Jump to ratings and reviews
Rate this book

দম্পতি

Rate this book

128 pages, Hardcover

Published February 1, 2016

7 people are currently reading
103 people want to read

About the author

Bibhutibhushan Bandyopadhyay

204 books1,090 followers
This author has secondary bangla profile-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.

Bibhutibhushan Bandyopadhyay (Bangla: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) was an Indian Bangali author and one of the leading writers of modern Bangla literature. His best known work is the autobiographical novel, Pather Panchali: Song of the Road which was later adapted (along with Aparajito, the sequel) into the Apu Trilogy films, directed by Satyajit Ray.

The 1951 Rabindra Puraskar, the most prestigious literary award in the West Bengal state of India, was posthumously awarded to Bibhutibhushan for his novel ইছামতী.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
17 (15%)
4 stars
48 (44%)
3 stars
36 (33%)
2 stars
6 (5%)
1 star
2 (1%)
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
Profile Image for ফারহানা জাহান.
Author 5 books57 followers
August 19, 2021
৩.৫ তারা

সত্যি কথা বলতে বইটা শেষ করে গা-পিত্তি জ্বলে উঠেছিল! মাথায় একটা কথাই ঘুরছিল,বেদ্দপ গদাধর এরকমটা করতে পারলো তাই বলে! কিন্তু খানিকপর মাথায় আসলো বিভূতিবাবু আসলে কী খেলাটাই না খেলেছেন!

গ্রাম্যজীবনে অভ্যস্ত গদাধর একজন পাটের আড়তদার। সহধর্মিণী অনঙ্গকে বিয়ে করে যখন ঘরে আনেন তখন অনঙ্গের বয়স মাত্র তেরো। সেই থেকে কুড়ি পেরিয়ে যাওয়া অনঙ্গকে দেখে ছাব্বিশ-সাতাশের গদাধর বর্তমানেও বিমোহিত থাকে। কিংবা বলা চলে থাকতো। গ্রামীণ জীবনের পাট চুকিয়ে একটা সময় সংসার নিয়ে কলকাতায় পারি জমালো গদাধর। তাদের সাথে আড়তের মুহুরী এবং গদাধরের বাবার আমলের অত্যন্ত বিশ্বস্ত কর্মচারী ভড়মশাই। কলকাতার দিনকাল মন্দ চলছিল না। অনঙ্গ-গদাধরের সুখের সংসারের দুষ্ট-মিষ্টি খুনসুটি কলকাতার যান্ত্রিকতাতেও স্বস্তির শ্বাস নিতে দিচ্ছিলো। কিন্তু তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
গ্রামের বন্ধু শচীন এবং আরেক পরিচিত নির্মলের সহচর্যে গদাধরের পরিচয় হয় অন্য আরেকটি দুনিয়ার সাথে। গদাধরের সামনে আসেন সেসময়ের নামী অভিনেত্রী শোভারাণী মিত্র। এতকাল অবধি গ্রামীণ নারীর সরলতা, আতিথেয়তা আর বিনম্রতার কুণ্ঠিত স্পর্শে থেকে শহুরে-শিক্ষিতা-আত্মমর্যাদায় প্রত্যয়ী নারীর স্বরূপ যেন গদাধরকে বিস্ময়ের ঘূর্ণিপাকে ফেলে দিলো। জীবন সম্পর্কে তার ধ্যানধারণার আমূল-পরিবর্তনের সূচনা হলো। তার মনে হতে লাগলো জীবন তাকে খুব ঠকিয়েছে! জীবন তাকে এমন নারীর সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত করে যেন পার্থিব সকল সুখ থেকেই বঞ্চিত করে রেখেছিল এতকাল! তারপর? তারপর লেখক আমাদের নিয়ে বেশ খানিকটা সময় সাপ-লুডু খেলেছেন! জীবনের এই সাপলুডুতে বিষধর সাপের মতো মানুষের স্বার্থ যেমন এসেছে, তেমনি চিরচেনা বিভূতিস্ট্যাম্পের সদাসহায়ক চরিত্র ভড়মশাই থেকেছেন লম্বাচওড়া সিড়ি হয়ে! অনঙ্গের জীবনে এসেছে চড়াই-উতরাই—গদাধর পেয়েছে উচ্চাভিলাষের পরিণতি! কিন্তু শেষতক বিভূতিবাবু বেশ অবাকই করলেন। তবে যা করেছেন, তাও অবাস্তব তো নয়। ব্যক্তিস্বার্থের বাইরে আর কজনই বা আছে দুনিয়ায়! সেদিকটাও একেবারে হেলায় ফেলে দেওয়া যায়ই বা কী করে!

