Jump to ratings and reviews
Rate this book

রাইফেল, রোটি, আওরাত

Rate this book
'রাইফেল, রোটি, আওরাত' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা সর্বপ্রথম উপন্যাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘটে যাওয়া গণহত্যা এবং তার পরবর্তী দিনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কাহিনী উপন্যাসে বর্ণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পাঠে এই উপন্যাস একটি অমূল্য দলিলরূপে গণ্য করা হয়।

180 pages, Hardcover

First published June 1, 1979

69 people are currently reading
1149 people want to read

About the author

Anwar Pasha

7 books20 followers
আনোয়ার পাশা একজন বাংলাদেশী কবি, কথা সাহিত্যিক, এবং শিক্ষাবিদ। তাঁর পিতার নাম হাজী মকরম আলী আর মা সাবেরা খাতুন। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর মোহকুমার রাঙ্গামাটি চাঁদপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ডবকাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ১৯৪৬ সালে মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হন। কিন্তু ১৯৪৮ সালে আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক পাশ করেন ১৯৫১ সালে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যেই স্নাতকোত্তর সম্মাননা অর্জন করেন। মানিকচক হাই মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে আনোয়ার পাশার কর্মজীবন শুরু হয়। পরে তিনি ১৯৫৪ সালে ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসায় এবং ১৯৫৭ সালে সাদিখান দিয়ার বহুমুখী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে এই কলেজেরই বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে তিনি জৈষ্ঠ্য প্রভাষক পদে পদোন্নতি পান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
উপন্যাস: নীড় সন্ধানী (১৯৬৮), নিশুতি রাতের গাথা (১৯৬৮), রাইফেল রোটি আওরাত (১৯৭৩)
কাব্য: নদী নিঃশেষিত হলে (১৯৬৩), সমুদ্র শৃঙ্খলতা উজ্জয়িনী (১৯৭৪), অন্যান্য কবিতা (১৯৭৪)
সমালোচনা: সাহিত্যশিল্পী আবুল ফজল (১৯৬৭), রবীন্দ্র ছোটগল্প সমীক্ষা (প্রথম খন্ড-১৯৬৯, দ্বিতীয় খন্ড-১৯৭৮)
গল্পগ্রন্থ: নিরুপায় হরিণী (১৯৭০)

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ঢাকার মিরপুরের বধ্যভূমিতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সহযোগী আল বদর বাহিনীর সদস্যদের হাতে তিনি নিহত হন। ১৯৭২ সালে তিনি মরণোত্তর বাংলা একাডেমী পুরস্কারে ভূষিত হন।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
386 (58%)
4 stars
208 (31%)
3 stars
46 (6%)
2 stars
13 (1%)
1 star
5 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 121 reviews
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews737 followers
January 19, 2014
রাত জেগে বই পড়ে শেষ করার মধ্যে যে শান্তি থাকে, আনোয়ার পাশার 'রাইফেল, রোটি, আওরাত' পড়ে ঠিক সেরকম কোন অনুভূতি হচ্ছেনা। বরং মনে হচ্ছে এতো তাড়াতাড়ি শেষ না হলেও বোধয় পারতো। সমস্ত রকম নিষ্ঠুরতা, বর্বরতার প্রতি মানুষের একরকম কুৎসিত আগ্রহ থাকে জানার।অসহ্যরকমের ভয়াবহতা কেও মানুষ প্রবল আগ্রহ নিয়ে মোহগ্রস্ত হয়ে দেখতে চায়। বইয়ের প্রতিতা পৃষ্ঠা জুড়ে পাকিস্তানি সৈনিকদের কাফের নিধনের নামে বাঙালি হত্যার বর্ণনা সেই অপ্রীতিকর মোহ নিয়ে পড়েছি। আশ্চর্য হতে হয় এই ভেবে মৃত্যুপুরীতে বসে কতটা ধীরচিত্তের হলে চোখে দেখা বর্বরতা শব্দের নৈপুন্যে এভাবে তুলে ধরা যায়। সমস্ত বই জুড়ে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস থেকে জুন মাসের কাহিনি আবর্তিত হলেও বাড়বাড় ২৬শে মার্চের প্রথম আঘাতের কথাই উঠে এসেছে প্রতিটা ঘটনা বর্ণনার ফ্ল্যাশব্যাকে।ঘুমন্ত নিষ্পাপ শিশু থেকে কোরআন পাঠরত বৃদ্ধা - কেউই যখন অতর্কিত বেয়োনেট চার্জের এর সামনে থেকে রেহাই পায় না তখন তার প্রভাব মনকে কতটা বিহ্বল করে তা প্রতিটা পৃষ্ঠায় ধরা পড়ে। এক একদিন করে বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তা নিয়ে লেখক কিভাবে একটি গুছানো কাহিনির অন্তরালে পরবর্তীতে অবিশ্বাস্য বর্তমানকে বেঁধে ফেলার যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন তা ভেবে আপনি সম্মানে মাথা নুইয়ে আসে। এই বই মুক্তিযুদ্ধের দলিল হিসাবে সংরক্ষিত হবার যোগ্য দাবিদার।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
December 22, 2020
চার তারা মানে- হ্যাঁ, বইটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আর ৫ তারা? ইট ওয়াজ আমেইজিং! কি আমেইজিং!? অসহ্যরকমের বর্বরতা, নৃশংসতা, ভয়াবহতার সর্বোচ্চ পর্যায়কে কি দিয়ে প্রকাশ করবো? ভালো কিছু মনে ধরে গেলে, অতি সুন্দর বর্ণনা প্রকাশ পেলে তা যদি আমেইজিং হয় তাহলে ঠিক আছে। এটাও তাই! ধর্মের দোহাই দিয়ে একটি দেশের মানুষের উপর এত বর্বরতা, ভয়াবহ নৃশংসতার বর্ণনার এই বই মানুষের সহ্যক্ষমতাকে নাড়িয়ে দিতে সক্ষম। মানুষ তার চিন্তা শক্তির বাইরে কোনো কিছু ঘটতে দেখলেই তো আশ্চর্য হয়ে যায়, তাই না?
সেদিক থেকে লেখক শহীদ আনোয়ার পাশার ১৯৭১ এর এপ্রিল থেকে জুনে লিখিত এই বইটি আমেইজিংই ছিল।

নীলক্ষেতের আশে পাশের এলাকা বিধ্বস্ত। চারিদিকে খালি মানুষ! স্তূপীকৃত মানুষ! রক্তাক্ত মানুষ! সেই এলাকার ২৩ নম্বর বিল্ডিং এ থাকতেন ঢাবির ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন। কিভাবে পরিবার নিয়ে ঐ মহা প্রলয়ের মাঝে বেঁচে গেছেন তিনি ভাবতেও পারেন না, এই ভাবনা তিনি আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছেন। একটি ধ্বংস প্রাপ্ত শহর। চারদিকে লাশ, মানুষের আর্তনাদ,ছেলে-বুড়ো থেকে শুরু করে রেহাই পায় নি কেউ। আর স্ত্রীলোক! তাদের স্থান হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানি জওয়ানদের মনোরঞ্জনের জন্য! সুদীপ্ত শাহিন দেখেছেন অনেককে,শুনেছেন অনেকের কথা। এখন পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাঁচার আশায়। ঘুরেছেন বীভৎস কালরাত্রির আশে পাশে।ঘুরে ফিরে দেখছেন আরও ভয়াবহতা আর সাথে সেই ভয়াবহতায় শিউরে উঠতে হয় পাঠককে।

লেখক কি নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন সুদীপ্ত শাহিনের আড়ালে?লেখকের কতোই সহ্যক্ষমতা ছিল কে জানে! এই ভয়াবহতার মধ্যে কি করে এই ভয়াবহ দলিল লিখে গেলেন!?

