ব্যক্তিগত রচনা শিরোনামে আমি এক ধরনের লেখা অনেক দিন থেকেই লিখছি। শুরু করেছিলাম ‘হোটেল গ্রেভার ইন’ দিয়ে। প্রকাশ করেছিল কাকলী প্রকাশনী।এই ধারার সর্বশেষ রচনা ‘এই আমি।’ এর প্রকাশকও কাকলী। যেখানে থেকে শুরু সেখানেই শেষ।চক্র সম্পন্ন হল।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
হুমায়ন আহমেদের আত্মজীবনী বা আত্মস্মৃতি টাইপ লেখাগুলোর আলাদা বিশেষত্ব আছে।তিনি এমন আন্তরিক সুরে লিখেন যে মনে হয় অবসর সময়ে পাঠকের সাথে দুই-চাইরটা আলাপ করতেছেন। কথায় কথায় আবেগহীন ভঙ্গিতে নানান গল্প বলেন যা আবেগে ভরপুর। কখনো কখনো মনে সন্দেহ হয় এটা নিশ্চয় বানানো।কিন্তু কোনটা যে গল্প আর কোনটা যে কল্পনা তা ধরতে পারার সাধ্য হয়না। তিনি গল্প বলতে থাকেন ক্যাজুয়াল ভঙ্গিতে,কিন্তু টেনে রাখে চুম্বকের মতো। পড়তে পড়তে হঠাৎ চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে যায়। তখন জগৎ যে বড়ই রহস্যময় সে কথার সাথে একমত না হয়ে পারা যায়না।
হুমায়ূন আহমেদ স্যারের স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে সবসময় অসম্ভব ভালো লাগে । বিশেষ করে তা যদি হয় 'অনন্ত অম্বরে' কিংবা 'কিছু শৈশব'এ র মতো দুর্দান্ত । বইটিতে স্যার তার জীবনের বিশেষ কিছু স্মৃতিকথা ও বিষয় বর্ণনা করেছেন। প্রথম পরিচ্ছেদে পরিলক্ষিত হয় হুমায়ুন আহমদ একসময় হঠাৎ তার সন্তানদের কাছে অপ্রিয় হয়ে যায়। আসলেই কী হয় ? স্যার কে কিছুটা হইলেও চিনতে পারবেন এই পরিচ্ছেদে । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদঃ 'চোখ'। হুমায়ুন আহমদের খ্যাতিসম্পন্ন ছোট গল্প। এখানে হাসান আলীকে চুরির দায়ে তার চোখ তোলা হবে। অসাধারণ লোমহর্ষক গল্পের সারসংক্ষেপ দেয়া আছে। তৃতীয় পরিচ্ছেদে, হুমায়ূন স্যার রূপকথার গল্পে পেট্রোফায়েড ফরেস্ট সম্পর্কে পড়ে। কিন্তু হঠাৎ তার বাস্তব জীবনে আমেরিকার সাউথ ডাকোটায় এ ফরেস্টের দেখা মেলে।
এছাড়া বইটিতে আছে নারকেল মামা, চান্নিপসর রাইত নামে মজার দুটি অনুচ্ছেদ। আছে তার দু'জন বিশেষ বন্ধুর স্মৃতিকথন, তার একজন লালচুল ওয়ালা ব্যক্তি ( অসাধারণ গল্প ) । এছাড়া মিসির আলী, হিমু ও অন্যান্য খ্যাতিমান চরিত্রের বর্ণনাও রয়েছে এখানে । আর সবচেয়ে বড় বেপার হলো সকলের ভলোবাসা বাকের ভাইয়ের স্মৃতি কথা ও আছে । তাই যারা স্যারের আত্মজীবনীমূলক বই পড়তে ভালবাসেন তারা অতি তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন।
হুমায়ূনের আত্মজীবনী মাঝে মাঝে হালকা আমেজে পড়ার জন্য উত্তম। বড্ড শরীর খারাপে বিছানায়ে এলায়ে দিয়ে বইটা পড়লাম। জজ সাহেবের গল্পটা আর মালয়েশিয়ান বেটার গল্পটা চরম লাগছে। শফিক সাহেবের গল্প হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। হুমায়ূনের জীবনের মতন আমার জীবনে এমন অদ্ভুত মানুষের সহিত সাক্ষাৎ হইছে কম কিংবা উনারা দৃষ্টিগোচর হইলেও উনাদের মর্মার্থ এত অসাধারণভাবে অনুভব করি নাই। তবে জীবনে কিছু উদ্ভট এবং অসাধারণ মানুষের সাথে দেখা হওয়া দরকার। নইলে এই পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখা আধুরা রয়ে যাবে। এই আমি বইটা দূর্বলভাবে শুরু হইলেও শেষ পর্যন্ত অনেক ভাল লাগছে। জ্বরে ঘোরলাগা অবস্থায় পড়ছি দেখে কিনা বুঝতেছি না। অবশ্য উনার লেখা পড়লে যে কেউ এমনিই ঘোরে চইলা যাবে।
