর একাত্মা সঙ্গিসাথি দুরন্ত সাহসি কিছু বর্ণময় চরিত্রের কিশোর-কিশোরি । ইয়াপ, কমবেশি প্রেডিক্টেবল, মুজাই-র কিশোর উপন্যাসগুলো যারা আমার মত ছোটবেলা থেকে পড়তে পড়তে বড় হয়েছে তাদের কাছে অন্তত, কিন্তু তাতে কি, চিরায়ত মজাদার কাহিনি সঠিক পরিমাপে সঠিক উপায়ে উপস্থাপন করা গেলে তা চিরকালই বিমলানন্দ দান করে । একদিকে যেমন মাঝে মাঝেই হা হা করে সশব্দে হেসে উঠতে বাধ্য হয়েছি, তেমনি আরেকদিকে লেখক যথেষ্ট মুন্সীয়ানার সাথেই কিশোরোপযোগী করে বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন বিষয়গুলো (ডার্ক এনার্জি, কোয়ান্টাম ফিজিক্স, প্লাজমা ইত্যাদি) এমনভাবে তুলে ধরেছেন আর তত্ত্ব হিসেবে গল্পে প্রয়োগ করেছেন যে পুরো ব্যাপারটা গাঁজাখুরির বদলে যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যই লেগেছে, বিজ্ঞানমনষ্ক চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে । যদিও লেখকের জেনারেলাইজেশন করার টেন্ডেন্সিটা আমার আগেও কখনো একেবারেই ভাল লাগত না এখানেও লাগেনি (দামি স্কুলের ছাত্রছাত্রি হলেই সবাই গাড়ি ছাড়া চলাফেরা করবে না, কখনও হাঁটতে হলে সবকিছুতে ঘেন্না প্রকাশ করতে হবে, বড়লোকের ছেলেমেয়ে মানেই ধবধবে ফর্সা গায়ের রং যারা ইংরেজি ছাড়া কথা বলে না, মারকুটে স্কুলটিচার হলেই তার গায়ের রং হবে কুচকুচে কালো আর পাহাড়ের মত মোটা, ধান্দাবাজ লোক মানেই থুতনির নিচে ছাগুলে দাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি)। সব মিলিয়ে অনেকদিন পর জাফর ইকবালের একটা বই পড়ে সেই ছোটবেলার মতোই দারুন মজা পেলাম । তিনি চাইলেই যে এখনো (২০১৩ তো মাত্র কয়েক বছর আগেই) সেই আগের মতো উপাদেয় কিশোর উপন্যাস লিখতে পারেন সেটারই নতুন করে প্রমাণ পেলাম যেন ।
বিঃদ্রঃ বই পড়ার অসহনীয় পরিমানের বিরক্তির উদ্রেক করেছে প্রায় প্রতিটা পৃষ্ঠায় কয়েক হালি করে মুদ্রণবিভ্রাট । সময় প্রকাশনের মতো একটা দেশবরেণ্য পুরনো পাবলিকেশন হাউজের কাছ থেকে এমন নিম্নমানের যথেচ্ছ ছাপার ভুল সর্বস্ব মুদ্রণ আশা করা যায় না ।
ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা,একটি সায়েন্স ফিকশন, পড়তে বেশ ভালোই লেগেছে।অক্সব্রিজ শহরের নামকরা স্কুল যেখানে শহরের বিত্তশালীদের গোলগাল বাচ্চারা পড়ে।অন্যদিকে হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে সমাজের মস্তান,নিমবিত্তদের পোলাপান পড়ে।এখানে লেখক একটু হাই সোসাইটি বাচ্চাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আর গ্রাম গঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকটা তুলে ধুরেছেন।(নিজস্ব মতামত) যায়হোক এই অক্সব্রিজ থেকে মিঠুন নামের এক ছেলে টিসি পেয়ে ভর্তি হয় মহব্বতজান স্কুলে।ছেলেটিকে কেন টিসি দেয়া হলো এই জন্য পড়তে হবে উপন্যাসটি। মিঠুনের আগমনের ফলে মহব্বতজান স্কুলের চিত্র কিছুটা পাল্টে যায়। #উপন্যাসটি ভালো লেগেছে,শেষ অংশের জন্য।বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার কিন্তু আমাদের জন্য আশীর্বাদ নয়, কিছু কিছু অভিশাপও বটে। যদিও সেটা ব্যাবহারকারীর ব্যাবহারের উপর নির্ভর করে। মিঠুন একটি ছোট ছেলে কিন্তু তার চিন্তাভাবনা সত্যিই ব্যতিক্রমী।ব্যাকহোলের বাচ্চার এইরূপ চিরকাল প্রস্থানের জন্য একটু খারাপই লাগে।😁😁