প্রথম এই বইয়ের নাম শুনি স্কুলে থাকতে। স্যার বলছিলেন রাইফেল,রোটি,আওরাতের কথা। আর আমি ভাবছি আওরাত আবার কি? বুঝতে পারি নি আর জিজ্ঞাসাও করা হয় নি। পরে জেনেছিলাম।
আবারও জানলাম আওরাত কি-

দিদি, বের হন। আপনার সাহেবকে ঘরে নিন। আমার সাহেব মারা গেছেন। আপনার সাহেব এখনও বেঁচে আছেন।


এই ভয়াবহতার মধ্যেও তিনি বাইরে এলেন সাহস করে।ড.জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার দেহে প্রাণ দেখে তার মিসেস বাসন্তী গুহঠাকুরতাকে ডাকতে গিয়েছিলেন সদ্য স্বামী-পুত্র হারা মিসেস মনিরুজ্জামান।

নাজিম হুসেনের সংগ্রহ করে দেওয়া মাইন বুকে বেঁধে সেই ট্রাকের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন পলি ভাবী।একটি মুহূর্ত,একটি প্রচন্ড শব্দ।


তিনি তো নাজিমকে জিজ্ঞাসা করেন নি তার স্বামী কই?কোথায় সতীত্ব হারানো পাগল বোন? কোথায় সতীত্ব হারানো মায়ের সন্তানের লাশ? শুধু বুঝেছিলেন তার কিছু একটা করতেই হবে!


একটি দেশ কি করে এলো !?


~১৮ অক্টোবর,২০২০
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
October 20, 2020
উপন্যাসের সংজ্ঞা ও কাহিনী সম্পর্কে আমার যে ধারণা রয়েছে ‘রাইফেল রোটি আওরাত’এ তেমন কোন সংজ্ঞায়িত কাহিনী নেই। তবু কাহিনী তো একটা রয়েছেই। উপন্যাসের নায়ক সুদীপ্তর স্মৃতি ও অভিজ্ঞতার সূত্রে বেশ কিছু কাহিনী জানতে পারি যার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এক বিশাল কাহিনী। এই কাহিনীর আকাশে ভেসে ওঠে আবদুল মলেক, আবদুল খালেক, সোবহান মৌলভী, গাজী মাসউদ-উর-রহমান, হাসিম শেখ, করিমন বিবি, পলিভাবী, বুলাদি, এমনি অনেক চরিত্র। সকলেই একই অবস্থার শিকার। কিন্তু কত বিচিত্র তাদের প্রতিক্রিয়া। তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রূপায়িত হয়েছে একটা সাধারণ দ্বন্দ্বে; যার মধ্যে সুপ্ত রয়েছে মানুষের এক পূর্ণাঙ্গ জীবনসত্য পশুশক্তির বিরুদ্ধে মানবসত্তার সংগ্রাম স্পৃহার দুনির্বার আকাঙ্ক্ষা।

গ্রন্থের নায়ক সুদীপ্ত শাহীন লেখকের শিল্পীমনের এক অপূর্ব সৃষ্টি। এ চরিত্রকেই কেন্দ্র করেই উপন্যাসের মূল কাহিনী বিকশিত হয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিণতি লাভ করেছে। উপন্যাসের প্রায় সব জায়গায়ই তার উপস্থিতি রয়েছে। অজস্র ঘটনা-উপঘটনার ভিড়ে সুদীপ্ত শাহীন হারিয়ে যায়নি। এ গল্পের নায়ক সুদীপ্ত শাহীন বাঙালীর আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সংকল্প-প্রত্যয়েরই প্রতীক।

লেখক মুখ্যত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্তই বিচরণ করেছেন। ঘুরেফিরে এই তিন দিনেরই নৃশংসতা ও বর্বরতার চিত্রই তুলে ধরেছেন। এজন্য বেশ সময় নিয়েই পড়তে হলো বইটি কেননা এত বর্বরতা ও নৃশংসতা বারবার সত্যি নিতে পারছিলাম না।
Profile Image for Sumaîya Afrôze Puspîta.
219 reviews288 followers
September 2, 2024
▪️ একটা কাজ সকলেই পারে, সকলেই মরে। একটুও চেষ্টা করতে হয় না– দিব্যি খেয়ে দেয়ে ফূর্তি করে বেড়াও, একবারও কিছু ভাববার দরকার পর্যন্ত নেই, অথচ সেই কাজটি এক সময় নির্ঘাত সম্পন্ন ক'রে ফেলবে তুমি!

▪️ সংবাদ হয় কোনটা? সাধারণ ঘটনাধারার মধ্যে যেটা খাপ খায় না, যা হয় কিছুটা অস্বাভাবিক কিংবা সাধারণের গণ্ডিকে যা অতিক্রম করে তাকেই মানুষ গ্ৰহণ করে একটা সংবাদ ব'লে।

▫️▫️▫️

২৫শে মার্চের বিভীষিকার প্রথম দলিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের চোখ দিয়ে সেদিনকার সেই অবস্থা বিবৃত হয়েছে।‌

কিন্তু আমার যে কী হয়েছে! এত দেরিতে পড়ছি বলেই হয়তো পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় জুলাই বিভীষিকা দেখছি। এক জায়গায় পড়লাম, "শাসন ও শোষণ। যে কোন প্রকারে বাংলাকে শাসনে রাখ, শোষণ কর। শোষণে অসুবিধা হ'লে? শাসন তীব্র কর। আরো তীব্র শাসন। আইনের শাসন যদি না চলে? চালাও রাইফেলের শাসন, কামান-মেশিনগানের শাসন।" আমার মনে চলে এলো জুলাই। লেখক ভ্যানের উপর স্তূপাকারে লাশের বর্ণনা দিলেন, ফের সামনে চলে এলো জুলাই। ... এসব পুনরাবৃত্তি দেখে-পড়ে আবার ভীত হয়ে পড়ছি। ইতিহাস পড়ে কী হয়, ��েউই তো শিক্ষা নিচ্ছি না!
Profile Image for Fahad Amin.
148 reviews9 followers
November 21, 2025
অ্যানা ফ্রাংকের ডায়রির মতোই অধ্যাপক আনোয়ার পাশার এ লেখাটার অদ্ভুত মিল আছে। দুইটাই বর্বরতা, নৃশংসতার জীবন্ত দলিল। মিল আরও আছে। অ্যানা ফ্রাংকের মতই তিনিও বিজয় দেখে যেতে পারেননি। ১৪ ই ডিসেম্বর তিনি অপহৃত ও নিহত হন।

সুদীপ্ত একজন অধ্যাপক। আমরা সুদীপ্তর চোখে দেখি ১৯৭১সালের ২৫ শে মার্চ রাতে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত গণহত্যা। পাকবাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত হোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার অগণিত মানুষ। বিশেষত অধ্যাপক সুদীপ্তর সহকর্মীদের অনেকেই নিহত হন তখন।

অধ্যাপক সুদীপ্ত পরদিন বেরিয়ে পরিস্থিতি দেখতে যান। তাঁর চোখে আমরা দেখতে পাই পথঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য লাশ। সুদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ার্টারে যান। সেখানেও আমরা দেখতে পাই নিরীহ অগণিত মানুষের মরদেহ।