বইঃ এই আমি লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশকঃ কাকলী প্রকাশনী
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ ভেবেছিলাম বইটি হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক লেখা। পরে দেখলাম, না...কয়েকটি গল্প ওই ধরণের হলেও বইটিকে আসলে গল্প সংকলন বলা চলে। আর কে না জানে, হুমায়ূন আহমেদের ছোট গল্প কতটা সুখপাঠ্য হয়। আমার কাছে তার উপন্যাসগুলোর চাইতে ছোট গল্পই বেশি ভালো লাগে। খুব সাধারণ কিছু লিখতে লিখতেই তিনি পাঠকের চোখে জল আনতে পারেন। ‘পেট্রিফায়েড ফরেস্ট’ গল্পটির কথাই ধরা যাক। খুব সাধারণভাবে শুরু হওয়া গল্পটির শেষের দিকে এসে আপনার চোখে পানি চলে আসবে। তবে কষ্টে নয়, সুন্দর সমাপ্তির আনন্দে। ‘উমেশ’ গল্পটিও সেরকম। এরকম আরও কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া ও ভাবনার খোরাক জাগানিয়া গল্প রয়েছে বইটিতে। যারা পড়েননি, তারা পড়ে দেখতে পারেন। সময়টুকু মন্দ কাটবে না, এই নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।
হুমায়ূন আহমেদের জীবনি মানে অন্য রকম ভালো লাগা। 'এই আমি' বইটি এর ব্যাতিক্রম নয়। হুমায়ূন আহমেদর জীবনে ঘটে যাওয়া ১৪ টি গল্প নিয়ে লেখা হয়েছি এই বইটি। যদিও চোখ নামের গল্পটি তার লেখা একটি গল্প। এটা ছাড়া বাকি গুলো নিজের জীবন নিয়েই লেখা। চোখ গল্পটি নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের 'নীম ফুল' নামে একটা নাটক দেখে ছিলাম ভিটিভিতে। বর্ষাযাপন আর চান্নিপসর রাইত নামে দুটি গল্প হুমায়ূন আহমেদের আরেক জীবনি বইতে পড়ে ছিলাম এখানে কেন আবার এই দুইটি গল্প দেয়া হলো বুঝতে পারছি না। হুমায়ূন আহমেদকে বলা হয়েছিল বারবার ফিরে আসা চরিত্রগুলো নিয়ে একটা লেখা লিখতে তখন তিনি লিখলেন মিসির আলি ও অন্যান্যরা। এই গল্প আলোচনা করে হয়েছে মিসির আলি, হিমু, মহামতি ফিহা, জারী, পরী, তিলু, বিলু, নীলু ও রানুকে নিয়ে। কেন তার বইতে এই নাম গুলো বারবার আসে তা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। 'ফ্রাংকেনস্টাইন' গল্পে হুমায়ূন আহমেদ তার কোথাও কেউ নেই নাটক নিয়ে কথা বলেছেন। বাকের ভাইয়ের ফাসি নিয়ে দেশে যে পরিস্তিতির সৃষ্টি হয় তা নিয়ে লিখেছেন । আরো বেশ কিছু মজার মজার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে 'এই আমি বইটি' যা আপনাদের ভালো লাগবেই।
পড়ায় গতি ফিরায় আনতে হুমায়ুন আহমেদ পুনঃপঠনের বিকল্প নাই। এমন সহজ সাবলীল লেখা, চোখ বুলায় গেলেই পড়া হয়ে যায়! বইটা আগে পড়েছিলাম, কী যেন ভেবে গতকাল আবার পড়লাম।
বইটা হুমায়ুন আহমেদের 'ব্যক্তিগত রচনা'র অংশবিশেষ। মোট চৌদ্দটা ছোট ছোট গল্পে ভাগ করা৷ প্রত্যেকটা গল্পই একেক মাত্রার এবং অদ্ভুত সব হিউম্যান বিহেভিয়ার নিয়ে লেখা। উনার বিখ্যাত পল অরসনের বর্ষাযাপন, আলাউদ্দিনের জ্যোৎস্নাবিলাস এই বইয়েই আছে। আরেকটা জিনিস খেয়াল করলাম, বইয়ের যে চরিত্রগুলো উনি নিজের জীবনে দেখেছেন তাদের নানাভাবে নাটকে বা গল্পে ব্যবহার করেছেন। যেরকম নারকেল-মামার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে একটু পর পর সামান্য কারণে ফাঁসি নিতে জামগাছের নিচে চলে যায়৷ এই দৃশ্য আমরা উড়ে যায় বকপক্ষীর তৈয়বের মধ্যে বহুবার দেখেছি। আরেকটা জিনিস মজার লাগলো, হুমায়ুন আহমেদ বাকের ভাইকে ফ্র্যাংকেনস্টাইন বলে আখ্যায়িত করেছেন। নিজের তৈরি করা চরিত্র দিয়ে নিজেই হুমকিতে পড়েছেন বহুবার বলেই হয়ত! আর উমেশ এর গল্পটা আমার খুব ভাল্লাগছে৷
