রাশা সারা শরীর পানিতে ডু্বিয়ে কটুরিপানার মাঝে তার মাথাটা একটুখানি বের করে শুয়েছিল, মতি আর জিতুর গলার স্বর শুনে সে সোজা হয়ে বসল। গলার স্বরটা যখন আরো একটু স্পষ্ট হলো তখন সে পানি থেকে বের হয়ে এলো, তার সমস্ত শরীরে কাদা, পানিতে ডুবে থেকে তার চোখ লাল, মুখ রক্তশূন্য। মতি আর জিতু রাশাকে ডাকতে ডাকতে ছুটে যেতে যেতে হঠাৎ করে রাশাকে দেখতে পায়, তখন তারা চিৎকার করে নদীতে তীরে নেমে এসে তাকে জাগটে ধরে ফেলল! মতি রাশাকে শক্ত করে ধরে বলল, ‘রাশা আপু! রাশা আপু তুমি বেঁচে আছ? তুমি বেঁচে আছ রাশা আপু?”
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
এই পৃথিবীতে একটি শিশুর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান হলো তার পরিবার। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্বজন হচ্ছে তার বাবা মা। কিন্তু একটি শিশু যখন আবিষ্কার করে পৃথিবীর পরম নির্ভরযোগ্য আশ্রয়ইটিই সে হারাতে যাচ্ছে চিরতরে, তখন সে দুশ্চিন্তা এবং ভয়ের এক মহাসমুদ্রে পড়ে যায়। রাশা নামের মেয়েটিও এমন এক মহাসমুদ্রে আবিষ্কার করে নিজেকে। বাবা মার ডিভোর্স হয়ে যাবার পর তাকে রেখে আসা হয় তার আধপাগলা নানির কাছে গহীন এবং অখ্যাত এক গ্রামে। যে গ্রামে ইলেকট্রিসিটি নেই, নেই কোনো ভালো স্কুল। রাশা আত্মহত্যার যত উপায় থাকে সব জড়ো করতে থাকে সময় এলে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু তার আত্মহত্যা করাটা পিছিয়ে যায়। আস্তে আস্তে এমনকিছু ঘটনা ঘটতে থাকে যখন তার বেঁচে থাকাটা অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে। এবং শেষে যখন তার ভুবন ভরে ওঠে সফলতায়, তখনই তার ওপর আসে এক রাজাকারের মরণ আঘাত। তারপর? তারপরেরটুকু জানতে হলে পড়তে হবে বইটি।
একটা কথা বলতেই হবে যে জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইতেও কিছু ব্যাপার ছিলো গতানুগতিক। কিন্তু তবু কাহিনীর ভিন্নতা এবং উপস্থাপনার গুণে উপন্যাসটি হয়েছে উপভোগ্য। কিছু কিছু জায়গার বর্ণনা এত্ত মজার যে শব্দ করে হেসেছি। কিছু জায়গা পড়ে গর্ব অনুভব করেছি। আর আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এটাতে পরিবার, এ্যাডভেঞ্চার এবং দেশপ্রমের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে।
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর যে কোন লেখার একটা চমৎকার দিক হচ্ছে সব সময় আশা না ছেড়ে সংগ্রাম করে লড়াই যুদ্ধ করে তার পেছনে ছুটা। নিজের অবস্থানে শক্ত হয়ে এগিয়ে চলার গল্প। রাশাও এর ব্যাতিক্রম নয়। পরিচিত পরিসমাপ্তি বা পরিচিত ঘরনার ঘটনার সঞ্চারণ স্যারের অন্য লেখা গুলোর সাথে মিলালে এখানেও একই দেখা যাবে। কিন্তু তারপরেও পড়ার সময়কার যে আবেগটা তার কোন পরিচিত পুরনো লেখা পড়ার তৈরি হয়েছিল। এখানেও তেমন করেছে। কোন গল্প বা উপন্যাস পরে যদি এই রকম অনুভূতির জন্ম হয় তাহলেই সেটা আমার কাছে সেরা লেখা। সাহিত্য মান আছে নাকি নেই বা পরিচিত ঘরনার নাকি সেটা নিয়ে মাথা ব্যাথা ছিল না কোন কালে, এখনো নাই। শেষ দুটি লাইন কি মনে করে যেন লিখলাম। দিন কয়েক আগে এক জনের সাথে সাহিত্যর মান্দন্ড নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তাকে এই কথা গুলো বলেছিলাম। এখন এই বইয়ের রিভিউতে লিখে দিলাম। সর্বোপরি রাশা ভালো লেগেছে।
আপনার কেমন জীবন পছন্দ, শহরের আধুনিকতা আর জীবনের কোলাহল, নাকি গ্রামে প্রকৃতিকে ভালোবেসে আর সংগ্রাম করে বেচেঁ থাকা?
মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের রাশা বইটা দিয়েই মূলত আমার বই পড়ার নেশা শুরু হয়, সেই ক্লাস ফোর এ। শহরের সুন্দর গোছানো পরিবেশে বড় হওয়া একটি মেয়ে যখন পরিস্থিতির কারণে অজ পাড়াগাঁয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নানীর কাছে চলে আসে, তখন কেমন হতে পারে তার জীবন? কিভাবে রাশা তার নতুন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে?
এই গল্পটিতে সমাজের বেশ কিছু প্রিয় - অপ্রিয় সত্য তুলে ধরা হয়েছে, খুবই সাবলীল ভঙ্গিতে। গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের অবহেলা, বাল্যবিবাহ, নানারকম কুসংস্কার, সহপাঠীদের মধ্যে বন্ধুত্ব, ক্ষমতার অপব্যবহার, আর অবশ্যই জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য বইয়ের মত মুক্তিযুদ্ধ প্রেক্ষাপট তো রয়েছেই। প্রথম যখন পড়েছিলাম, এতকিছু আসলে ছোট্ট মস্তিষ্কে ধরতে পারিনি, তাই বুঝিও নি। কিন্তু এই বইটা এরপর অনেক বার পড়া হয়েছে, এবং প্রতিবারই নতুন নতুন বিষয় অবাক করেছে।
বরাবরই জাফর ইকবাল স্যারের ভক্ত, বইয়ে কোনো খুঁত পাইনি, না পড়ার কোনো কারণও পাইনি। " সব বইই এক রকম হয়" কথাটার সঙ্গে আমি কখনোই পুরোপুরি একমত হতে পারিনি।
বাবা মা এর একমাত্র সন্তান হলেও আদরের নয় রাশা। বনিবনা না হওয়ায় বাবা মা এর ছাড়াছড়ি হয়ে যায় রাশার। মা এর সাথেই ভাগে পড়ে রাশার। বাবা বিয়ে করে কানাডায় চলে যায়। মাও তাকে দেখতে পারে না এখন, বোঝা মনে করে। কয়েকদিন পর মাও বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। না এবার আর রাশার ঠাই হয়নি মা এর সাথে। মা তাকে তার পাগলী নানীর কাছে রেখে যায় এক অজ পাড়া গ্রামে। যে গ্রামে বিদ্যুৎ নাই। ৩ কিমি হেটে স্কুলে যেতে হয় আর বর্ষাকালে পথঘাট সব ডুবে যায়।
গ্রামে নতুন জীবন শুরু হয় এই পরিবেশে অনভস্থ্য রাশার। অসম্ভব ব্রাইট মেয়ে সে। কিন্তু এখানে এসে পড়াশোনাই লাটে ওঠার যোগাড় হল। সে দেখে যে স্কুলে তার ভর্তি হবার কথা সেটার নাম গ্রামের রাজাকারের নামে। গ্রামে প্রতিদিন নিত্যনতুন ঘটনা ঘটতে থাকে আর এই সবের মধ্যমনি হয়ে থাকে রাশা, আর হ্যা বাকি সব বইয়ের মতনও বই এর শেষ ভাগে এসে একটা ছোট খাট অ্যাডভেঞ্চার আছেই।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আমি তপুর সাথে থিম অনেকটাই মেলে, প্যারেন্টেসের অবহেলা, অলিম্পিয়ার্ড, বন্ধুদের সাহায্য ইত্যাদি। এক কুমিরকে একটু রঙ মাখায়ে দেখানোর মতন অবস্থা।
তেমন নূতন কিছু নেই। থোড় বড়ি খাড়া-ই, বলা যায়। ম্যাথ কিংবা গণিত অলিম্পিয়াডের এরকম একটা অংশ 'আমি তপু'তেও ছিলো। রাজাকারের নাম বলে স্কুলের নাম লিখতে অস্বীকার করা আর দল পাকিয়ে ক্লাসমেটের বিয়ে ভেঙে দেওয়াটা অবশ্যই প্লাসপয়েন্ট।
'অনেকের বাবা-মা এসেছে, স্যার-ম্যাডামরা এসেছেন, তারা মিলে গল্প করতে করতে খাচ্ছে। শুধু সে একা, মাঠের এক কোনায় বসে খাচ্ছে। প্রায় সাথে সাথেই রাশা ভুরু কুঁচকে ভাবলো, মন খারাপ হলে মানুষ দীর্ঘশ্বাস কেন ফেলে? দীর্ঘশ্বাস হচ্ছে ফুসফুসের ভেতর আটকে থাকা সব বাতাস জোর করে বের করে দেওয়া-শুধু মন খারাপ হলে এটা করে, অন্যসময় কেন করে না?'