বইটা ১৯৭১ সালের মধ্যেই লিখিত। তাই সে সময়টাতে মানুষের চিন্তা ভাবনা, মনোবৃত্তি বোঝার ক্ষেত্রে বইটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
November 9, 2021
ভূল না করলে ২৫শে মার্চের গণহত্যা নিয়ে এ যাবতকালে লেখা সেরা বইটা পড়ে ফেললাম। না, ২৫শে মার্চ নিয়ে এরচেয়ে অনেক উৎকৃষ্ট মানের ফিকশন আছে বাংলায়। কিন্তু এটা কেন ওই 'উৎকৃষ্ট' গুলোর চেয়েও সেরা, সেটা বলছি। আচ্ছা, ঠিক কী কারণে ২৫শে মার্চের গণহত্যা হইছিলো? কয়েকটা পয়েন্ট আসে এই প্রশ্নের উত্তরে। আওয়ামী লীগ-বুদ্ধিজীবীদের দমাতে, জাতিগত ভাবে দাবায়ে রাখতে, অর্থনৈতিক ভাবে পশ্চিমাদের নির্ভরশীল রাখতে, বিধর্মীদের নিশ্চিহ্ন করতে, দেশকে মেধাশূন্য করতে, বাংলার মানুষের অসাম্প্রদায়িকতাকে পিষে মারতে। এখন অন্যান্য 'উৎকৃষ্ট মানের' ২৫শে মার্চ এর গণহত্যা নিয়ে লেখা বইগুলোতে সবগুলো পয়েন্ট তুলে ধরলেও খুব সন্তর্পণে ধর্ম-এর ব্যাপারটা এড়িয়ে যায়। পাকিরা যে ইসলামের দোহাই দিয়ে ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকার বুকে জেহাদ করেছিলো, সেটা খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে যায় অধিকাংশ লেখক। কিন্তু শ্রদ্ধেয় লেখক আনোয়ার পাশা সেই কট্টর, উগ্রবাদী ইসলামী পাক হানাদারদের দেশে থেকেই তুলে ধরেছেন এই ব্যাপারটা। তুলে ধরেছেন ২৫শে মার্চে তাদের ঢাকার বুকে চালানো নারকীয় জেহাদি কান্ডটা। তুলে ধরেছেন জগন্নাথ হকে গণ কবর, ইকবাল হলের ক্যান্টিনের নিচে গুলি খেয়ে পড়ে পঁচতে থাকা বিভৎস ছাত্রের কথা, তুলে ধরেছেন নীলক্ষেত ২৩ নম্বরে অধ্যাপকদের বাড়িতে চালানো নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আরও দেখিয়েছেন দেশপ্রেমিক চিত্রশিল্পীর এক বুক অভিমান নিয়ে রাস্তার পাশে গুলি খেয়ে মরা, শান্তির বাণী পৌছানোর জন্য আযান দিতে উদ্যত হওয়া মুয়াজ্জিনের ঝাঝড়া লাশ, বাঁচার জন্য গাছে উঠেও রেহাই না পাওয়া কিশোর বালকের পরিণাম। দেখিয়েছেন কিভাবে ফিরোজ, সুদীপ্ত-র মত নিরীহ লোকেরা তাদের পরিবার নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে। সর্বোপরি বলতে গেলে ইতিহাস, নৃশংসতা, সাহসিকতা আর বুলু আপার মায়া-মমতার এক ফুল প্যাকেজ। এই বই পড়া যে কারো জন্য অত্যাবশ্যক। জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!

ক্রিপটিক ফেইটের দানব গানের কথাগুলো মাথায় ঘুরতেছে, বইটা পড়ার পর:

মানুষ হয়ে জন্মেছি তবু তাতে কিছু হয়নি,
ধর্ম কর্ম শিক্ষা শাস্ত্র সবই ছেড়ে দিয়েছি,
শুধু অর্থ আর ক্ষমতার লোভ আমায় করে বস,
নৃশংস দানব আমি আমার পুজা কর,
নৃশংস দানব আমি আমার পুজা কর।।।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
July 20, 2022
উপন্যাস কিনা বইটা জানিনা, তবে এ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বিশুদ্ধ দলিল। একজন সংবেদনশীল অধ্যাপকের সেই বিভৎস পঁচিশে মার্চের পরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার লেখনী রুপ। একটানা পড়া যায়না সেইসব ভয়াবহ নৃশংস ঘটনার বর্ণনা। চলচ্চিত্রের মতো পাক বর্বরতা চোখের সামনে ফুঁটে উঠে। আর লেখক যে একজন সত্যিকার শিল্পী তা তার নিঃস্পৃহ বর্ণনা থেকে বোঝা যায়। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আবেগের ঢেউয়ে তার লেখনী ভেসে যায়নি। ঘটনার উর্ধ্বে গিয়ে থার্ড আই ভিউতে সবকিছু বিশ্লেষণ করেছেন। পাক বর্বরতা, তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা, জনমানস এবং সবশেষে ভয়াল রাত পেরিয়ে বাঙালি জাতির উত্থান নির্মোহভাবে এসেছে। সেই ভয়াল রাত পেরিয়ে নতুন ভোরের আশাবাদ দিয়ে বইটি শেষ করেছেন। কিন্তু আফসোস লেখক খোদ সেই ভোর দেখতে পেলেন না।
Profile Image for Momin আহমেদ .
112 reviews49 followers
November 10, 2020
মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশী সাহিত্যে লেখালেখির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। ৩ টা বই তুলে নিলে একটা মুক্তিযুদ্ধের বই পাওয়া যাবেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বই গুলো পড়তে গেলে একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন পাওয়া যায়। এই বিষয়ে যেহেতু এতো লেখালেখি হয়েছে তা স্বাভাবিক।
কিন্তু এইটা কি পড়লাম! জীবন্ত বই মনে হয় একেই বলে। অন্যান্য বই গুলো পড়ার সময় যখন চরিত্র গুলোর বিপদ আপদ দেখতাম মনে হতো স্বাভাবিক মুক্তিজুদ্ধে সচরাচর যা হয় তাই হচ্ছে। কিন্তু এই বই পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এতো সুন্দর বর্ণনা আমি এর আগে কোন বই এ পাই নাই। এই বই ২৫শে মার্চ রাত কে কেন্দ্র করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জীবন্ত ছবি। বিশেষ করে ঐ সময়ে বাঙ্গালীদের জীবনযাপন মানসিক অবস্থার বর্ণনা সবচেয়ে বেশি নাড়া দেয়। এর বিশেষ কারণ হয়তো এই বইটি লেখা হয়েছে ১৯৭১ সালে।
শুরুতে বইটি উপন্যাস এর চেয়ে বেশি ননফিকশন মনে হয়েছে। আমার মনে হয় এই বইটি মুক্তিযুদ্ধের দলিল হওয়া উচিৎ।
আরও একটা কথা না বললেই নয়। শুধু বিষয়বস্তু নয় বই এর লেখনীও মনোমুগ্ধকর।
Profile Image for Saikat Mahmud.
44 reviews21 followers
April 4, 2015
এতকাল আফসোস হতো একা জহির রায়হানের জন্য। রাইফেল, রোটি, আওরাত পড়ে ফেলার পর আফসোসের তালিকায় আরেকটি নাম যোগ হলো। নামটি যে আনোয়ার পাশার সেটা বলাই বাহুল্য।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ঢের বই লেখা হয়েছে। ২৫-২৬ মার্চ কালো রাত নিয়ে লেখা বই আমি এই প্রথম পড়লাম। সেই নারকীয় রাতের একটা কালো ছবি নানা সূত্র থেকে জেনে ইতোমধ্যে আঁকা হয়ে গেছিল। বইটা পড়ে ভেবে দেখলাম, যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও বেশি নৃশংস ছিল সেই রাত।

আরেকটা জিনিস খেয়াল করেছি প্রবলভাবে। তখনকার দিনে ধর্মের লেবাস পড়া ধর্ম ব্যবসায়ীরা যেমন শক্তি দেখিয়েছে, স্বাধীনতার চুয়াল্লিশতম বছর পার করেও তাদেরকে তেমনই শক্তিশালী দেখতে পাই! এইটাই জাতি হিসেবে আমাদের সবচে' বড় ব্যর্থতা বলে মনে হয়।
Profile Image for Somagata Barua.
57 reviews9 followers
May 10, 2020
মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল নিয়ে বেশ সমাদৃত একটি বই। রচনাকাল ১৯৭১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস। লেখক আনোয়ার পাশা ১৯৬৬ তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব��ংলা বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৪ই ডিসেম্বর আমরা উনাকে হারাই।

মূল চরিত্র 'সুদীপ্ত শাহিন' ঢাবির ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক। ২৫ শে মার্চের কালো রাতে সৌভাগ্য বশত ৩ ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে বেঁচে যান। এরপর শুরু জীবনকে বাচিয়ে রাখার যুদ্ধ এবং অনেকটা নীরবেই প্রত্যক্ষ করেন সবকিছু।
এবং সুদীপ্তর মনে পড়ে যায়, কিভাবে "সুদীপ্ত" কে হিন্দুয়ানী নাম বলে আখ্যা দেয়ার কারণে তার কর্মক্ষেত্রে ছদ্মনাম ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি দেখতে পান, কিভাবে ইসলামের চোখে এই হিন্দুয়ানি বাঙ্গালিগুলো কাফের হয়ে যায়, আর কেবলামুখি পাকিরা নে��াত নেকি কাজই করছেন কিছু ধার্মিকের চোখে।
অতপর "রোটি খেয়ে গায়ের তাকাত বাড়াও, রাইফেল ধরে প্রতিপক্ষকে খতম কর, তারপর আওরাত নিয়ে ফুর্তি কর" ব্রতী পাকিরা কিভাবে বাংলার গম লুট করে, সেই বাংলার মাটিতেই বাংলার অন্ন চাল কিভাবে পুড়িয়ে ছাই করে দিল।

