Jump to ratings and reviews
Rate this book

জীবনের ইন্দ্রধনু

Rate this book

224 pages, Hardcover

Published May 1, 2011

1 person is currently reading
22 people want to read

About the author

জন্ম ১৯৩১এর সেপ্টেম্বরে, আদিবাস কালীপুর, ময়মনসিংহ, দেশবিভাগের পর কলকাতায়। পিতা ধীরেন্দ্রকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী, মাতা রেণুকা দেবী চৌধুরানী।
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের এমএ, লিডস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি। রবীন্দ্রভারতী থেকে দীর্ঘদিন অধ্যাপনার পর অবসর নেন।
'হাতির বই'-এর জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরষ্কার (১৪১৪)।

Dhriti K. Lahiri Choudhury grew up in Mymensingh district now in Bangladesh inhabiting a near mythic feudal world of household elephants shikar Indian classical music and good food. The partition of his country ended this lifestyle but not his obsession with elephants.

Over seventy years he trawled the forests of lower Assam Barak Valley West Bengal Meghalaya Arunachal Pradesh and Orissa as well as Uttaranchal Mudumalai Bandipur and Periyar.
His experience with elephants includes tracking them in undivided Assam penetrating remote areas in pursuit of declared man killing rogues. He surveyed the status and distribution of elephants studied man elephant conflicts and analyzed the problems of managing elephants in the wild. He journeyed over thousands of miles of hazardous roads and walked through the north eastern forests of India leaning to read the language of the jungle. His acquaintance with wild elephants some of them man killers was sometimes from as close as a few feet. For those who have wondered where Jim Corbett's descendants are here is the answer.

Dhriti Kanta Lahiri Choudhury is the author of 'The Great Indian Elephant Book'. This book is in the best tradition of writing about animals a wildlife memoir peppered with anecdotes shot through with humour and irony perfectly combining story telling and scholarship.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
0 (0%)
4 stars
4 (100%)
3 stars
0 (0%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 3 of 3 reviews
Profile Image for রিফাত সানজিদা.
174 reviews1,357 followers
August 17, 2016
বাঙালনামার কাঠবাঙাল ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরীর মতো আরেক রসজ্ঞ জমিদারনন্দন ইনি।
আদিবাস ময়মনসিংহে, মুক্তাগাছায়। সম্ভ্রান্ত জয়েন্ট ফ্যামিলির সবেধন নীলমণি ছাওয়াল। পিতা ছিলেন রাজনীতিবিদ, কেন্দ্রীয় বিধানসভার সদস্য।
বাল্য কেটেছে দুরন্তপনায়, পোষা হাতি ছিলো, ন্যাক ছিলো শিকার ও সংগীতে। ছাত্র ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের, কাজের জীবনের শুরু সিটি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে, ১৯৫৪তে।

ইংল্যান্ডের লিডস থেকে পিএইচডি, ইংরেজি সাহিত্যে। সেখানেই পরিণয় এবং যুগলে টুকটাক ইউরোপ ভ্রমণ। বাকিটা একাকী, সাড়ে চার বছর পর, দেশে ফেরার সময়, সমুদ্রপথে।
এরপরের বার বিলাতবাসের কারণ ছিলো কেমব্রিজে, ভিজিটিং ফেলো হিসেবে আমন্ত্রণলাভ, সাল ১৯৮৫।
মাঝের সময়টায় পড়িয়েছেন যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতীতে।

ব্যক্তিগত এই আত্মকথায় গল্প আছে লেখকের বাল্য, কিশোরবেলা, কলেজ এবং প্রবাসের, সমসাময়িক দেশ ও রাজনীতির। লেখার ধাঁচ সুখপাঠ্য এবং সরস। পারিবারিক সুত্রে পাওয়া অগাধ প্রাচুর্য তাকে বয়ে যাওয়া শেখায়নি, শিখিয়েছিল সফিস্টিকেশন।

১৯২০- ১৯৬৬ সময়কালের বেশকিছু মূল্যবান ছবি আছে, সাদাকালো ও রঙিন, দেশ ও বিদেশের। বিশেষ করে পিতার মাতামহের (মানে কী, বাবার নানা?) শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে ত্রিশ হাজার লোকের পঙক্তিভোজনের ছবি সে আমলের জমিদারি বিলাসিতার ব্যাপারে আইডিয়া জোগায়। (বাউরে বাউ, ৩০,০০০!)

অবশ্য দেশভাগের কারণে আরো অসংখ্য বনেদি পরিবারের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হন এরাও, লেখককে ডুন স্কুলে পাঠানোর প্রস্তাব অর্থাভাবে ধামাচাপা পড়ে, বিলেতে পড়াশোনার ফি দিতে হয় রেস্তোরায় অড জবের বিনিময়ে। জীবনের উথানপতন যাকে বলে আর কী।

বইয়ের শেষটায় আছে উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আন্দোলন, বম্বে ও ব্যাঙ্গালোরে ন্যাচারাল হিস্ট্রি এবং ইকোলজিক্যাল সায়েন্স সেন্টারের সদস্য হিসেবে লেখকের কাজ করার কথা, এট্টুখানি করে।