বিশেষত এই অংশটা পড়তে গিয়ে ব্রোকেন ফ্যামিলির একটা কিশোরির সেই মলিন মুখ কল্পনা করে খুব মন খারাপ হয়েছিল।
ক্লাস শেষে বান্ধবীকে বলেছিলাম সুন্দর একটা বই নিয়ে আসিস তো। পরের দিন এটা হাতে ধরিয়ে দিলো। নাম আর প্রচ্ছদ টা বেশ। ঐদিনই পুরো টা পড়লাম। ভালো লেগেছে অনেক। রাশার মতো ছোট একটা মেয়ে এভাবে সবকিছু সামলে উঠবে এতটাও আশা করি নি। পানিতে ঐ ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে ডুবে থাকা আর বাল্যবিবাহ আটকে দেয়ার ব্যাপারটা রাশার জন্য সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ওর জন্য খারাপ লেগেছে ,এই বয়সটা মা বাবার কাছে থেকে আদর পাবার জন্য । কিন্তু তারা কেউই ছোট্ট মেয়েটির কথা আদৌ ভেবেছে কিনা! তবে রাশা চেষ্টা করে মানিয়ে নিয়েছে তার নানুর সাথে, এই আধা পাগল মানুষটাও চেষ্টা করেছে রাশাকে সাধ্যমতো ভালবাসার দেয়ার জন্য।
এই উপন্যাসের শুরুটা "আমি তপু" উপন্যাসের মতো।তার বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়।বাবা বিয়ে করে চলে যায় কানাডায়।রাশাকে তার মা পাগলি নানির কাছে রেখে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়।একজন শহরের মেয়ে কীভাবে গ্রামের সাথে মিশে গেল,তা জানাতেই এই পুরো উপন্যাসের কাহিনি আবর্তন হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ভালোবাসা,সাঁতার কাটা,গাছে চড়া,বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সামান্য অ্যাডভেঞ্চারও আছে রাশার জীবন ঘুরে।
আহা!আমার সেই ছদ্মনাম! রাশা💜 সত্যি আমি যখন স্কুলের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে আমার ছদ্মনাম লিখে যাচ্ছিলাম তখন ক্লাস সিক্সের পিচ্চিগুলা এটা খেয়াল করছিল।তখন ক্লাস টেনে পড়ি। মাথায় এক অদ্ভুত ভুত চাপলো।কয়দিন পর স্কুল ত্যাগ করবো স্কুলে কিছু স্মৃতি রাখা দরকার আমাদের।সেই ছেলেমানুষী চিন্তা থেকেই দেয়ালে দেয়ালে রাশা ক্লাস টেন ২০১৫ লিখে রাখতাম!🙂 এই বইটার সাথে আসলে আমার কিছু মায়াময় স্মৃতি জড়িয়ে আছে।মনে হচ্ছে আবার সেই দিনগুলোতে ফিরে যদি যাওয়া যেত ক্ষনিকের জন্য! রাশা গ্রামের সব বাচ্চার পছন্দের ছিল।সবাই রাশাপু ডাকতো।💙 মজার ব্যাপার কি একদিন আমাকে রাস্তায় কেউ একজন রাশাপু বলে ডাক দিল। স্কুল থেকে চলে আসছিলাম।সিক্সের সেই পিচ্চি আমাকে দেখে ছদ্মনামেে ডাক দিছে।আহা নিজের নাম শুনেও কখখনো এত ভালো লাগে নাই মনে হয়! রাশা দুঃখী সুন্দর প্রতিবাদী একটি মেয়ে,,👩
বইটা খুব খারাপ না। "রাশা" চরিত্রটাও প্রথমে বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে থাকে। রাইসা থেকে রাশা হয়ে যাওয়ার কাহিনীটাও বেশ মজাদার। কিন্ত সত্যি বলতে গল্পে নতুন কিছুই নেই। বরং খানিকটা পর থেকেই পুরো কাহিনি প্রেডিক্টেবল মনে হয়। কিছু কাজ চরিত্রগুলোর সাথে বেমানান লাগে। বইটা খুব খারাপ না...... তবে খুব ভালোও না।
This is one of my first 6 stars ever. Reread for the 100th time. Still hits the same as it did when I was 10 years old. Books like this makes me love life one more time again. This is just so inspirational, relatable, comforting, wholesome, emotional. It portrays the sweetness and hardships of life, childhood, womanhood, friendship, grief, rural life, the painful history of Bangladesh, social injustice and etc. My heart belongs to this book.