৭১ ফেলে এসেছি বহু পেছনে। কিন্তু এখনো কিছু মানসিকতার যেন একচুল পরিবর্তন হয়নি।
জহির রায়হানের পর লেখক আনোয়ার পাশাকে হারানো আফসোস সাথে যুক্ত হল।

দেশের সকলের একটি অবশ্যপাঠ্য বই।
Profile Image for পটের দুধের কমরেড.
209 reviews25 followers
November 12, 2020
সেই ভয়াবহ কালরাত্রির নির্মম বর্ণনার বাক্যগুলো রাইফেল—ট্যাঙ্কের টা-টা-টা-টা......পট-পট-পট......গুড়ুম—দ্রুম.....হুড়ুম চিৎকার হয়ে বুকের মাঝে বিঁধে গেল৷
লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে সেই বিধ্বস্ত সময়ের বাস্তবতা যদি মনকে এতটা ভারাক্রান্ত করে তোলে, ভাবতে থাকি সেই অসহনীয় দোজখের ওমে— ভয়ার্ত, শঙ্কিত — প্রতি কদমে মৃত্যুর ফাঁদে বেঁচে থাকা মানুষদের কথা। এখনি হয়ত নিঃশ্বাস, কিছুক্ষণ পরে কাক শকুনের খাবার হয়ে রাস্তায় আবাস! কে জানে!
Profile Image for Salawat Ullah.
29 reviews32 followers
December 19, 2016
উপন্যাস হিসেবে এই বইটির রেটিং আমি করব না। আমার কাছে বইটিকে উপন্যাস মনে হয়নি; মনে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শুদ্ধতম ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ধংসস্তুপে দাঁড়িয়ে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক তথা নিপীড়িত এক বাঙালীর আত্মকথা। মার্চের ভয়বহতা উপলব্ধি করার জন্য এরচেয়ে মর্মস্পর্শী বই আর নেই।
Profile Image for Daina Chakma.
440 reviews772 followers
July 14, 2017
তখনো পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়নি। পঁচিশে মার্চ কালো রাত্রি এবং তার পরবর্তী কয়েকটা দিন -একাত্তরের এই দিনগুলির প্রত্যক্ষ সাক্ষী আনোয়ার পাশা। নিজের চোখে দেখা ঘটনাদি জোড়া দিয়ে যুদ্ধকালীন সময়ে লিখেছেন "রাইফেল, রোটি, আওরাত" উপন্যাসটি।

শুধুমাত্র বর্ণনা পড়ে কখনও পাকিস্তানি সেনাদের বর্বরতা পুরোপুরি অনুভব করা সম্ভব না। রাস্তা জুড়ে পড়ে আছে লাশের পর লাশ, বাড়ির ফ্লোরে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত আর রক্তের বন্যা, ড্রেনের ধারে এলোমেলো ঘুমন্ত ভঙ্গীতে পড়ে থাকা শিশুর লাশ, পিতার পাশে পুত্রের লাশ, সিঁড়িতে-ছাদে-দরজার গোড়ায় শুধু লাশ আর লাশ, দেয়ালে লেগে আছে স্কাল্প সহ খুবলে নেয়া লম্বা চুল.. কি বীভৎস একেকটা দৃশ্য! বর্বরতার নির্মম সাক্ষী। এসব নিষ্ঠুরতা নিজের চোখে দেখেও কিভাবে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত না হয়ে থাকা যায় আর নির্লিপ্তভাবে একটা উপন্যাস লিখে ফেলা যায় সেটা আমি কল্পনা করতে পারিনা!

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান আর ডঃ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুর্দাকে পাশাপাশি গুলি করা হয়েছে। মনিরুজ্জামানের লাশের পাশে আহত জ্যোতির্ময়গুহ ঠাকুর্দাকে পেয়ে যখন মনিরুজ্জামানের স্ত্রী বাসন্তী গুহঠাকুর্দার দরজায় আঘাত করে বলেন- "দিদি, বের হন। আপনার সাহেবকে ঘরে নিন। আমার সাহেব মারা গেছেন। আপনার সাহেব এখনও বেঁচে আছেন।" -এই একটা দৃশ্যে যুদ্ধকালীন সময়ে মানুষগুলোর ভেতরকার পরম আত্মীয়তা কিছুটা আঁচ করা সম্ভব। মোমেনা বেগম নামে একা ঘরে থাকা বধূটি বিশ্বাস করে রাতের বেলা আশ্রয় দিচ্ছে অসহায় অনাত্মীয় পুরুষকে। একজন বুলা কয়েকঘন্টার পরিচয়ে পরম আপন করে নিচ্ছে সুদীপ্ত সাহেবের বউ শিশুদের।

আবার ফিরোজের চাচা গাজী সাহেব, জামায়াতে ইসলামীর নেতা নিজের ঘরে আশ্রয় দিয়ে লুকিয়ে রাখা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের তিনজন পুলিশকে প্রথম সুযোগেই তুলে দিচ্ছে পাকিস্তানি মিলিটারিদের হাতে।

একাত্তরের দিনগুলোতে যেমন ভালবাসা আর বিশ্বাস ছিল তেমনি ঘৃণা আর প্রতিহিংসাও ছিল। মায়া আর পরম আত্মীয়তার পাশাপাশি স্বার্থপরতা ছিল। সেই ভয়ানক সময়ে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো যদি আজীবন পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটিকে ঘৃণা করে যায় তবে তাদের আমি একটুও দোষ দিতে পারিনা!
Profile Image for Rashedul Riyad.
58 reviews33 followers
June 23, 2020
পাঠক হিসেবে আমি বেশ নির্বিকার ধরনের মানুষ, অন্তত আমার তা-ই ধারনা ছিলো এতোদিন। কিন্তু এই বইটা আমার সেই ধারনাকে মিথ্যে প্রমান করে দিয়েছে। পড়ার সময়ে মাঝে মাঝেই দাঁতে দাঁত চেপে ধরেছি।

একটা মহামারীর সময়ে পড়েছি বলেই কি মনে এতোটা চাপ সৃষ্টি করেছে বইটা?... না, আমার তা মনে হয় না ।

পঁচিশে মার্চ এবং পরবর্তী দিনগুলো কতটুকু ভয়াবহ ছিলো ঢাকা শহরের মানুষের জন্যে? বইটা না পড়ে কতটুকু কল্পনায় আনা সম্ভব? কেউ যদি এখনো পড়ে না থাকে, আমি তাঁদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, কোনো সুস্থ কল্পনাতে তো দূরের কথা, অসুস্থ কল্পনাতেও কল্পনা করা সম্ভব নয়।

বইটা পড়ার একটা পর্যায়ে গিয়ে মনে প্রশ্ন উঠেছিলো, পঁচিশে মার্চ নিয়ে মুভি নেই কেন? কেন? কিসের জন্যে হয়নি? কেন এই উপন্যাসকে উপজীব্য করে কোনো চলচ্চিত্র নির্মান হয়নি? চলচ্চিত্র তো সময়ের প্রতিচ্ছবি মাত্র, এই জেনারেশানের কয়জন সময় নষ্ট করে এই বই পড়তে চাইবে?

কিন্তু এই বইটা যে সকলকে পড়তে হবে!