শুরুটা খুব সাদাসিধে ছিল। শেষে এসে তাই বেশিই অবাক হতে হয়েছে। আমি তো শেষ করে ভেবেওছিলাম এরপর কি আরো কিছু ছিল নাকি? পেজ মিসিং না তো আবার? তারপর আবার মনে হলো বইটা মনে হয় আগেও পড়েছি।
সে যাই হোক। পড়তে পারেন। ইজি রিড। সময় মন্দ যাবে না।
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
362 reviews34 followers
July 1, 2023
একেবারেই সাদাসিধা এক গ্রামীন জীবন নয়, স্ত্রী পুত্র নিয়ে সচ্ছল সুন্দর এক জীবন গদাধর এর। পাটের আড়তদারি করে ভালোই স্বচ্ছল জীবন যাপন করেন। স্ত্রীর সাথে মধুর এক সম্পর্ক। স্ত্রী অনঙ্গ তেরো বছর বয়সে বউ হয়ে এসে সুগৃহীনি হয়ে উঠেছেন। স্বামীর সুখ সাচ্ছন্দ্যের দিকেই তার দৃষ্টি সবসময়।
এক সময় গদাধরের মনে হলো গ্রামের থেকে শহরে কিয়ে ব্যাবসা করলে বেশী লাভবান হবে, সেই আশাতে পৈত্রিক বাড়ীঘর রেখে শহরে একটা বাড়ী কিনে সেখানে বসবাস শুরু করলেন। বাবর আমলের বিশ্বস্ত কর্মচারী ভড়মশাইও গেলেন সঙ্গে, ব্যবসা বরাবর তিনিই দেখাশোনা করেন।

সব কিছু ঠিকঠাক ই চলছিল, এরই মাঝে গ্রামের খুড়তুতো ভাই সতীশ ও বন্ধু নির্মলের সহচর্যে পরিচয় ঘটে নতুন এক জগতের সাথে। আলোঝলমল সে নতুন জগতে নতুন বন্ধুর দেখা মেলে আর জীবন এক নতুন দিকে মোড় নেয়।

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই আলাদা বৈশিষ্ট্যে একের থেকে অন্যে স্বতন্ত্র। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সেই কিছু ভালো মানুষ যখন স্বার্থপরের মত কোন কাজ করে বসে তা মানতে বড়ই কষ্ট হয়। যেমন - এই " দম্পতি " উপন্যাসের গদাধর।