The story is kind of different yet draws inspiration from the author's previous works also. I liked how the author portrayed the transformation of Rasha from a city dwelling timid girl to a confident village girl. She leads a revolution and changes the lives of the village people. At first her family problems were a big part of the story, but gradually it becomes a minor point. Even though her family is broken and she is betrayed by both her parents, she finds solace in the company of her supposedly crazy Grandmother. Education system and its faults, the abusive teachers - all of these came into focus. The freedom fight of Bangladesh was again a driving plot in this novel. Still it felt weak compared to the authors previous works. I guess he was trying something different with a village setting - and he was almost successful with it too. I guess I have grown out of the age group Zafar sir writes for. I am guessing most of the story was based upon the letters/emails he receives from teenagers all over the country sharing their experience. Just thinking about it makes the story all the more real.
A wonderful celebration of positivity and life and giving back from Muhammed Iqbal. Think of a Bangladeshi version of Heidi meets Pollyanna meets Pippi Longstockings but less moralistic and more fascinating.
"এখন একজন শিক্ষিত মানুষ আর নৌকার মিস্ত্রি বন্ধু হতে পারবে না। যুদ্ধের সময় হয়েছিল। স্কুলের মাস্টার আর কুলি, ইউনিভার্সিটির ছাত্র আর পকেটমার সব একজন আরেকজনের বন্ধু ছিল।"
রাশা মুহম্মদ জাফর ইকবাল
(বড় লেখা বিধায় পয়েন্টের নাম দিয়ে লিখলাম। সময় স্বল্প হলে যে পয়েন্টের নাম পছন্দ সে পয়েন্ট পড়ুন।)
ধরুন আপনার পিতৃদত্ত নাম পছন্দ হল না। কখনও কি সেটা পরিবর্তন করার কথা ভেবেছেন? আবার ধরুন আপনার বিদ্যাপীঠের নাম কোনো জঘন্য ক্ষমতাশালী ব্যক্তির নামে দেয়া। যাকে আপনি পছন্দ করেন না। কখনও কি সেই বিদ্যাপীঠের নাম বদলানোর জন্যে শিক্ষার্থী হিসেবেই লড়াই করবেন ভেবেছেন? অথবা ধরুন আপনার নানা মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তার কবর কখনো খুঁজে পাননি। কখনো কি সেটা খোঁজার চেষ্টা করেছেন? রাশা এমনই এক গল্প।
রাশা নাম যেভাবে হল: রাইসা মাছের কাঁটা খায় বাইছা বাইছা। সহপাঠীর বানানো এ কবিতাটি পছন্দ না হওয়ায় রাইসা নাম পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। রাইসার 'ই' ফেলে দিয়ে প্রথমে সে তার নামটাকে বানালো রাসা কিন্তু উচ্চারণ করল রাশা। এভাবে বইয়ের নাম হল রাশা। অবশ্য রাশেদ ফ্যানরা অন্য কিছু ভাববে।
গল্পটা শুরু হয়েছে খুবই জটিল এবং পরিচিত একটা পরিস্থিতি দিয়ে। পারিবারিক ঝগড়া করতে করতে রাশার বাবা তার মাকে ডিভোর্স দিয়ে দেশান্তরিত হয়। রাশার দায়িত্ব তার মায়ের কাঁধেই পড়ে। কিন্তু তিনিও স্বাধীনচেতা হওয়ায় অন্য আরেকজনকে খুঁজে নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান। রাশাকে রেখে যান প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অ্যাবনরমাল নানির কাছে। যিনি মুক্তিযুদ্ধে তার স্বামীকে হারিয়ে অপ্রকৃতস্থ হয়েছেন। গল্পটা তার আসল রূপ নেয় এরপর। রাশা কীভাবে শহর থেকে গিয়ে অজপাড়াগাঁয়ে নিজেকে মানিয়ে নেয়, স্কুলে কীভাবে ভর্তি হয় এবং তার নানার হত্যাকারীর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে নিজেকে কীভাবে বাঁচায় তা নিয়েই গল্পটা তৈরি। কী মনে হয় এসব কাজে রাশা কী সফল হবে? তার নানার কবর খুঁজে পাবে? আদৌ কি তার নানার কবর হয়েছে? উত্তর বইয়ে।