... তারপরে মনে হলো, অযথাই উত্তেজিত হয়েছি, এই লিখা নিয়ে মুভি বানানোর যোগ্য পরিচালক, অভিনেতা এই দেশে এখন আর নেই। অন্তত আমার দেখায় মনে হয় না।

আনোয়ার পাশার লিখার ভঙ্গী বিচার করলে বইটি পুরো পাঁচতারা পাবার নয়, একটু ছিটকে যেতো হয়তো। কিন্তু আমাকে মানসিক চাপে ফেলে উনি যেরকম নির্বিকার বর্ণনা দিয়ে গেছেন, সেটার জন্যে পাঁচ তারাও কম হয়ে যায়।

প্রথমে কৃষণ চন্দরের 'গাদ্দার', তারপর এই 'রাইফেল রটি আওরাত' দুটো বই পড়ে বেশ আফসোস হচ্ছে- হায়, পড়েছে, পড়বে তো গুটি কয়েক মানুষ। কিন্তু যেই জেনারেশান বইয়ের চেয়ে মুভি ভালো বোঝে, এদের জন্যে একটা কিছু করা যায় না? কে করবে?...
Profile Image for Prithvi Shams.
111 reviews106 followers
October 31, 2014
সাহিত্যকর্ম হিসেবে এই বইটির লেখনী আমার ভাল লাগেনি। তবে সাহিত্যকর্ম নয়, বইটি একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। লেখক অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ হয়েছিলেন,মৃত্যুর আগ পর্যন্ত্য তিনি যা দেখেছেন সেটাই এই উপন্যাসের বয়ানে ধৃত হয়েছে। '৭১ এর সংকটকালেও বাঙ্গালীদের মাঝে প্রচুর আদর্শগতভাবে পাকিস্তানী ও আদর্শহীন সুবিধাবাদী ছিল, এখনও আছে। বিপর্যয়কালে মানুষের ইন্দ্রিয় অনেক বেশি সজাগ ও তীক্ষ্ণ থাকে, তখনকার মানুষ হয়ত একারণেই এসব বাংপাকিদের শণাক্ত করতে পেরেছিল। এখন আমরা "ভিন্নমত", "রিকনসিলিয়েশন", "নির্দলীয়, নিরপেক্ষতা" প্রভৃতি ধোঁয়া তুলে বাংপাকিদের সাথে সহাবস্থানের ফতোয়া দেই। এই বইটি সবার জন্যই অবশ্যপাঠ্য, বিশেষ করে এসব ফতোয়াবাজদের দ্বারা প্রলুদ্ধকৃতদের জন্য।
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
542 reviews
August 22, 2024
এই উপন্যাস একাত্তরে লেখা। যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই। কিন্তু আনোয়ার পাশা বিজয় দেখে যেতে পারেননি। ১৪ ডিসেম্বর তাকে হত্যা করা হয়।
১৯৭১ নিয়ে লেখা বইপত্রের সংখ্যা বাংলায় কম নয়। তবে এটিকে আলাদা চোখে দেখা প্রয়োজন। এত অস্থিরতার সময়ে মানুষ যখন নিজের জীবন হাতে নিয়ে ঘুরছিল পাগলের মতো, তখন এটি লেখা।
আনোয়ার পাশার হস্তাক্ষরে পাওয়া যায় বইয়ের রচনাকাল এপ্রিল হতে জুন। অবশ্য ঘটনা বেশিরভাগই ২৬শে মার্চ ও এর পরের কিছু দিন নিয়ে।
সমালোচকের চোখ দিয়ে দেখলে এই বইয়ের দোষ বের করা যায়। কাহিনির স্থিরতা নেই। এক ঘটনা বলে এরপরে আবার অনেক কিছু বলে পূর্বের ঘটনায় ফিরে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু এত কিছু আমলে নিলে হয় না।
মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে থেকে লেখা এই উপন্যাসকে পাঁচ তারা দিতেই হয়।
Profile Image for Shoumik Hossain.
15 reviews
August 5, 2022
এটি শুধুমাত্র উপন্যাস নয়,মুক্তিযুদ্ধের বিশুদ্ধ দলিল।
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,956 followers
March 17, 2014
বই এরশুরুতেই একটা কথা লিখা আছে যে, শিল্পী কে হয়ত মারা যায়, কিন্তু তার শিল্প কে নয়। তার একদম আদর্শ উদাহরণ। ৭১ এর ২৫শে মার্চ কি হয়েছিল?? কিসের প্রেক্ষিতে হয়েছিল? কেন হয়েছিল? কিভাবে হয়েছিল?? তার ই উত্তর মিলবে বইটা তে। ক্ষমতার লোভে মানুষ যে মানুষ কে কিভাবে নির্বিচারে হত্যা করতে পারে, তার প্রত্যক্ষদর্শী হচ্ছেন বই এর লেখক। গল্পের বক্তা সুদীপ্ত এর মাধ্যমে আসলে তিনি নিজের ই একটি সেলফ পোর্ট্রেট আকতে চেয়েছেন। কারো যদি ২৫শে মার্চের ঐ ঘটনার প্রতি বিন্দুমাত্র ও কিছু প্রশ্ন থেকে থাকে তার এই বইটি অবশ্যপাঠ্য। বইটির আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে বইটির রচনাকাল। ৭১ এর এপ্রিল থেকে জুন মাস। ফলে তখনকার ঢাকাবাসীর রাজনৈতিক চিন্তাভাবিনা ও জীবনযাত্রার একটার চিত্র ও ফুটে উঠেছে বইটিতে। কালরাত্রির বর্ণনাটাও শিউরে ওঠার মত এবং অতিশয় বাস্তব। বইটা পড়বেন আর পাকবাহিনীর উপর ঘৃণায় আপনার শরীর মোচড় দিয়ে উঠবেনা তা হতেই পারেনা। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর যে পাক বাহিনীর আলাদা ক্ষোভ ছিল তাও ফুটে ওঠে বইটিতে। কাল রাত্রিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাগুলোতে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চলেছিল তার চিত্র ফুটিয়ে তুলতে লেখক শতভাগ সফল। লেখনীর ধরণটাও অসাধারণ। কিন্তু যেই স্বাধীনতার স্বপ্ন লেখক বইটিতে দেখেছিলেন, তা তিনি প্রত্যক্ষ করে যেতে পারেন নি। স্বাধীনতার মাত্র দুদিন আগে বর্বরদের হাতে মৃত্যু হয় তার। :(
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews25 followers
July 6, 2023
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখিত প্রথম উপন্যাস।(প্রকাশকাল হিসেবে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'একটি কালো মেয়ের কথা'।) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে উপন্যাসটি লিখেছেন আনোয়ার পাশা এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তানি বাহিনী তাকে হত্যা করে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। কোনো ঘটনা সম্পর্কে ইতিহাসের বই পড়লে ঘটনাপ্রবাহ জানা যায়। একই ঘটনার উপর লিখিত উপন্যাসে তৎকালীন মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং পরিস্থিতি উঠে আসে। উপন্যাসটিতে যুদ্ধকালীন মানুষের দুর্দশা, পালিয়ে বেড়ানো, অনিশ্চিত জীবনযাপনের চিত্র পাওয়া যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহিন। নামটা হিন্দু-মুসলমান মেলবন্ধনের মনে হলেও চাকরি পাওয়ার জন্য নাম পাল্টাতে হয়েছিল। পঁচিশে মার্চের রাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হামলা চালায় তখন পরিবার নিয়ে নীলক্ষেত আবাসিক এলাকাতেই ছিলেন তিনি। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে পাকিস্তানি সেনারা ঢুকলেও খাটের নিচে উঁকি দিয়ে দেখার দাগিদ বোধ করেনি তারা। যদি দেখতো তাহলে আর পৃথিবীর আলো দেখতে হতো না তাদের। সেখানেই পরেরদিন কাটিয়ে কোনোরকম এক কাপড়ে বের হয়ে যেতে হয় তাদের। আবার যদি হানাদাররা চলে আসে! বন্ধু ফিরোজ একজন সক্রিয় আওয়ামিলীগ কর্মী। বন্ধু ফিরোজের বাড়িতে সুদীপ্ত শাহিন যখন পরিবার নিয়ে যায়, তখন পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা তাদের বাসা ছাড়তে পরামর্শ দেয়। কারণ ঢাকাতে কোনো আওয়ামিলীগ কর্মীরাই নিরাপদে নেই। অথচ এই বাসিন্দারাই যুদ্ধ শুরুর আগে আওয়ামিলীগ নেতাদের তোয়াজ করে চলতেন।