ব্লাকহোলের বাচ্চা পড়ে অনেক আগে সেই ছোট বেলায় জাফর ইকবাল স্যার এর বই গুলো পড়ে যেমন আনন্দ পেতাম সেই রমম লাগল। প্লট শক্তিশালী না, কিন্তু তাতে কি! পড়ার সময় ভালো লাগাটা ছোটবেলার মত আনন্দদায়ক হলে আরকি চাই।
ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা। নাম শুনে মনে হতে পারে ব্ল্যাকহোলের কোন বা��্চা হয়ত পৃথিবীতে ভুল করে চলে এসেছে আর তাকে নিয়েই হয়ত গল্প। প্রথমটা ভুল হলেও পরেরটা আংশিক সত্য।
গল্পটা স্কুল পড়ুয়া কিছু ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে। যাদের অনেকের নাম পড়া শেষ হবার মাত্র ভুলে গেলেও কিছু নাম কিছু নাম ঠিকই মনে থাকে। তাঁদের মধ্যে একজন গল্পের মূল চরিত্র বললে ভূল হবে না মিঠুন। যে কিনা প্রতিদ্বন্দ্বী স্কুল মহব্বতজান স্কুলে ভর্তি হয়, তার স্কুল বিস্ফোরণে যার মূল কারন কিনা মিঠুন নিজে। আর যার ফলাফলে পাওয়া যায় ব্ল্যাকহলের বাচ্চা। বিশাল ব্ল্যাক হলের সমান না বলেই কিংবা শিশিতে ভরে রাখা যায় এত ছোট বলে। এই ব্ল্যাকহোল আর মিঠুনকে নিয়েই স্কুলে চলতে থাকে নিত্য নতুন মজার সব ঘটনা।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ১২৪ পেজের ছোট্ট একটা গল্পের বই। সহজ ভাষায় লেখা। পড়তে একফোটাও ক্লান্তি লাগে না। কিন্তু লেখার কোন গভীরতা নেই।
This book is about a bunch of children who studied in a shitty school together. One of them was a new kid named মিঠুন. He blew up his previous school😂 which was why he ended up in this school. Not to mention he invented something that could be dangerous in the wrong hands yet extraordinary if used for good purposes. Man, this scientist child, মিঠুন is crazier than বল্টু from নাট বল্টু This book was hilarious. I loved the newfound friendship and loyalty between the children. Loved the sci-fi aspect. The book is well-written. Overall, I enjoyed re-reading it.
বইয়ের নাম শুনেই ভাবছিলাম, বিজ্ঞানের কচকচানি। তাই বারবার বইটি সামনে ঘুরঘুর করা স্বত্তেও বইটি পড়ি নি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, এটা সায়েন্স ফিকশন! তাই পড়া শুরু করলাম। নামটাই অদ্ভুত! 'বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী' হলেও, বইটিতে বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু তেমন না। কিশোর উপন্যাসের মতো লেগেছে।
সবচেয়ে মজার ক্যারেক্টার ছিলো ঝুম্পা! -.- আমার থেকে তোহ বেশ লেগেছে। আর বিজ্ঞানমেলার কাহিনীটা ও মজার ছিলো, বিজ্ঞানের মেলার সাথে আমারো এমন মজার মজার ঘটনা আছে। তাই এই জায়গা পড়তে ভালোই লেগেছে। এন্ডিংটা ভালোই ছিলো!