মুক্তিযুদ্ধ: এ বইটার সবচেয়ে সুন্দর দিক রাশার নানা আজিজের দুই সহযোদ্ধা সালাম নানা এবং গৌরাঙ্গ ঘরামির কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধে তাদের অভিযানের বিভিন্ন গল্প শোনা। অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদটা দারুণ ছিল। দুঃখও কম ছিল না।
শৈশব: গ্রামাঞ্চলে যাদের শৈশব কেটেছে তারা খুব ভালোভাবে রিলেট করতে পারবেন গল্পটার সাথে। নস্টালজিক হয়ে পড়বেন। রাশা গ্রামীণ শিশুদের মতই সবকিছু শিখে। সাঁতার থেকে শুরু করে পাখি ধরার ফাঁদ দিয়ে বক ধরা সব আয়ত্ত করে। তবে বেচারীর আর গাছে উঠা শেখা হয় নি। কারণটা বইয়েই পাবেন।
সামাজিক দিক:
তেরো বছর বয়সে একটি কিশোরী পারিবারিক চরম আঘাত সহ্য করেও হীনমন্যতায় না ভুগে যেভাবে একাই লড়তে থাকে তা মুগ্ধ করে। মেয়ে হয়েও নিজেকে এতটুকু দুর্বল ভাবে না সে।
স্কুলে বাচ্চাদের পিটিয়ে শেষ করার নজির আমাদের দেশে কম নেই। রাশার স্কুলে এমনই এক শিক্ষক ছিল যে তার কাছে কোচিং না করলে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক দুভাবেই নির্যাতন করত। রাশা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় তাকে যেভাবে শাস্তির আওতায় আনে তা সত্যিই দারুণ ছিল।
যে কায়দায় রাশা সানজিদার বাল্যবিবাহ বন্ধ করে তা যেমন ছিল চরম হাসির তার চেয়েও বেশি বুদ্ধিদীপ্ত।
গাইড বই ছি���ড়ে ফেলার মত ঘটনাও আছে।
সায়েন্স অলিম্পিয়াডে প্রথম হওয়ার পরও রাজাকারের নাম হওয়ায় স্কুলের নাম না লেখায় পুরস্কার মিস করলেও রাশা স্কুলের নাম লেখে না। এটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরও দাঁড়াবার অনুপ্রেরণা যোগায়।
পারসোনালি বলব জাহানারা ম্যাডামের চিঠিটা খুবই ভালোভাবে কয়েকবার পড়ার জন্যে। জীবনে পড়া সেরা চিঠিগুলোর একটা। এরকম একজন শিক্ষিকা (বা শিক্ষক) সোনার হরিণ।
সাপোর্টিভ চরিত্র:
জাহানারা ম্যাডাম: জাফর ইকবাল স্যারের অনেক বইয়েই এরকম কমন একটা সাপোর্টিভ চরিত্র থাকে, যে মূল চরিত্রকে নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করার ব্যাকআপ দেয়। যেমন 'আমি তপু'র প্রিয়াঙ্কা। জাহানারা ম্যাডামও এমনই একটা চরিত্র। তবে উপন্যাসে তার উপস্থিতি খুব বেশি সময়ের জন্য ছিল না। মাঝে মাঝে এসেছেন আবার হারিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তিনি পেছন থেকে কলকাঠি না নাড়ালে 'রাশা' এতসুন্দর গল্প হয়ে উঠত না।
নানি: রাশাকে শুরু থেকেই উৎসাহ যুগিয়েছে এ চরিত্রটা। অ্যাবনরমাল হলেও বাস্তবসম্মত।
সালাম নানা: আগেই বলেছি ইনি রাশার নানার সহযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা। কিছু কিছু জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। বইপোকা।
আরো কিছু অপ্রধান চরিত্র আছে যারা বিভিন্ন সময় গল্প এগিয়ে নেয়ার ভূমিকা পালন করেছেন।
নেগেটিভ চরিত্র সম্পর্কে:
রাশার বাবা: বাবা চরিত্রে মানায়নি। ভিউকার্ড পাঠিয়ে মেয়ের খোঁজ নিয়েছে এটুকুই। বিদেশে থেকেও মেয়ের ভরণপোষণের জন্য খরচ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
