মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লেখক বেশ কয়েকজন কিশোরের সংস্পর্শে আসেন যারা নানা ভাবে যুদ্ধের ময়দানে তাঁকে সহযোগিতা করেছিলো। সেইসব কিশোরদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেই এই বই।
জন্ম বগুড়া জেলার রজাকপুর গ্রামে। পিতা মরহুম আব্দুল হামিদ। তারেক ছিলেন বগুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র। ১৯৭১ এ ছাত্রাবস্থায় তিনি ৭নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একজন অকুতােভয় অসীম সাহসী যােদ্ধা হিসেবে বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীরবিক্রম’ উপাধিতে ভূষিত হন। বগুড়া জেলায় তিনিই একমাত্র ‘বীরবিক্রম' পদকে ভূষিত মুক্তিযােদ্ধা। ১৯৭৪-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যােগদান করেন এবং ১৯৮৯-এ আকালীন বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণ করেন। জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। তার লেখা জলছবি ৭১; একাত্তরের কিশাের মুক্তিযােদ্ধা; কোথায় হারিয়ে গেল তারা; রক্তের সমুদ্রে হাল ধরেছিল যারা এবং বাবা যখন পুলিশ ছিলেন পাঠক সমাজে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রিয় রমজান আলী, শশীলাল চর্মকার, নুরু নাপিত, পুতুল, আজিজ মন্ডল, বারেক, তোতা, বাবর আলি এবং এই মেয়ে তুমি, তোমার নাম তো জিজ্ঞেসই করা হয়নি, তোমরা তো কমপ্লেন খাওয়া ফার্স্ট ক্লাস বাচ্চাকাচ্চা ছিলে না? তোমরা কিভাবে জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের জন্য যুদ্ধ করলে? কিভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে উঠলে? তোমাদের জন্য যে আমরা একটা দেশ পেয়ে গেলাম। তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। ভালো থেকো কেমন?