গ্রামীণ পরিবেশের সামাজিক এক উপন্যাস, প্রথম থেকে সবকিছু ঠিকঠাক ই চলছিল কিন্তু শেষটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না।
লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আলাদা স্বাদের এক উপন্যাস " দম্পতি"।
ভালোলেগেছে তবে চরিত্রের উপর বিরক্তি এসেছে।
Profile Image for S M Shahrukh.
127 reviews67 followers
September 21, 2017
বেশ সাদামাটাভাবে শুরু হওয়া 'দম্পতি' উপন্যাসটি গ্রামের সংগতিপূর্ণ পাট-ব্যবসায়ী গদাধর বসু আর তার স্ত্রী অনঙ্গমোহিনীকে কেন্দ্র করে। প্রথমের দিকে পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো বাংলা সিনেমার কোন স্ক্রিপ্ট পড়ছি, সব কিছু যেন আগেভাগেই বোঝা যাচ্ছে, গল্পের গতি-প্রকৃতি ও পরিণতি যেন অবধারিত একটা ছককাটা পথে এগুচ্ছে। কিন্তু তা নয়। গদাধরের উচ্চাংখ্যা তাকে সপরিবারে কোলকাতায় স্থানান্তর করে, তার ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে তার উন্নতি হতে থাকে, এক পর্যায়ে মাত্র শুরু হওয়া টালিগঞ্জের চলচ্চিত্র শিল্পের কাছে তাকে ঘটনাচক্র নিয়ে যায়। চলচ্চিত্রের আমুদে মহলে গা ভাসিয়ে গদাধর নিঃস্ব হবে এমনটাই মনে করা স্বাভাবিক ছিলো, যেমনটা সিনেমায় হয়, বিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধে হ'তোও কম না। এখানে এসেই গল্পের রূপে নাটকীয় পরিবর্তন আসে। গদাধর তার নিজের 'নিরামিষ' জীবন সম্বন্ধ্যে জেগে ওঠে, জীবনকে নিজের মত করে বাঁচতে সিদ্ধান্ত নেয়। তার সে কাজকর্ম সস্তা উপন্যাস পাঠে অভ্যস্ত অনেকের পছন্দ হবে না। কিন্তু বিভূতিভূষণ তিরিশ দশকের 'মডার্নিজম'-এর আশ্রয় নিয়েছেন এবং তা বেশ সাফল্যের সাথেই। লেখক কোন সস্তা সমাধানের দিকে গদাধরকে যেতে দেননি বরং তার জীবনের বর্ণনায় মানুষকে নিজের জন্য বাঁচতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। উপন্যাসে 'স্ট্রিম অফ কনশাসনেস'-এর ব্যবহার স্পষ্ট, ধর্মের প্রতি মূল চরিত্রের কটাক্ষও চোখ এড়ায় না। এটি একটি ছোট্ট উপন্যাস, নভেলা জাতের, কিন্তু, আমার মতে, বিভূতির অন্যান্য বড় বড় সৃষ্টির পাশে তা সসম্মানে দাঁড়ানোর জোর রাখে। বিভূতিভূষণ বাংলা উপন্যাসকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন, বিশ্বমানে তুলেছেন। ওনার অকাল্প্রয়ান এক বিরাট ক্ষতি বটে।
Profile Image for Kafil Recherche.
61 reviews2 followers
January 1, 2024
“দম্পতি” বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।

বিভূতিভূষণ বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকদের একজন৷ তাঁর রচিত “চাঁদের পাহাড়”, “আরণ্যক”, “পথের পাঁচালি”, “অপরাজিত” ও “আদর্শ হিন্দু হোটেল” ইত্যাদি প্রবল জনপ্রিয় কিছু উপন্যাসের নাম। কিন্তু “দম্পতি” উপন্যাসটির কথা কোথাও শুনা যায় না।

“দম্পতি” উপন্যাসের দম্পতি হলো ‘গদাধর’ ও ‘অনঙ্গ’। চুয়াডাঙ্গা কিংবা যশোরে তাদের বাস। গদাধর পেশায় পাটের আড়তদার। গ্রামে আড়তদারি করে ভালো কাটছিলো তাদের ছোট্ট ও সুন্দর সংসার। সুখেই ছিলো তারা।

একদিন গদাধর সীদ্ধান্ত নিলো উন্নতর জীবনের উদ্দেশ্য গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় আসবে। নতুন করে ব্যবসা দাঁড় করাবে। অনঙ্গ ও ভড়মশাই (আড়তের প্রবীণ মুহুরী) এতে আপত্তি জানায়৷ কিন্তু গদাধরের সীদ্ধান্ত অটল।

কলকাতায় এসে শুরুটা ভালোই ছিলো ওদের। নির্ঝঞ্ঝাট। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হলো না। দুই বন্ধুর সাহচর্যে পতন হতে থাকে গদাধরের। অবশ্য পতন তার অবশ্যম্ভাভীই ছিলো। উপন্যাসের শুরুতে এক সাধু গদাধরের হত দেখে এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