সুদীপ্ত শাহিনের মধ্য দিয়ে আমরা লেখক আনোয়ার পাশাকেই দেখতে পাই। যুদ্ধের প্রারম্ভ তিনি খুব নিকট থেকেই অবলোকন করেছিলেন, যার ছাপ পুরো বইটিতেই স্পষ্ট। যুদ্ধের শুরুর আগে ও পরের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। অনেকেই সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার লোভে পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করে। আওয়ামীলীগের কর্মীরা সবাই ঢাকা থেকে সরে যেতে থাকে। ছাব্বিশ ও সাতাশ মার্চের দিনগুলোতে ঢাকা শহরের রাস্তায় কুকুর পর্যন্ত দেখা যায় নি; এতটাই ত্রাস সৃষ্টি করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। আজান দিতে গিয়ে মুয়াজ্জিনের গুলি খাওয়া কিংবা একজন চিত্রশিল্পীকে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী শুধু অন্যায়ই করেনি, অমানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যুদ্ধের সময় তিনটি বিষয়ে মেতে ছিল; অস্ত্র, খাবার ও বাঙালি নারী। সেই ভাবনা হতেই উপন্যাসের নামকরণ করেছেন লেখক।

শহীদ অধ্যাপক আনোয়ার পাশা পঁচিশে মার্চ গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর দিনগুলোর অনিশ্চিত জীবনযাপনের চিত্রকে উপস্থাপন করেছেন সুদীপ্ত শাহিনের মধ্য দিয়ে। ভাষাশৈলি নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে, তবে আমি মনে করি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর যতগুলো উপন্যাস রচিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এই বইটি প্রথম সারিতে থাকবে। যুদ্ধের মনস্তাত্ত্বিক ও অস্থিতিশীল জীবনের চাপকে অনুভব করতে এবং গণহত্যার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মানুষের দর্শনকে জানার জন্য বইটি পড়তে পারেন। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Tamanna Binte Rahman.
184 reviews140 followers
March 14, 2021
গুগল করলে কিংবা অন্যান্য রিভিউ পড়লেই এই বই সম্পর্কে জানা যাবে। সে পথে হাঁটছিনা তাই। শুধু মনে হল, বইটা শুরু করবার আগে যথেষ্ট পরিমাণ মানসিক শক্তি রাখা উচিৎ। কারণ বইয়ের পরতে পরতে ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পাক হানাদারদের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের যে বর্ণনা রয়েছে তা সইবার ক্ষমতা সবার নাও থাকতে পারে।

গল্পের মূল চরিত্রের ছায়ায় নিজের চাক্ষুষতা লিখে যাওয়া সে গল্পে নারকীয় হত্যাকান্ডের মোটিফ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলেছিলেন লেখক পাঠকদের জন্য। বাংলাদেশের সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষকশ্রেণিকে নির্মূল করে ফেলে এই অঞ্চলকে মুর্খতা, কুপমুন্ডকতা, ধর্মীয় নানা কুসংস্কারে আবদ্ধ করে যুগের পর যুগ নিষ্পেষিত করার যে নীল নকশা পাকবাহীনির ছিল সেটা সম্ভবত তিনিই সর্বপ্রথম লিখিতভাবে তুলে ধরেছিলেন এই লেখায়। নাস্তিক, কাফের আখ্যা দিয়ে কীভাবে বুদ্ধিজীবীদের খতম করা হবে সে আশংকা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই তাঁর মনে উদয় হয়েছিল। রাজনীতি নিয়ে নানা স্পর্শকাতর প্রশ্ন তুলেছিলেন বলেই কী তারও শেষ রক্ষা হয়নি? ১৪ ডিসেম্বর অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের মত তাঁকেও মেরে ফেলা হল?

বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে প্রাজ্ঞ, জনদরদী মানুষের বিপুল রক্তের এবং ন��রীদের উপর দীর্ঘ যৌন নির্যাতনের বিনিময়ে। এক যুদ্ধে যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা হয়তো আর কোনদিন পূরণ হবার নয়। আর তাই হয়তো স্বাধীনতার ৫০তম জয়ন্তীতেও ধর্মের নামে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে, ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে মানুষকে মেরে ফেলার দীর্ঘমেয়েদী পরিকল্পনা কীভাবে বাস্তবায়িত হয় সেসব দেখতে পাই। কে কাকে বলবে “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে কেউ নাই।”

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাস গ্রন্থিত হয়েছে লেখকের বিশুদ্ধ লেখনীতে আফসোস তাকেও বেঁচে থাকতে দিলোনা তারা। তার লেখনী শুধু চুম্বকের মত পাঠক ধরেই রাখেনা বরং একইসাথে চিন্তার খোরাক যোগায়। যেকোন ঘটনার অন্তর্নিহিত ব্যখ্যা বের করার বিষয়ে লেখকের জুড়ি মেলা ভার এমনকি এই প্রজন্মে এসেও। জহির রায়হানকে আরো বেশি সময় বাংলাদেশ পায়নি বলে আফসোস ছিল। এখন সেই সাথে যুক্ত হল আরেকটি নাম 'আনোয়ার পাশা"।
Profile Image for Rakib Hasan.
455 reviews79 followers
July 27, 2023
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য অনেক গর্বের একটা বিষয় কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময়টা মোটেও আনন্দের কিছু ছিলো না। জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে প্রতিটা দিন পার করতে হয়েছে নিরীহ মানুষগুলোকে।

২৫শে মার্চের সেই গনহত্যা নিয়ে লেখা এই বইটি। স্বল্প পরিসরের এই বইটি যেকোনো ভাবে মনে দাগ কেটে যাওয়ার মত এবং সেই দাগটা অবশ্যই বিষাদের।
Profile Image for HK Rafi.
3 reviews1 follower
July 7, 2022
বাঙালির ইতিহাসের জঘন্যতম রাত ২৫শে মার্চ যে আসলে কতটা বর্বরোচিত ছিল তার সুবিস্তর বর্ণনা আছে আনোয়ার পাশার 'রাইফেল, রোটি, আওরাত 'বইয়ে। যেকোনো বাঙালি বইটি পড়ার সময় তাদের পূর্বপুরুষদের আত্বত্যাগ সম্পর্কে গর্ববোধ করবে। সাথে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রতি ঘৃণায় মন ত্যক্ত হয়ে উঠবে। ১৯৭১ এর যুদ্ধটা যে কতটা অপরিহার্য ছিল বাঙালির জন্য তা গভীরভাবে উপলব্ধি করা যায় বইটি পড়ে। বাঙালিদের উপর পাকিস্তানীদের শোষণের পরিধি কত অমানবিক ছিল সেটাও ক্ষণেক্ষণে স্মরণ করিয়ে দেয় আনোয়ার পাশার এই কালজয়ী উপন্যাস। মানুষ কতটা নির্মম হলে কোলের শিশুকে হত্যা করে মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারে! কতটা বিবেকহীন হলে ইসলামের নামে গণহত্যাকে বৈধ বানাতে পারে!
লেখক 'সুদীপ্ত শাহীন" নামক এক কাল্পনিক চরিত্রের চোখে '৭১ এর সেই কালরাতের বর্ণনা দিয়েছেন। চরিত্রটি কাল্পনিক হলেও উপন্যাসের প্রায় বাকিসব চরিত্র ও ঘটনাই বাস্তব। আর এই চরিত্রটি আসলে লেখক নিজের ছায়াতেই লিখেছেন। লেখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ায় উপন্যাসটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর আশেপাশের এলাকায় ঘটা ঘটনাগুলোর বিবরণই বেশি উঠে এসেছে। অধ্যাপক আনোয়ার পাশাকে হানাদার বাহিনীরা '৭১ এর আরেক কালরাত ১৪ ডিসেম্বরে হত্যা করলেও 'সুদীপ্ত শাহীন'কে হত্যা করতে পারে নি। 'সুদীপ্ত শাহীন' এবং 'রাইফেল, রোটি, আওরাত' বাঙালির হৃদয়ে অমর।
Profile Image for Shafi Ibtesham.
89 reviews13 followers
July 23, 2015
মুক্তিযুদ্ধের নৃশংসতা নিয়ে একবার কোন একজন জনপ্রিয় লেখক(স্মৃতি প্রতারণা না করলে হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন, একটা সময়ে পরে এই নৃশংসতার বর্ণনা পড়লে অনেকেই বিশ্বাস করবেনা এমনটি যে সতি্যি হয়েছিলো। রাইফেল রোটি আওরাত, এমন একটা বই। লেখক শহীদ আনোয়ার পাশা, খুব কাছ থেকে ২৫শে মার্চের ভয়াল রাতের নৃশংস গণহত্যার বর্ণনা দেখেছেন, ইতিহাস হিসেবে তার ছোট ছোট বর্ণনা বই এ তুলে রেখেছেন। সাহিত্যকর্ম হিসেবে বইটাকে মূল্যায়নের যোগ্যতা আমার নাই, কিন্তু ইতিহাস হিসেবে আমি মনে করি প্রতিটা বাংলাদেশীর জন্য অবশ্যপাঠ্য মুক্তিযুদ্ধের বই। বইটা পড়ার পরে একটা ছোট পর্যবেক্ষণ - এই ২০১৫ সালে এসেও আশেপাশে অনেক অনেক বাংলাদেশীর মাঝেও দেখি ৭১ সালের সেই পাকি হায়েনার সাম্প্রতিক মনোভাব। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠের বিকল্প নাই।