This book tells the tales of the writer's own life. They are funny, interesting, sometimes insightful and gut wrenchingly true. I got a little emotional after reading the story "Utshob ( Festival)", which tells us how we miss our dearest ones who are no longer with us on our happiest days. That our saddest days are the days of our celebrations. And then there were funny stories like " Petrified Forest." Probably the only writer who has touched so many Bangladeshis' hearts. Such a phenomenal writer and his writings are so relatable to our lives. He is no longer among us and one day we will be gone too, but people will be reading his books for decades to come.
- 📖 𝐖𝐡𝐚𝐭 𝐢𝐟 𝐭𝐡𝐞 𝐦𝐚𝐬𝐭𝐞𝐫 𝐬𝐭𝐨𝐫𝐲𝐭𝐞𝐥𝐥𝐞𝐫 𝐛𝐞𝐜𝐚𝐦𝐞 𝐭𝐡𝐞 𝐬𝐭𝐨𝐫𝐲? In his "last personal writing," এই আমি (This Is Me), Humayun Ahmed completes a circle that began with "Hotel Grevar Inn." But is this another part of his biography, or just another character he created—where the author remains more mystery than memory?
Ω 𝐎𝐧𝐞-𝐒𝐞𝐧𝐭𝐞𝐧𝐜𝐞 𝐒𝐲𝐧𝐨𝐩𝐬𝐢𝐬: In his autobiographical work এই আমি (Ei Ami), Humayun Ahmed steps away from the comfort of fiction to explore his own reflections, offering an intimate—yet frustratingly incomplete—window into the mind that gave birth to iconic characters like Himu and Misir Ali.
💭 𝐌𝐲 𝐓𝐡𝐨𝐮𝐠𝐡𝐭𝐬: Here’s the uncomfortable truth: এই আমি feels less like Humayun Ahmed’s autobiography and more like him doing what he does best—telling stories about other people while carefully avoiding himself. The book starts promisingly but quickly reveals itself as fragmented thoughts stitched together without his usual emotional grip, reading more like a dry chronology than a sincere self-examination. While flickers of brilliance shine through—his honest vulnerability in "Petrified Forest," quiet humor in tales of Judge Saheb, and that signature ability to find extraordinary humanity in ordinary encounters—these moments feel like beautifully written detours from the promised introspection. We get anecdotes, character sketches, and observations about unusual people he’s met, but rarely Humayun himself. Perhaps the man who mastered creating characters found it easier to present himself as just another character in his own story. For readers seeking deep personal insight into Bangladesh’s most beloved writer, this works better as a short story collection than the intimate self-portrait its title promises.
⁉️ 𝐐𝐎𝐓𝐃: Can a master storyteller ever truly reveal himself, or does he inevitably turn even his own life into another story?
⛉ 𝐋𝐢𝐤𝐞𝐝 𝐭𝐡𝐢𝐬 𝐩𝐨𝐬𝐭 𝐨𝐫 𝐟𝐨𝐮𝐧𝐝 𝐢𝐭 𝐡𝐞𝐥𝐩𝐟𝐮𝐥? Hit the ❤️, save it 🔖, and 𝐒𝐇𝐀𝐑𝐄 it ↗️ with fellow readers!