বলতে গেলে, উপন্যাসের সমাপ্তি কেমন হবে সেটা শুরু থেকেই বল��৷ তবুও উপন্যাসটি মুহুর্তের জন্যও আবেদন হারায়নি।

সময়, স্থান ও সাহচার্য কিভাবে একজন মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে, বদলে দিতে পারে তার চরিত্রকে — তা খুব সহজ ও সাবলীলভাবেই তুলে ধরেছেন লেখক৷

বিভূতিভূষণের উপন্যাসের পাঠক মাত্রই জানেন কতোটা সহজ, সাবলীল কিন্তু প্রাঞ্জল হয় তাঁর রচনা৷ এই উপন্যাসটিও তার ব্যতিক্রম নয়। খুব সহজ ও সুখপাঠ্য।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Farsim Ahmed.
31 reviews7 followers
February 29, 2016
সমাপ্তি পড়ে মোটামুটিভাবে হতভম্ব।
Profile Image for Suraeeya.
50 reviews3 followers
January 9, 2024
একটা মজার কথা বলি, মানুষের মনস্তত্ব নিয়ে লেখা কোথাও একটা পড়েছিলাম একবার, আপনি যখন একটা সম্পর্কে থাকবেন দীর্ঘদিন ধরে, তখন সেই সম্পর্ক এবং মানুষটাকে গাহ্য না করা এবং নিশ্চিতভাবে ধরে নেওয়া মানুষের স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এই দোষখানা এড়ানোর জন্য মানুষের নিজের বিষয়টা উপলব্ধি করা দরকার, যাক সে ভিন্ন কথা। মূল কথা হলো, এই যে গ্রাহ্যহীনতা, দীর্ঘদিন তা চলমান থাকলে নতুনত্ব আপনাকে মুগ্ধ করবেই, সেই মুগ্ধতা ছড়িয়ে পরবেই এবং পরিশেষে নিজের উপর কাবু হারিয়ে সেই চেনাপরিচিত গ্রাহ্যহীন সম্পর্ক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে কতক্ষণ?

গদাধর বসু তের বছর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করার পর মেয়েটি ধারালো হাতে সংসার ধরলো, গদাধর বিয়ে একযুগ পড়েও স্ত্রী-তে মত্ত থাকেন। বেশ চমৎকার সম্পর্ক।
হঠাৎ-ই যেই জীবনের সুযোগ কখনো অনঙ্গ, গদাধরের স্ত্রীকে দেওয়া হলো না, স্বয়ং গদাধরই দিলেন না একদিক থেকে, সংসারের বাইরের উন্মুখ দরজা, সেই জীবনের আরেকজন পরিপূর্ণ নারী, জীবন এবং জীবনযাত্রা হঠাৎ-ই মোহনীয় হয়ে উঠলো গদাধরের কাছে!

বইটি কিছুটা চলচ্চিত্র স্বরূপ। তবুও, স্বামী স্ত্রী এবং মানুষের চারিত্রিক কয়েকটি বাস্তববাদী বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়।

পড়ছিলাম,
দম্পতি
লিখেছেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়।
Profile Image for Mila Hossain.
70 reviews2 followers
December 10, 2024
“ধীরে ধীরে উঠানের আতাগাছটা লম্বা ছায়া ফেলিতেছে, দোরের কাছে পাঁচিলের গাছে আমরুল শাকের জঙ্গলে একটি প্রজাপতি ঘুরিতেছে, খোকার বাজনার টিনটা কুয়াতলায় গড়াগড়ি যাইতেছে, পাশের জমিতে শচীনের সেওড়াতলী আমগাছটার মগডালের দিকে রোদ উঠিতেছে ক্রমশ, নাইবার চাতালে গর্ত বর্ষার বন বিছুটির গাছ গজাইয়াছে। অনেকদিন আগে গদাধর কুয়াতলায় বসিয়া স্নানের জন্য শখ করিয়া একটি জলচৌকি গড়াইয়াছিলেন, সেখানে একখানা পায়া ভাঙা অবস্থায় কাঠ রাখিবার চালাঘরের সামনে চিত হইয়া পড়িয়া আছে। তাহার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া উঠিল।”