রাশার মা: মোটামুটি স্বাভাবিক। উনি যে পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন সে পরিস্থিতিতে ওনার ঐ ধরনের আচরণই স্বাভাবিক। তবে রাশার প্রতি একটু বেশি কঠোর আচরণ করেছেন এটার জন্য রাগ লেগেছিল। উনি মেয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেও নিজের ভালোথাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এ অ্যাঙ্গেলে দেখলে খারাপ-ভালো দুটোই লাগে। তারপরও মেয়ে হিসেবে একজন ছেড়ে দিয়েছে বলে সারাজীবন না কেঁদে তিনিও আরেকজন বেছে নিয়েছেন এটা ভালো লেগেছে। তবে একটু বেশি স্বার্থপর।
আহাদ আলী: রাজাকার। যুদ্ধের সময় নিরীহ মানুষদের জায়গা দখল করে অনেক টাকার মালিক হয়। এর নামেই স্কুলের নাম দেয়া। রাশা এ নামটা বদলাতে চায়। সেখানে থেকেই আহাদ আলী আর রাশার দ্বন্দ্ব শুরু। মূল নেগেটিভ চরিত্র হিসেবে শক্তিশালী।
নেগেটিভ চরিত্র এ বইয়ে একটু বেশি। রাজ্জাক স্যার, পরীক্ষার কন্ট্রোলার, আহাদ আলীর দুই সাগরেদ— এরা নিষ্ঠুরতায় আহাদ আলীকে ছাড়িয়ে যেতে না পারলেও কম নিষ্ঠুর নয়।
রাশা বইটা উঁচুমানের একটা কিশোর উপন্যাস (কিশোরী উপন্যাস?), কিন্তু আন্ডাররেটেড। জাফর ইকবালের লেখনী কিশোর-কিশোরীদের বরাবরই প্রিয় বস্তু। উপন্যাসে প্রতিটি অধ্যায়ের আলাদা নাম থাকলে বেশ একটা ছোটগল্পের ফিল আসে। এখানেও সেটা করা হয়েছে।
প্রচ্ছদ-তাৎপর্য ও অন্যান্য: প্রচ্ছদের ব্যাপারে বললে বলতে হয়, আমি ছোটবেলায় যে কিশোর উপন্যাসগুলোর প্রচ্ছদে মুগ্ধ হয়েছিলাম তন্মধ্যে রাশা একটা। লাল সবুজের কাজটা মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলার গ্রামীণ-বন্য সৌন্দর্যকেই প্রতিনিধিত্ব করে। আর নীলটা মুক্ত আকাশ, মুক্ত জীবন। প্রচ্ছদকার আরাফাত করিমের অলঙ্করণে বইটিতে সুন্দর কিছু ইলাস্ট্রেশনও আছে। পৃষ্ঠার কোয়ালিটি ভালো। হলদেটে হলে আরো ভালো লাগত। ফন্ট চোখের জন্য আরামদায়ক। বানান ভুল নেই।
ভালোলাগার কিছু কথা:
১. "পৃথিবীটা টিকে আছে মায়েদের জন্যে। একটা মা তার বাচ্চাদের কখনো ছেড়ে যায় না।"
২. "মওত হয়ে গেলে জান ফেরত চাইতে হয় না—"
৩. "আমি জীবনে খুব বেশি চিঠি লিখি নি। কিন্তু মনে হলো তোমাকে একটা চিঠি লিখি।"
৪. "তু-তুমি টাকা দিয়ে বই কিনে সেগুলো নষ্ট করছ?" "আমি মোটেও নষ্ট করছি না। আমি কাজে লাগাচ্ছি। আপনি যদি কোন ছাত্র না হয় ছাত্রীর কাছে এই গাইড বই বিক্রি করেন সেটা হচ্ছে নষ্ট করা।"
৫. "আমি যে স্কুলে শিক্ষকতা করি সেটা বাংলাদেশের খুব বিখ্যাত একটা স্কুল। ... কিন্তু আমি জানি আমরা তাদের লেখাপড়া শিখাই না, আমরা তাদের ভালো নম্বর পাওয়া শিখাই।"
৬. "সবচেয়ে সম্মানী মানুষ হচ্ছে শিক্ষক।"
ধর্মীয় দিক: জাফর ইকবাল স্যারকে নাস্তিক বলে অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু উনার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিভিন্ন দুঃসাহসিক কাজের আগে স্রষ্টাকে স্মরণ করে। এ বইয়েও রাশা একটা ভালো দুঃসাহসিক কাজ করার আগে বান্ধবীকে বলে "আমাকে আবার কুলহু আল্লাহ পড়ে ফুঁ দে।" — এসব পড়ার পর ওসব প্রচারণা দেখে বিভ্রান্তই হই।
[তবে কোনো মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাস কী এ বিষয়ে আমার নিজস্ব কোনো মতামত বা কৌতূহল নেই। কারো বিশ্বাসকে আঘাত করার অভিপ্রায়ও নেই। উপরের অনুচ্ছেদটি নিয়ে আপত্তি থাকলে জানানোর অনুরোধ থাকল।]
হ্যাপি এন্ডিং হলেও শেষটা মন ভার করেছে। জাফর ইকবাল স্যারের 'আমি তপু'র পর যে বইটার এন্ডিং মনে দাগ কেটে রেখেছে তার নাম রাশা। — "কত যুগ আগে এই মানুষটি তার একজন আপনজনকে হারিয়েছে, এত দিন পরেও মনে হয় দুঃখ এতটুকু কমেনি। রাশা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তার সামনে একজন মানুষ। একজন মানুষের দুঃখ। এই দেশে এরকম তিরিশ লক্ষ মানুষ আছে। তাদের তিরিশ লক্ষ দুঃখ। এত দুঃখ এই দেশের মাটি কেমন করে সইতে পারল?"