Profile Image for Ruhin Joyee.
51 reviews149 followers
December 19, 2016
মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরের তিনদিনের বর্ণনা কেবল এখানে, শুধু মাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও আশেপাশের। এইটুকুতেই কি হৃদয়বিদারক দৃশ্য তুলে ধরেছেন লেখক, পাক বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার, তা বইটা না পড়লে বোঝা যাবেনা। বইটা পড়তে পড়তে ঘটনাগুলো ভিজুয়ালাইজ করতে করতে বার বার স্তব্ধ হয়ে যাই; মানুষ কিভাবে অন্য মানুষকে এরকম করে অত্যাচার নিপীড়ন হত্যা করতে পারে! একটা জাতিকে ভেঙ্গে দেয়ার এই নির্লজ্জ প্রয়াসের পরেও আমরা আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি মাত্র নয় মাস পরে, কি অবিস্মরণীয় একটা ব্যাপার। লেখকের স্যাটায়ারিকাল বর্ণনা এত কষ্টের মাঝেও হাসায়, ভাবায়। সমস্ত বাঙ্গালির জন্যে এই বইটা মাস্ট রিড।
Profile Image for Mahmud Hossain Shanto (The Master) .
2 reviews23 followers
March 25, 2017
Rifle , Roti , Aorat (Rifles, Bread ,Women)
25th March 1971 , is the night where humanity witnessed one of the darkest sides of human history, a night to be reckoned with infamy, a cold blooded genocide to uproot the identity of our nation , Bangladesh . The novel started with the darkest night of 25th March through the narrative of a character Sudipto Shahin and there on seeing the burning face of a nation in later months.The novel ended up expressing the hope of liberty as the writer could sense it even in June.
It was an unjust war. A war against humanity by those hyenas who killed people with unbelievable brutality. The writer himself was not involved with the resistance movement , but his whole existence was Yearning for vengeance. He could sense that the glorious moment was itching closer. He had been yearning for that day, but little did he know that he'd be the one to pay the debt of liberty.
Profile Image for Anupoma Sharmin Anonya.
72 reviews1 follower
July 22, 2025
চারদিকে মৃত্যুর মিছিল আর পাষণ্ড বর্বরতার ছাপ। প্রতি মুহূর্তে কী ভয়! কখন কী দুর্বিপাকে পড়তে হয়! সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে লেখক জীবন দিয়ে এক শিল্প উপহার দিয়ে গেলেন যার পুরোটাই মোড়ানো ছিল অবিমিশ্র অনুভূতি দিয়ে, যা ছিল একইসাথে বিস্ময়ের, হতাশার এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার। বইটি মুক্তিযুদ্ধের শুদ্ধতম ইতিহাস, নির্ভেজাল বর্ণনা। যেন কেউ ২৫শে মার্চের পর ধ্বংসযজ্ঞ ঘুরে ঘুরে দেখছে আর রিপোর্ট টুকছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় নিষ্ঠুরতা আর সাধারণ মানুষের তা থেকে পালিয়ে বাঁচার যে কাহিনী, যেন মনে হচ্ছিল তারা আমাদের মত সাধারণ মানুষ ছিল না। থমথমে রাতে সবাই নির্বিকার হয়ে যায়, কোন আবেগ তাদের স্পর্শ করেনা। আর যারা ধর্মের লেবাস পরে এই হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছে তারা? সুদীপ্ত শাহীনকে ঘিরে কাহিনী আবর্তিত হলেও, এ বোঝা কোন বিষম দায় নয় যে, যুদ্ধ কেমন হিংস্র পশু। চাক্ষুস দলিল এই অনবদ্য বইটি যুদ্ধের একটা অধ্যায়কে যেন জীবন্ত করে তুলেছে। অনবদ্য!
"নতুন মানুষ, নতুন পরিচয় এবং নতুন একটি প্রভাত। সে আর কতো দূরে। বেশি দূরে হতে পারে না। মাত্র এই রাতটুকু তো! মা ভৈঃ! কেটে যাবে।”

কেটে যাক ঘোর অমানিশা। মানবতার জয় হোক।

20 আগস্ট, 2021
Profile Image for Tisha.
17 reviews16 followers
November 8, 2023
বাদ যায়নি কেউ, সে কোলের শিশু থেকে অন্তঃসত্তা নারী অথবা বৃদ্ধ! নিষ্ঠুরতার, বর্বরতার এই বীভৎস  রূপ প্রতিটি পৃষ্ঠায় পড়তে গিয়ে গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে।  মানুষ নামের পশু কতোগুলো , ধর্মের নামে কি অবলীলায় রক্তের বন্যা বয়ে দিলো। 
বুঝতে পারছি না তারাতাড়ি বইটি শেষ করবো নাকি লিখনির মোহে আরো কিছুক্ষণ নিজেকে বেঁধে রাখবো।  কি আশ্চর্যের সাথে বাঁধিয়ে গুছিয়ে, নৈপুণ্যের সাথে লিখে ফেললেন সেই কালরাত্রির ঘটনা, বিভীষিকাময় পরবর্তী দিনগুলো। 
Profile Image for Shishir.
186 reviews39 followers
June 29, 2025
"মধুদা জানতেন না যে, ছাত্রদের প্রিয় হওয়া অপরাধের। শুধুই মধুদা কেন, পৃথিবীর কোন মানুষেরই তা জানার কথা নয়। মধুদার ঋণ আমরা কী করে শোধ করর! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই শুধু মধুদার কাছে ঋণী? আক্ষরিক অর্থে তাই! বহু ছাত্রই তাঁর ক্যান্টিনের ঋণ শোধ করতে পারে নি । কেউ কেউ তার মধ্যে ইচ্ছে করেও বটে। সব ছাত্রই কি ভাল থাকে । কিন্তু মধুদা সব ছাত্রকেই ভাল জানতেন । ছাত্রদের তিনি কি দৃষ্টিতে দেখতেন?

তোমরা দেশকে বাঁচাবে, আর আমি তোমাদের বাঁচাব না?"
Profile Image for Masud Sojib.
35 reviews43 followers
January 13, 2015
মানুষের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন গভীর সংকট, উৎকন্ঠা, আশা-নিরাশা আর স্বাধীনতার অপেক্ষায় স্বপ্নময় বেদনার এক উপ্যাখান “রাইফেল রোটি আওরাত। নির্মোহ বর্ণনা, আবেগকে দূরে সরিয়ে ইতিহাসের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখা আর সোনালী স্বপ্নের কাছে বারবার ফিরে যাওয়ার আকুতি ফুটে ওঠেছে রাইফেল রোটি আওরাত উপন্যাসের প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়। তাই ১৮৯ পৃষ্ঠার উপন্যাসটি ক্রমশ ভারী থেকে আরো ভারী হয়ে ওঠেছে মূল্যবোধের ঘরে আর ভারী করে তুলে পাঠকের দীর্ঘশ্বাসকে।