বই পড়ে রাগ হয় আমার খুব কম, খুব কম বই আমাকে ছুঁতে পারে।এই বই ছুঁয়ে গেল! গদাধর চরিত্রের অভাব নাই আমাদের এই সমাজে, ঠিক তেমন অনঙ্গ চরিত্রের মেয়ে লোকও আমাদের সমাজে ভরপুর! স্বামী যতোযাই করুক তারা স্বামীকে দেবতাই ভাবা শেষ করতে পারে না। একটা মেয়ের কখনোই সর্বস্ব ছাড়া হয়ে কিছু করতে নেই, বিশেষ করে পুরুষ জাতের জন্য! বইটা শেষ করার পর ও শান্ত হতে পারছি না!
Profile Image for Kishore.
103 reviews
July 26, 2024
Gadadhar lived with his wife Ananga and their two sons in a village. He had a good income from his jute factory, and they were happy until they moved to Kolkata for better business opportunities.Gadadhar met a heroine named Sovarani, and he was awestruck by her. His life with his wife started to seem stale to him, and his relationship with Ananga began to deteriorate. Even Vormoshai expressed concern about his disposition to Ananga at the annual Pooja ceremony held at Gadadhar's house, where he was absent for the first time.Dazzled by the glamorous milieu of the film industry, Gadadhar jumped into the film business. His diffidence towards Sovarani dwindled, and he asked her to join his studio. However, Sovarani told Gadadhar that his abrupt shift from the jute business to the film business seemed DISINGENUOUS. Perhaps she was INSINUATING that the glitz and glamour had ENGULFED his discretion. Consequently, his first film flopped.Gadadhar found himself bankrupt, but on Aghor's advice, he started making another film to recoup his losses. Gadadhar began his film venture without consulting his wife, but when push came to shove, he went to her for money, which she earned from selling her ornaments.Sachin mocked Gadadhar's situation, despite being the one who enticed Gadadhar into the film business in the first place. He mentioned that Gadadhar's second film was shelved halfway since the heroine had backed out from the project. After hearing this, Sovarani decided to act in Gadadhar's film. Sachin was amazed that after defaulting on her money twice, Sovarani still wanted to engage in his project.Before starting his second film, Gadadhar had requested Sovarani to join him, but she refused. Now, he was the one refusing her through a letter.When the bank seized their house in Kolkata, Ananga returned to their village and started managing the household. Ananga sent Vormoshai to Gadadhar to offer some money, always worried about her husband's well-being. She Has been trying to mend their relationship deteriorated by Gadadhar's DECADENT lifestyle.

One day, Ananga sent Vormoshai with some money and to check on Gadadhar. Vormoshai couldn't find Gadadhar at the mess where he had been living. After asking around, Vormoshai reached a studio and saw Gadadhar getting out of a car with Sovarani. He learned that after two flops, Gadadhar's third film was successful due to Sovarani's star power. Vormoshai called out to Gadadhar, but he didn't listen.



There's a particularly heartbreaking sequence when Vormoshai returned from seeing Gadadhar. He lied to Ananga, saying that Gadadhar had sent sweets for their children, asked about Ananga, and returned 50 rupees of the 100 Ananga had sent with Vormoshai, just to see happiness in Ananga's eyes. In reality, Gadadhar had taken the 50 rupees Vormoshai offered and never asked about his children, let alone Ananga, who was getting sick from malaria.
Profile Image for Gain Manik.
340 reviews4 followers
March 31, 2024
অল্প কথায় রিভিউ বা পাঠ পর্যালোচনা।