রাশা-রাশেদ কেমন কমন না? অনেক দিক দিয়ে রাশেদের ভ্যারিয়েন্ট রাশা। রাশেদের কোনো বোন থাকলে তার নাম হয়ত রাশা হত।
It's about a teen girl Rasha whose world is shattered after she came in touch with the cruel reality of this world. Then she started her surviving battle in an unknown village with a "mentally ill grandmother". But later she found herself living her life again. The story was amazing from the beginning but in the middle it became boring. It started to feel like one of those movies where every obstacle is just a piece of cake for the main character. However, I liked the ending even though I think the story could have ended a long time ago. The ending was quite emotional.
গ্রামের বর্ণনাটা খুব চমৎকার, আর বইটা আকারেও ছোট নয়। তবে টানা স্যারের বই পড়ায় তেমন ভালো লাগেনি। নতুনত্ব নেই বলে মনে হয়েছে। তবে এই বইগুলো উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যখন পড়তাম নেশা ধরে যেত।
জাফর ইকবাল স্যারের বেশ কিছু বই রয়েছে, যেগুলোতে মা-বাবার সাথে সন্তানের দূরত্ব থাকে। যেমন- আমি তপু, দীপু নাম্বার টু, বৃষ্টির ঠিকানা, রাশা। মা-বাবার ভালোবাসা না পেয়ে বড়ো হওয়ার যেন একটা বিষণ্ণ ���ল্প। 'রাশা' বইটার মূল চরিত্র হলো ক্লাস এইটে পড়ুয়া মেয়ে রাশা। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর তারা আবার নতুন করে বিয়ে করে দুইজন দুই দেশে চলে যান। রাশার আশ্রয় হয় এক গহীন জঙ্গলে আচ্ছন্ন গ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে স্বামীকে হারানো পর মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ নানির কাছে। বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে বিচ্ছিন্ন শহরের মেয়ে গ্রামীণ জীবনে পা দেয়। বইটিতে ফুটে উঠেছে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য- ঝড়, বৃষ্টি, জ্যোৎস্না, নদী। রাশার সাথে গ্রামের বেশ কিছু ছেলে মেয়ের বন্ধুত্ব হয়। তাদের থেকে সাঁতার কাটা, মাছ ধরা, গাছে উঠা, পাখি শিকারসহ অনেক কিছু শিখতে পারে রাশা। এছাড়া বইটিতে বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক দিক উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ, বিজ্ঞানচেতনা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধে ছাড় পাওয়া হিংস্র রাজাকারসহ আরো কিছু প্রতীয়মান হয়েছে রাশা ও তার বন্ধুবান্ধবদের কেন্দ্র করে।
Rasha-the title of this book is quite eye-catching and it was the first thing which incited me to buy this book among other books in the library. Because that time I couldn't understand that it was a main character's name, not anything significant.
But, how much I was excited while buying it didn't end up last. Yeah, the book is awesome and that's why I gave it four stars. Actually, I expected a lot. As the plot was good, kinda sad and inspirational but writing way and ending was the thing I didn't like. I respect the writer and read his other books. Most of the books gave me good memories and made me want to read it again and again but it couldn't. I think I'm only disappointed because I was really hyped up before reading it. Overall it has nice plot but lack of commonsense. I suggest people to read this book as in one moment I cried. But not worthy of five stars...