মার্চের শেষ কয়টি দিন আর এপ্রিলের প্রথম সাপ্তাহ এর মাঝেই উপন্যাসের কাহিনী রচিত। আর এই কয়টি দিনের বর্ণনাই একজন পাঠকের সামনে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানিদের বিভৎসতা, খুন ও ধর্ষনের অব্যক্ত চিত্রমালা, আর বাঙালির আজন্ম মমত্ববোধ সুনিপুঁণ ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক। মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর বিভীষিকা আঁকা, আত্নত্যাগ আর দেশপ্রেমের নজীরবিহীন গল্পগুলো বলে যাওয়া সহজ কথা নয়। আর সেই কঠিন কাজটি করেছেন লেখক আনোয়ার পাশা। গল্পের নায়ক সুদীপ্ত শাহীন উপন্যাসে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ আর বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংকল্প-প্রত্যয় আর স্বপ্ন কল্পনারই যেন প্রতীক। যিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন ২৫ শে মার্চের রাতে, কিন্তু বাঁচেনি তার আশে-পাশের পরিচত প্রতিবেশী কেউ। উপন্যাসের বর্ণনার স্থান নীলক্ষেত-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন, যেখানে ৭১ এর ২৫ শে মার্চের সবচেয়ে বেশি পাকিস্থানিদের ক্রোধ ঝরেছে, যেখান থেকে বাঙালির সকল মুক্তি সংগ্রামের আন্দোলনের সূচনা ঘটেছে। সেখানেই বসবাস ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক সুদীপ্ত শাহীনের। যিনি দেখেছেন অলৌকিক ভাবে বেঁচে গিয়ে ২৬ শে মার্চের দীর্ঘতম সূর্যদয়ের পর দেখেছেন তার ২৩ নাম্বার বাসার সহ প্রতিটি বিল্ডিং রক্তের গভীর ছাপ, কোথাও মাংসের দলা, দেখেছেন তাদের বাসভবনের সামনে স্তুপ করে রাখা কুকুর আর মানুষের লাশের সারি।

সুদীপ্ত শাহীন একজন আধুনিক মনের প্রগতিশীল মানুষ, যিনি দেখেছেন সাচ্চা ইসলামের নামে কেমন করে পাপিস্থানীরা বাঙালি নিধনে নেমেছে, কি করে তাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়েছে আর বিশ্বচোখ কে ফাঁকি দিতে কোন কোন কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। সুদীপ্তের চারপাশেই ছিলো পাপিস্থান মনা অসংখ্য মানুষ, যার কেউ বিশ্ববদ্যালয়ে অধ্যাপক কেউবা লেখক কেউবা আবার কেউ বিজ্ঞানী। এদের ধর্মান্ধতা- অজ্ঞতা যে সর্বোচ্চ ডিগ্রীও দূর করতে পারেনি সেটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে “রাইফেল রোটি আওরাতে”। তেমনি একজন আব্দল খালেক, যিনি নিজেকে দাবি করেন বিজ্ঞাণী, এই বিজ্ঞানী সাহেব আবার সাহত্য-পলিটিক্স কোনটাই বুঝেন না। কিন্তু একটা জিনিস বুঝেন বলে দাবি করেন। সেটা ইসলাম। তার মতে ইসলামের খেদমতের জন্যে পাকিস্থান হয়েছে,আর পাকিস্থান বানিয়েছে কায়েদ আযম। পাকিস্থান ও পাকিস্থানের সেনাবাহিনী এদেরকে বিনা বিতর্কে মেনে নিতে হবে, ঈমানদার হতে হবে। খালেক সাহেবের মতে- পাকিস্তানী মুসলমানের ঈমানের পাঁচ স্তম্ভ হচ্ছে- আল্লাহ, আল্লাহ-রসুল, কায়েদে আযম, পাকিস্থান আর পাকিস্থান সেনাবাহিনী। এই পাঁচের উপর অগাধ আস্থা স্থাপন করে খালেক সাহেব খাঁটি মুসলমান, অবশ্যই পাকিস্থানি মুসলমান। এই পাঁচের বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা, খালেক সাহেবের মতে বিলকুল হারাম। পাকিস্তান মানেই ইসলাম, ইসলাম মানেই পাকিস্থান। সুদীপ্তের অতীত থেকে উঠে আসা প্রতিটি চরিত্র সাক্ষী হয়ে আছে সেই সময়ের নানান দৃষ্টিভঙ্গির মানুষের তথা সমাজের চিত্র। কোথাও কোথও সুদীপ্তের আত্নকথন মনের গভীরে ছড়িয়ে দিয়েছে গভীর বিষন্নতা কখনোবা মূল্যবোধের শেষ সীমানায় নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিবেকের। যেমন- পরিসংখ্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান আর ইংরেজি বিভাগের রীডার ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাসকারী মানুষ, যাদের ছিলো নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অগাধ নিষ্ঠা। পাশাপাশ দাঁড় করিয়ে দুজনকে গুলি করা হলে রক্তের ধারা মিশে গিয়েছিলো। সেই রক্তধারা দেখেছিলেন সুদীপ্ত কিন্তু সে রক্তের কোন অংশ মুসলমানের আর কোন টুকুইবা হিন্দুর তা কি কেউ চিনতে পেরেছিলো?

যুদ্ধকালীন রাজনীতি, স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুরের সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের নির্মোহ বর্ণনা রয়েছে উপন্যাসে। আজও যারা প্রোপাগান্ডা চালায় ৭১ এ শেখ মুজিবুরের নানান সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জন্যে এ বই অবশ্যই পাঠ্য। যেমন-গল্পের জামাল(যিনি মুক্তিযু্দ্ধাদের সংগঠক) বলছেন-

”মুজিব ভাই ধরা না দিলে ভালো করতেন। তিনি যে ভেবেছিলেন তাকে পেলে ওরা আর সাধারণ মানুষকে মারবে না সেটা এই দুই দিনে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে, তাছাড়া তিনি আজ বাইরে থাকেল আমাদের কাজ সহজ হতো”।

--কিন্তু ভবিষ্যতে প্রমাণিত হবে তার রাজনৈতিক দর্শন অনুসারে তিনি ধরা দিয়েই সর্বপেক্ষা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন-বলে উঠেন বুলা( কমিনিষ্ট ধারার রাজনীতির সাথে জড়িত গেরিলা যোদ্ধা)

অন্যদিকে সুদীপ্তর বন্ধু ফিরোজের ভাষায় “মুজিব ভাই কারো কথা শুনেননি, ঢাকা ছেড়ে যেতে রাজী হননি, আমার দেশের মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে আমি নিরাপত্তার সন্ধানে বেরুব, অসম্ভব। এমন মানসিকতা বহন করতে পারেন একমাত্র বোধহয় ঐ লোকটিই। অন্তত: পাকিস্তানে আর কেউ তা পারেনি।

সুদীপ্তর ভাষায়, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষন, সেই কন্ঠস্বর একবার তা যে বাঙালির কানে গেছে জীবনের মতো সে হয়ে গেছে অন্য মানুষ। কিন্তু হয়নি যারা? তারা মানুষ নয়, তারা রক্তলোভী পিচাশের দল।

উপন্যাসের রচনাশৈলী নিয়ে যদি আলোচনা করা হয় সেখানেও উজ্জ্বল লেখকের লেখনী, যা হয়ে ওঠেছে ক্রমশ আশ্চর্য শিল্প। শহিদুল জহিরের মতো আনোয়ার পাশাও খুব সহজে এক গল্প থেকে আরেক গল্পে চলে গেছেন, অনেকগুলো গল্প একসাথে বলছেন এবং আবার মূল গল্পকারের কাছে ফিরে এসেছেন। ভাষার গাঁখুনির কিছু উদাহারণ দিয়ে আলোচনার ইতি টানি।

”জীবনের যদি কোন মূল্য থেকে থাকে, তবে মৃত্যুরও মূল্য আছে। তা না হলে দুট���ই সমান অর্থহীন। বেঁচে থাকার জন্যে মৃত্যুকে এড়াতে চাইলে সে মৃত্যু একদিন নি:শব্দে তোমার জীবনের বিপুল ব্যর্থতাকেই শুধু ঘোষনা করতে আসবে।

এতো ধ্বংসের পর স্বাধীনতা আসবে? যেন আসে। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হবে, বিশ্বের সর্বত্র বুক ফুলিয়ে বলবে আমরা গনতান্ত্রিক বাংলাদেশের মানুষ। আমরা বাঙালি।
Displaying 1 - 30 of 121 reviews

Join the discussion

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.