বইটা পড়তে গিয়ে নিজেকে গল্পের হাজী মহব্বতজান স্কুলের ছাত্রদের মতো মনে হয়েছে; কারণ কখনো কোনো সাইন্স প্রজেক্ট করি নাই হা হা। মিঠুনের বৈজ্ঞানিক কথাবার্তাগুলো আসলেই খুব মজার ছিল। বিশেষ করে কাহিনীর শেষের অংশটুকু এক কথায় চমৎকার লেগেছে। বি:দ্রঃ বইটিতে বেশকিছু বানান ভুল ছিল।
অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিলো একটা কিশোর উপন্যাস পড়ি। জনরা পালটে পালটে পড়ার ইচ্ছা আছে বছরময়। সেই সুবাদে কিশোর উপন্যাস পড়ার চিন্তা আসে মাথায়। কিন্তু কোনটা পড়বো কিছুই ঠিক করা ছিল না। আর কার লেখা পড়বো সেটাও মাথায় ছিল না। গুডরিডসে হঠাৎ একদিন দেখলাম বইটার রেটিং দিয়েছেন এক আপু। নাম অনেক আগেই শোনা,পড়ার ইচ্ছাও ছিলো। কিন্তু এবার যখন কিশোর উপন্যাস পড়ার চিন্তা আসে, এরপর মনে মনে স্থির করি এটাই হবে পড়া। তাই কাল ধরে আজ শেষ করে ফেললাম ছোট্টো সুন্দর এই বইখানা। বেশ ভালো ছিল।
প্রথমেই বলি, আমি 5 🌟 খুব কম বইয়েই দেই। কিন্তু এই বইয়ে না দিয়ে পারলাম না।
অনেক দিন পরে জাফর ইকবাল স্যারের একটা বই পড়লাম। মানে কি বলবো,এক রত্তি বোরিং কি জিনিস টের পেলাম না। ক্লাস ৮-৯ এ প্রচুর বই পড়েছি জাফর ইকবালের। তখন প্রতিটা বইয়ের শেষে অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী গুলো এতটা রোমাঞ্চ দিত যে কিছু কিছু বই পড়তে গিয়ে বুক কাঁপত। এর পরে না জানি কি হয়! এই বইটা পড়ার সময় মনে হলো আমি সেই আগের মত হয়ে গেছি।
“ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা" বইটা যদিও সায়েন্স ফিকশন জনরার তবুও এটা বিজ্ঞান না জানা ব্যাক্তিও খুব সাদরে গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস। মিঠুন একটা ছোট ব্ল্যাকহোল বা ‘ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা’তৈরি করেছিল। সেটা নিয়েই এই বইয়ের কাহিনি। লেখক বইটিতে ডার্ক এনার্জি, বোজন-মেসন, ফ্রি এনার্জি রিলিজিং-এরকম অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক কথাও বলেছেন। এসব কঠিন কথা বাদ দিলেও পড়ায় এতটুকু মজায় ছেদ পড়বে না। এছাড়া স্কুলের নামগুলো যথেষ্ট মজার। হাজী মহব্বত আলী হাই স্কুল । আবার অক্সব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এছাড়া বইটা পরে বেশ কিছু জায়গায় হেসেছি প্রাণখুলে। “ইন্টেলিজেন্সের লোকদের যখন জনগন ছেলেধরা ভেবে ‘ধর শালাদের' বলে পিটুনি দেয়,তখন এমনেই হাসি উঠে।" বইতে মেঘের চলাচলে সৌন্দর্য এবং উপর থেকে নদী ও ধানের মাঠের সৌন্দর্য এমনকি মেঘের ভিতরের অনুভূতি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছে।
এককথায় বলা যায় বইটা আপনাকে নিরাশ করবে না যদি আপনি কিশোর উপন্যাস টাইপ বই পছন্দ করেন। একেক জনের কাছে একেকরকম মনে হতে পারে। কিন্তু আমার কাছে খটমটে সায়েন্স ফিকশন বইয়ের সময়ে বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার,স্কুল,পরিবার এমনকি সায়েন্স সব মিলিয়ে বইটা খুব ভালোই বলবো।
ইদানিং কালে লেখকের কিশোর অথবা প্রি-কিশোর গল্পগুলো পড়ে মনে হয় উনার শুধু এই জাতীয় উপন্যাসই লেখা উচিত। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা একটি নিখাদ আনন্দ লাভের বই। বাচ্চাদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার লেখক ভালোই বোঝেন। বইটি মূলত একটি পিছিয়ে পড়া ও গুরুত্ব না পাওয়া স্কুলে অতি ফাঁকিবাজ কিন্তু দস্যিপনায় ব্যস্ত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে হঠাৎ বিজ্ঞান মনস্ক না বলে ক্ষুদে বিজ্ঞানী ছাত্রের আগমন ও পরবর্তী সেই বিশেষ ছাত্রের বানানো ব্লাকহোলের বাচ্চা নিয়ে অভিযান ও পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে পুরো গল্প।
বইটির সাথে বাস্তবতার ফারাক অনেক বেশি কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা গুলো সঠিক। তারপরও ব্যাখ্যা গুলো যদি-কিন্তু থেকে যায়। পাঠক আশা করি ঐদিকে মনোযোগ দিবেন না কারণ বইটি মূলত বাচ্চা/ কিশোরদের জন্য লেখা। আর প্রাপ্তবয়স্কদের কিশোর বয়সের স্মৃতি মনে করানোর জন্য লেখা।
লেখক বরাবরের মতোই গল্পের হাসি ঠাট্টার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বার্তা দেবার চেষ্টা করেছেন। #ধূসরকল্পনা