এই বইটি নিয়ে আমি কোন রিভিউ লিখবো না,বরং বইটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আমার স্মৃতি নিয়েই লিখবো। কিছু বই আছে যেগুলো একদম বেশি দুঃখ রকমের সময়ে হঠাৎ-ই চোখের সামনে এসে মন ভালো করে দিয়ে যায়।আমার কিশোর বেলার সময়ের এমন-ই একটি বই "রাশা"। ২০১৪ সালে যখন স্কুলে বন্ধুহীন ভাবে ছিলাম,তখন জাফর ইকবাল স্যারের বইগুলো ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছিলো।স্কুল লাইব্রেরি থেকে বইটি নিয়ে আমি এক রাতেই পুরোটা পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। বইটি খুব যে আহামরি তা কিন্তু নয়।অই যে,কিশোর বেলা,একাকি,বন্ধুহীনভাবে স্কুলে ১২-৫ টা অবধি থাকতাম,তখন একদিন রাশা আমাকে দারূণ ভাবে একাকি সময় পার করার সাহস যুগিয়েছিলো। শুধু রাশা-ই নয়,জাফর ইকবাল স্যারের আরো অনেক অনেক কিশোর চরিত্র-ও আমাকে আপন করে নিয়েছিলো সে সময়টায়।
আমার বন্ধুহীন কিশোর বেলাটা এক গুচ্ছ কিশোর চরিত্র দিয়ে রাঙিয়ে দেয়ার কারণে আমি জাফর ইকবাল স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
This was such a beautiful and heart-warming book . Not gonna at the beginning iddi not think I was gonna like it much because it reminded me a lot of ami to put it felt like he just copy pasted everything but I started to like it alot more after rasha starts living in the village that being said I really wish Zafar Iqbal showed how rasha struggled with village life more although he talked about it a bit it fealt to me rasha got accustomed really quick. And as much I tried to like rasha I just couldn't I mean I didn't hate her I just didn't love her . Jolpie was my favorite character and I loved how he talked about village life and this is one of the few Zafar Iqbal books where there's more or less a plot.
মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসে যেসব এলিমেন্ট কমন, তার সবগুলো এই বইতে নিয়ে আসা হয়েছে। ব্রোকেন ফ্যামিলির একজন কিশোরীর নিজেকে টেনে তোলার যুদ্ধ, শহরের যান্ত্রিকতা, একজন শিক্ষার্থীর প্রতি শিক্ষকের মমত্ববোধ, গ্রামের প্রকৃতি, একটুখানি বিজ্ঞান, সামাজিক কিছু বার্তা, বাল্যবিবাহের বিরোধিতা, গণিত অলিম্পিয়াড, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান। আর সবশেষে একটুখানি খণ্ডযুদ্ধ। এগুলো সব একসাথে মিলিয়ে দিলে বইটির কলেবর এমনিতেই বেড়ে যায়। এখানেও তাই হয়েছে। তবে এক সেকেন্ডের জন্যও পড়তে বিরক্ত লাগে না। অন্যতম পছন্দের একটা বই।
রাশা সারা শরীর পানিতে ডুবিয়ে কচুরীপানার মাঝে তার মাথাটা একটুখানি বের করে শুয়েছিলো। মতি আর জিতুর গলার স্বর শুনে সে সোজা হয়ে বসল। গলার স্বরটা যখন আরো একটু স্পষ্ট হলো তখন সে পানি থেকে বের হয়ে এলো। তার সমস্ত শরীরে কাদা, পানিতে ডুবে থেকে তার চোখ লাল, মুখ রক্তশূন্য।
মতি আর জিতু রাশাকে ডাকতে ডাকতে ছুটে যেতে যেতে হঠাত করে রাশাকে দেখতে পায়, তখন তারা চিৎকার করে নদীর তীরে নেমে এসে তাকে জাপটে ধরে ফেলল!
মতি রাশাকে শক্ত করে ধরে বলল, "রাশা আপু! রাশা আপু তুমি বেঁচে আছ? তুমি বেঁচে আছ রাশা আপু?"
Shortlisted for the 2019 Global Literature in Libraries Initiative Translated Young Adult Literature Award --------------------------------- For more information, visit our website! https://glli-us.org/2019/01/29/glli-t...
this the best book ever i read. i am a bangladeshi boy like rasa i have a computer like rasa but i am normal like every one. when i read this book i really think about the life of humans, this is change in every time, every moment, every day. i am give the book five star, and all the drawing in the books are really nice. RMM, Rowshan Murad Moogdhoo. Dhaka Cantonment,Dhaka. Bangladesh.