🔔 𝐅𝐨𝐥𝐥𝐨𝐰 𝐦𝐞 for more bookish ramblings, reviews, and recommendations. 🔗 𝑮𝑶𝑶𝑫𝑹𝑬𝑨𝑫𝑺: Nazmus Sadat → goodreads.com/dsony7 📸 𝑰𝑵𝑺𝑻𝑨𝑮𝑹𝑨𝑴: @dSHADOWcatREADS
হুমায়ূন পড়া শুরু হতে পারে এই বই দিয়ে। ছোট ছোট এই গল্প গুলো এই পরিণত বয়সে আরো ভালো লাগল। আগেরবার পড়েছিলাম ক্লাস ৮ এ খুব সম্ভব। কয়েকটা ছোট গল্প খুব ভালো লেগেছে #এই আমিঃ সোজা সাপ্টা নিজের কথা বলে গেছেন। মনে হচ্ছে "বিহাইন্ড দ্যা সীন" উনি কি কি করেন একটা গল্প উপন্যাস লিখতে গিয়ে তার বর্ননা করেছেন। #পরীক্ষাঃ বিয়ে করেছি বছর খানেক হচ্ছে, তাই এই গল্পটা খুব মিলে গেছে আমার সাথে। #লালচুলঃ আমিও এই লালচুল ওয়ালার মত হয়েই থাকব কিনা বুঝছিনা। সূরা বাকারার উদাহরণটা সত্যি ভাবনার উদ্ভব ঘটায় #মিসির আলী ও অন্যান্যঃ হুমায়ূন এর সৃষ্ট চরিত্রগুলো সম্পর্কে জানা যাবে এই গল্পে। অবশ্য প্রায় পাঠকই তা জানে। বাকী গল্পগুলোও পড়ে গেছি ভালো লাগা নিয়ে।
হুমায়ূনের আরো একটা আত্মজীবনীমূলক লেখা। বরাবরের মতোই, কিছুটা রহস্য, কিছুটা হেয়ালি, কিছুটা দর্শনের সাথে অনেকখানি হিউমার। মাঝখান থেকে উঠে এসেছে একজন লেখকের যাপিত জীবনের গল্প।
একটা চরিত্রকে লেখকরা কীভাবে তৈরি করেন, ভালোবাসেন, সেটা উঠে এসেছে হুমায়ূনের ভাষায়। কল্পনা আর বাস্তবতার দ্বন্দ্ব উঠে এসেছে। উঠে এসেছে নিজের লেখাকে মানুষকে পুরোপুরি না বোঝাতে পারার বেদনা। হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই সবার কথাই এসেছে। এসেছে লেখক পরিবারের কথাও ।
গল্প বা উপন্যাসের চেয়ে ব্যক্তি হুমায়ূনের জীবন কম চমকপ্রদ ছিলো না কোনোভাবেই। সেই চমকপ্রদ জীবনের একটা টুকরোর দেখা মিলবে এই আমি বইতে।
কুষ্টিয়া যাব। প্রিয় মৌ আপুর শহর। চুয়াডাঙায় তার গ্রামের সবুজে হারাব। কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাব। হুমায়ূন আহমেদ রবির দেখা পেয়েছিলেন, তার সাথে এক বাদলা দিনে খুব গল্প করেছেন। আধো আলো আধো অন্ধকারে তাকে হারিয়েও ফেলেছেন। আমি তাকে আবার খুঁজার চেষ্টা করব।
হুমায়ূন আহমেদের নিজের গল্প বলা একেকটা বই পড়ি আর চিন্তা করি, মানুষটা এক টুকরো রত্ন ছিলেন। তাকে যত জানব ততই জানার পিপাসা বাড়বে। এই এক জনমে হয়তো পুরোপুরি জানা সম্ভবও হবে না। নক্ষত্রের আলোয় কোটি বছর বেঁচে থাকুন প্রিয় হিমুস্রষ্টা। 💛
আত্মজীবনীমূলক যেকোনো লেখা পড়তেই আমার ভীষণ পছন্ড তার সে যার ই লেখা হোক না কেনো!আর হুমায়ুন আহমেদ হলে তো কথাই নেই!এক জীবনে একটা মানুষের বলার মতো এতো গল্প থাকতে পারে সেটা ওনার আত্মজীবনীগুলো না পড়লেই জানতামই!মাঝেমাঝেই মনে হয়,উনি ভীষণ লাকি ওনার সাথে এতো কিছু হয়েছে এবং সেগুলো উনি এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পেরেছেন!