সাধারণ যে পদার্থ আছে যেটা যদি অনেক বেশি হয়ে যায় তাহলে নিজের আকর্ষণে ভেঙে -চুরে ব্লাক হোলে পরিণত হয়ে যায়। আমাদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মাত্র ৪ ভাগ পদার্থ আমরা দেখতে পাই, বাকি যে ৯৬ ভাগ আমরা দেখতে পাই না সেগুলোকেই এক্সপ্লোশনসহ প্রচন্ড চাপের মাধ্যমে প্রটাগনিস্ট মিঠুন এক ধরণের ব্লাকিওন অথবা এনার্জি রিলিজিং পার্টিকেল তৈরি করে ফেলে যেটির পরে নাম দেয় "ব্লাকহোলের বাচ্চা"। বইতে গতানুগতিক���ার বাইরে গিয়ে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতাও মিঠুনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই যেমন - সবাই পরীক্ষায় লিখেছে পরমানুর ভিতরে থাকে নিউক্লিয়াস বাইরে থাকে ইলেকট্রন এই সব । কিন্তু মিঠুন লিখেছে কোয়ার্কের কথা। আপ ডাউন কোয়ার্ক আর তাদের এন্টি পার্টিকেল দিয়ে সবকিছু তৈরী হয়েছে। অর্থাৎ আধুনিক ধারণা সম্পর্কে জ্ঞাত সে এবং ফিকশনের শেষাংশে আমরা দেখতে পাই মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে সে " ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা"কে ধবংস করে ফেলে কারণ ইলেকট্রিক ফিল্ড পেলেই এটির ভর শক্তিতে পরিণত হচ্ছিলো যে নীতিতে শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি করা যেত। সব মিলিয়ে ফিকশনের আড়ালে কিছুটা পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা পাবার জন্য হলেও বইটির জুড়ি ছিলো না।
This entire review has been hidden because of spoilers.
ক্লাস এইটের মিঠুন। চশমা পরা, গম্ভীর একটা ছেলে। যার শার্টের পকেটে একটা শিশিতে আছে ছোটো ব্ল্যাকহোল।এই ব্ল্যাকহোল বানাতে গিয়ে মিঠুনকে অক্সব্রীজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হওয়ায় সে এসে ভর্তি হয় হাজী মহব্বতজান উচ্চ বিদ্যালয়ে। নতুন স্কুলে তার বন্ধু হয় ঝুম্পা, ফারা, বগা ও ইবু।ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার খাতিরে আন্তঃস্কুল বিজ্ঞানমেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় তাদের স্কুল। ব্ল্যাকহোলের বাচ্চার কথা সুকৌশলে জেনে যায় উচ্চপদস্থ কিছু মানুষ। এই ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা দিয়ে যদি নিউক্লিয়ার বোমা বানানো হয়, তবে সেটা হবে হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে দশগুণ।শক্তিশালী ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা কেড়ে নেওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লাগে কুচক্রী কিছু লোক। শেষ পর্যন্ত মিঠুন তাই রকেটে করে ব্ল্যাকহোলের বাচ্চাকে পাঠিয়ে দেয় মহাকাশে।
It is about the curious boy Mithun who knows about many important theory of science. He tried to create black hole in the laboratory of his renowned school and make an accident. So, the school suspend him and give him tc. And he get admit into a normal school, where he find a group of friends who helps him in his science research. He invent a thing that is very powerful and for that thing he and his friends faces many trouble.
Loved the book. Actually, I don’t I found the book in my cousin’s book shelf. He got it as a prize from school. I like reading books but I don’t like find much books because nobody in my family reads books. And I’m a jobless fellow, where will I get the money to buy books. Anyway, so o found the book and it says it’s written by him. I mean that’s got to be good, right!! Then I read it and I wanna read more of his books. Too good book.
রাত ১২: ৫৫ বাজে । বই পড়তে পড়তে সময়ের খেয়ালই ছিল না। জাফর ইকবাল স্যার কে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি বই লেখার জন্য।আর আমার ক্ষুদে বিজ্ঞানীর ( মিঠুনের) জন্য অনেক গর্ব হচ্ছে। বস্তুত আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে যদি বিজ্ঞান চর্চার আরো ভালো ব্যবস্থা থাকতো আর ছেলেমেয়েরা অবাধে সেখানে গবেষণা করতে পারতো তবে তারা ব্ল্যাকহোলের বাচ্চা তৈরি করতে না পারলেও অনেক কিছু করতে পারতো ।
পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চার কাছে বিজ্ঞান মনে মহাকাশ। কিন্তু এই সৌরজগতে ব্ল্যাকহোল কি জিনিস তা অজানা। আর তখন নতুন বিষয় জানার প্রতি যে আগ্রহ তৈরি হয় সেটা আমাকে বাধ্য করে এই বিষয়গুলো বুঝতে ও জানতে। সেই আগ্রহ নিয়েই বইটি পড়া। ছোটদের জন্য অবস্যই সেরা একটা বই।