কলকাতায় তখন ফিল্ম স্টুডিও এসে গেছে। এরকম সময়ে পাট ব্যবসায়ী গদাধর সপরিবারে কলকাতায় আসেন উন্নতি করার চেষ্টায়। কিন্তু বন্ধু সচীন নির্মূলের জন্য তা আর তার করা হয়ে ওঠেনি। একদিন বন্ধুদের সাথে এক ফিল্ম দেখে ফেরার পথে ওই মুভির অভিনেত্রীর সাথে সামনাসামনি দেখা হয়। গদাধর বিমোহিত হয়ে যায়, মে অপরূপ রূপকে এইমাত্র বায়োস্কোপে দেখে এলেন তিনি স্বয়ং সামনে প্রকট হয়েছেন। পরে গদাধরের পাটের পাঠ চুকিয়ে দেন, মিত্রের প্ররোচনায়, নামেন ফিল্ম করতে। ফ্লপ হয়, ঋণী হয়ে যান। এদিকে স্ত্রী অনঙ্গ নিজের গয়না বিক্রি করে করে সংসার কোন রকমে চালিয়ে যান, স্বামী তার রূপে মজেছে! তারপরও তখন টাকা দেন স্বামীকে। স্বামী তার ফিল্ম বানাবে আর নায়িকাদের সাথে মেলামেশা করবে। হায়রে অনঙ্গ তোমার নামের অর্থ ব্যার্থ হয়েছে। যখন মাসের পর মাস পতি পরমেশ্বর আর বাড়ি আসেন না তখন তিনি লোক পাঠান খোঁজ নিতে, স্বামী দেনার দায়ে জেলে গেছেন কিনা। অথচ দেখা গেল স্বামী গদাধর মহাশয় অভিনেত্রীর সাথে এক‌ই গাড়িতে চড়েন, এক‌ই বাড়িতে থাকেন। আর অনঙ্গ ওদিকে ব্যাবসা সামলাতে গিয়ে ম্যালেরিয়া ভুগে মরতে বসেছে। বাহ্ বাহ্।

আমি ভেবেছিলাম উপন্যাসে আরোও কিছু আছে, এখানেই শেষ নয়। কিন্তু না বিভূতি বাবু পাঠকদের দুঃখ দিতে ভালবাসেন
Profile Image for Fahmeda 🌿.
79 reviews
December 22, 2024
এই গদা চরিত্রের উপর আমার এতো রাগ হয় যা বলে বুঝানো যাবে না,
নিজের বাচ্চার কথা কিভাবে কেউ ভুলে যায়। বাচ্চা গুলো দিনের পর পর দিন ভালো খেতে পারে না। খাবার জোগাড় করতে তাদের মা এর কি দুর্ধসা। বাচ্চা গুলোর জন্য আমার মন কেঁদেছে।

আর এই গদার বৌ, স্বামী এক বছর বাড়ি ফিরে না , খোঁজ নেয় না, আর তুমি জমা করা টাকা পাঠাও? বাহ! বলদ এর আর কোনো ডেফিনেশন নাই। একটা বেঈমান, আরেকটা বলদ। কেমন দম্পত্তি?