এই বইটা আমি মাঝে মাঝে সময় পেলেই পড়ে থাকি। বইটা আহামরি অবশ্যক পাঠ্য,এমন না
তবে এ বইটা পড়া উচিত লালচু্ল নামে একটা চ্যাপ্টার আছে,যার শেষের কয়েকটা লাইন আমাদের জীবনের চিন্তাভাবনার যে সাইকোলজি তাই প্রকাশ করে।
এ বইয়ে সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদ তার জীবনের সব থেকে বেশী সময়ের নিজেকে না জানার ক্ষোভ,পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত সংসার যে কিছুটা পানসে হয়ে যাওয়া শুরু করেছে তারই প্রকাশ মাত্র
* এই আমি * চোখ * উৎসব *** পেট্রফায়েড ফরেস্ট *** সে * নারিকেল মামা *** পরীক্ষা *** আমার বন্ধু সফিক * মিসির আলি ও অন্যান্য * বর্ষাযাপন * ফ্রাংকেস্টাইন *** চান্নিপসর রাইত * লালচুল । যে গল্পগুলো বেশি ভালো লেগেছে তার আগে তিনটি *** দেয়া আছে।
আত্নস্নৃতি মূলক লেখা এর মধ্যে কয়েকটি লীলাবতীর মৃত্যু বইতে পড়েছি সবচেয়ে ভালো লেগেছে লালচুল নামক লিখাটা। হিমু, মিসির আলী চরিত্রগুলো কীভাবে এনেছেন তাও জানতে পারলাম আর জরি নামক চরিত্রটা যে তার প্রথম স্ত্রী তা জেনে অবাক হলাম
যখন আমার কিছুই ভালো লাগে না তখন আমি হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে বসে পরি। নাটক সিনেমা বা উপন্যাস পড়ে সময় কাটাই। এই বইটা আত্মজীবনীমূলক একটা বই। হুমায়ূন আহমেদের ছোট ছোট কিছু অনুভূতি ঘটনা এই বইয়ে ব্যক্ত করা হয়েছে। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে বইটা।
১৪ টি ছোট ছোট বিভিন্ন সময়ে লেখা গল্প নিয়ে এই বই। হুমায়ূনের শিক্ষকতা জীবনের সময়কার নানা গল্প উঠে এসেছে। ৮ে০’র দশকের বিভিন্ন গল্প আর নাটকের স্ক্রিপ্ট কীভাবে এলো তা নিয়েই বেশিরভাগ গল্প। মিসির আলী ও অন্যান্য-গল্পে হুমায়ূন তার উপন্যাসের প্রিয় চরিত্রগুলোকে তুলে ধরেছেন। নিজেই স্বীকার করেছেন ‘আমার মধ্যে ৩০% মিসির আলী, ৩০% হিমু আর বাকি ৩০% নিয়ে আমি নিজেই জানি না’। হুমায়ূনের নিজস্ব ঢঙে প্রতিটি গল্পই স্বীয় বৈশিষ্ট্যে অনন্য। তবে সংসারের নানা টানাপোড়েন কিংবা সন্তানদের সাথে হুমায়ূনের সম্পর্ক অনেক কিছুই জানা যায় বইটি থেকে। স্বভাবজাত ভাবেই এই বইয়ের প্রথমেও আছে কয়েকটি পঙক্তি। এবারের পঙক্তি রুমি’র।
Listen to presences inside poems. Let them take you where they will.
Follow those private hints, and never leave the premises.
হুমায়ুন আহমদের আজ জন্মদিন। বইটা পড়া জন্মদিন উপলক্ষে না, বরং আমার আমার পরীক্ষা শেষ, বিরক্তিকর সময় কাটাচ্ছি... তাই পড়লাম। পরে জানতে পারলাম আজ ওনার জন্মদিন।
বইটায় আসলে নন ফিকশন! হুমায়ুন আহমেদের জীবনের বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনা এই বইয়ে স্থান পেয়েছে। বইটিতে সর্বমোট ঘটনা রয়েছে ১৪টি। একটির সাথে অন্যটি সম্পৃক্ত নয়। বইটা পড়তে গিয়ে কখনো রাগ হচ্ছিল হুমায়ুন আহমদের প্রতি, কখনো তা দূরদর্শিতা চতুরতা এবং দৃঢ় মানসিকতার প্রতি সম্মান হচ্ছিল।
নন-ফিকশন বই আমার সাধারণত এমনিতেই বোরিং লাগে, তার উপর আত্মজীবনী মনে হয় আরও বোরিং লাগে! কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীও উনি যেভাবে মজা করে লেখেন তাতে বোর লাগবার সুযোগই নেই!