এই সমাজের গদাদেড় আমি বলতে চাই, এই টাকা দুই দিনের, এই যৌবন দুই দিনের, এই উল্লাস দুই দিনের। মানুষকে ঠকানোর সাজা দুনিয়া তেই এঁরা পাবে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Anica.
29 reviews1 follower
February 10, 2024
বাস্তবতা আসলে এরকমই হয়,
কিন্তু নিজের পরিবার কে পুরোপুরি ভুলে যাবে গদাধর, এটা আমি ভাবিনি। শোভারানী কে তো ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মনে হয়েছে কিছুটা প্রথম, কিন্তু বিবাহিত পুরুষ কে ধরে রেখেছে সে,
সবচেয়ে তিক্ত লাগছে এটাই যে অনঙ্গ তাদের কাছে অদৃশ্য হয়ে ছিল একদম।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Emtiaz Hossain  Hritan.
47 reviews1 follower
December 24, 2019
বিভূতির সবগুলো উপন্যাসের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল মনে হল। তাও পাঁচতারা পাওয়ার মতো উপন্যাস।
Profile Image for Juthi.
36 reviews
April 21, 2025
কাহিনি সংক্ষেপ : গ্রামের অবস্থা সম্পূর্ণ ব্যাক্তি গধাধর বসু।
স্ত্রী পুত্র নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল। গ্রামের সবার থেকে ভালো আয় - রোজগার তার, বছরে শ,তিনেক টাকা আয়। হঠাঁ তার বন্ধুর কথা শুনে কলকাতায় ব্যবসা দেওয়ার কথা ভাবে, যেই ভাবা সেই কাজ ব্যবসা গুটিয়ে স্ত্রী এবং দুই পুত্র নিয়ে পাড়ি দেয় কলকাতা শহরে। সেখানে দশ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে ব্যবসা শুরু করে। " কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ" গধাধরের হয়েছিল সর্বনাশ।
গ্রামের সেই বন্ধুটির কথা শুনে একদিন গদাধর বায়স্কোপ দেখতে যায় এবং সেখান থেকে ফেরার পথে দেখা করতে যায় তার পিস্তোতো ভাই শচীনের সঙ্গে। শচীন তাকে সেই বায়স্কোপের নাইকা কমলা ওরপে শুভা দেবীর সঙ্গে দেখা করায়, সেখান থেকেই গদাধরের সর্বনাশের শুরু। পাটের ব্যবসার মূলধন দিয়ে গদাধর শচীনের কথা শুনে ফিল্মের ব্যবসা শুরু করে। প্রথম ফিল্ম ব্যবসা সফল না হওয়ায় দেনা করতে করতে এক সময় পাটের ব্যবসা তলানিতে গিয়ে পৌছায়। কলকাতার বাড়ি,স্ত্রীর গয়না, পাটের ব্যবসা সব হারিয়ে বসে গদাধর তবুও সে ফিল্ম করতে আবার ধার দেনা শুরু করে। স্ত্রী কোন পথ না দেখে গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু তাদের অবস্থা কেমন গদাধর একবারও তার খোজঁ নেয় না। তার পর গদাধরের সাথে কী হয়েছিল? সে কি স্ত্রী পুত্রদের খোঁজ নিয়েছিল?

পাঠপ্রতিক্রিয়া : বিভূতিভূষণের লেখা আমার ভীষণ প্রিয়, তাঁর লেখার ধরণ, গ্রাম বাংলার বিস্তর আলোচনা এবং গ্রামীণ জীবন চোখের সামনে তুলে ধরাতে বিভূতিভূষণের কোণ তুলনা হয় না। কিন্তু বিভূতিভূষণ বাবুর অথৈ জল বইটা আমার কাছে বিশেষ ভালো না লাগায় দম্পতি বইটার প্রতি খুব একটা ভালো আশা ছিল না। তবুও বইটা পড়া শুরু করি। প্রথেমে খুবই সাধারণ ভাবেই গল্প এগিয়েছে। গদাধরের সাধারণ জীবন যাপন, আড়ৎ থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে আড়ৎ ছিল তাঁর দুনিয়া। স্ত্রী পুত্ররাই তাঁর পৃথিবী ছিল বলতে গেলে। কিন্তু হঠাৎ কলকাতায় গিয়ে সুন্দর সাজানো সংসার এলেমেলো হয়ে যায়। গদাধর নানা রকম মেয়ে মানুষের সাথে মিশে সব কিছু রসাতলে যায়। গল্পের সবচেয়ে বিরক্তিকর চরিত্র হয়ে ওঠে গদাধর বসু। কিছু কিছু চরিত্র থাকে হাতের কাছে পেলেই কাঁচা খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে গদাধর বসু সেই রকম চরিত্র। সব শেষে বলব দম্পতি বইটা ভালো লেগেছে আবার শেষে খুব রাগ লেগেছে গদাধরের উপর।।

রেটিং : ৩/৫
Displaying 1 - 14 of 14 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.