আত্মকথা বা জীবনী হিসেবে পুস্তকটি অসম্পূর্ণ, দেওয়া উচিত বড়জোর ৩/৫। পড়তে আরাম পেলে অতো খুঁটিনাটি দেখি না, অতএব আপাতত চার-ই থাকুক।
রিভিউ কাঠখোট্টা, কারণ লিখছি সেলফোন থেকে, রিদ্মিক রেফ-র'ফলার প্যাঁচ সামলাতে গিয়ে শব্দ-বাক্য জুতের হয়নি।
যাকগে, পড়লে ঠকবেন না, এটুকু গ্যারান্টেড। :)
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
June 9, 2023
ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী একজন প্রখ্যাত হস্তিবিশারদ এবং গবেষক। এই তথ্যটা জানার পর তাঁর আত্মজীবনী পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। তবে জঙ্গল এবং হাতি নিয়ে তাঁর আলাদা বই থাকায় এখানে হাতি যে খুব এসেছে তা নয়। তবুও ফাঁকে ফাঁকে হাতি আর জঙ্গল কিছু তো ছিলই।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা আর কালীপুর গ্রামের স্মৃতি অত্যন্ত উজ্জ্বল ছিল লেখকের চোখে। শৈশবটা সেখানেই কেটেছে আর ধরা পড়েছে একটা সুন্দর সময়।
চঞ্চলপিয়ারী নামে এক হাতির সাথে সখ্যতা ছিল লেখকের। বোধহয় হাতির প্রতি টানটাও সেখান থেকেই শুরু।
লেখকের মা রেণুকা দেবী যেমন অন্যান্য সব মায়ের মতোই ছিলেন অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং সর্বগুণসম্পন্না, অপরদিকে বাবা ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা।
কৈশোর কাটে কলকাতায়। কলেজ প্রেসিডেন্সি। সেখানকার নানা স্মৃতির পাশাপাশি এসেছে তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা এবং লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা।
উচ্চশিক্ষার জন্য গমন করেন ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লীডসে। সেখানেই জীবনসঙ্গী শীলার সাথে পরিচয়।
লীডসে কাটানো সময়গুলোর সাথে ওইখানকার মানুষ আর একজন নতুন প্রবাসীর চোখে দেখা বিদেশী সংস্কৃতির নানা সাময়িক অসুবিধার কথা এসেছে বেশ কৌতুককরভাবে।
তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে লেখকের দেশে ফেরার পথে ইউরোপ এবং এশিয়া ভ্রমণের টুকরো টুকরো বর্ণনাগুলো।জার্মানির মিউনিখ, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, ইরানের তেহরান ভ্রমণের পাশাপাশি সেখানকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং স্থাপত্য সম্পর্কে সে অল্প অল্প বিবরণ রয়েছে এই বইয়ের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক অংশ আমার কাছে সেটুকুই।
দেশে ফেরার পর আবার চাকরি খোঁজা, জঙ্গলে ফেরত যাওয়া এবং শীলাকে বিয়ে করে ঘরে আনা। যদিও অসবর্ণ বিবাহ হওয়ায় বিয়েটাতে লেখকের পিতৃদেবের আপত্তি ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে মায়ের সাহায্যে পিতাকেও রাজি করাতে সক্ষম হন লেখক।
এরপরের অংশটুকুতে হাতি বিষয়ক কিছু কথাবার্তা রয়েছে। যদি জঙ্গলের বিবরণ আরো বিশদে থাকতো তবে বইটি পড়তে আরো অনেক বেশি ভালো লাগত আমার।
তবে আত্মজীবনী হিসেবে বইটি অবশ্য মন্দ নয়। বরং শৈশবের গল্প আর ভ্রমণের জন্য বইটিকে আমি পাঠতালিকায় রাখারই সুপারিশ করব।
Profile Image for Farjana Rahman.
51 reviews4 followers
April 1, 2025
বই: জীবনের ইন্দ্রধনু
লেখক: ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী
ধরন: আাত্মজীবনী
প্রকাশনী: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
মূল্য: ৩৫০ রূপী।

ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী জমিদারনন্দন। পিতা ধীরেন্দ্রকান্ত চৌধুরী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। মাতা রেণুকা দেবী চৌধুরাণী। তিনিও অসাধরন ব্যক্তিত্বের অধিকারী। প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ করেন ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী। লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি-এইচ.ডি।

১৯৭৭ থেকে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার (IUCN) হস্তী বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর ও পশ্চিমবঙ্গ বন্যপ্রাণী উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংস্থার (WWF-International) পক্ষে সহযোগীদের নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে বুনো হাতির অবস্থার সমীক্ষা করেন। শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক হস্তী বিশেষজ্ঞ সংস্থার পত্রিকা 'গজ'-র সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বহু রচনা। 'হাতির বই'-এর জন্য পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার (১৪১৩)।
ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরীর 'হাতির বই' পড়ার আগ্রহ থেকেই "জীবনের ইন্দ্রধনু" পড়া। আত্মজীবনী তো এমনিই প্রিয়। তাই

"হাতির বই" পড়ার পূর্বে ওয়ার্ম-আপ হিসাবে জীবনের ইন্দ্রধনু পড়ে নেয়া। যদিও পড়তে যেয়ে বুঝি এখানে জঙ্গল এবং হাতি বিষয়ক খুব কম কথাই উঠে এসেছে। যা আছে - ওয়ার্ম-আপ হিসাবে একদম মন্দ না।

শৈশব, কৈশোর, কলেজ, কর্মজীবন পেরিয়ে এই স্মৃতিকথায় আছে পরবাস জুঁড়ে তার জীবন পরিক্রমার সরস পরিবেশন। সাথে মূলব্যান বেশ কিছু ছবি। বিদেশী সংস্কৃতির নানা সাময়িক অসুবিধার কথা উঠে এসেছে স্মৃতিকথায়। বইটির মধ্যমভাগ
স্মৃতিকথার ট্যাগ এড়িয়ে অনায়াসে ভ্রমণ কাহিনী হিসাবেও চিহ্নিত করা যায়।

লিডসে থাকাকালীন পরিচয় শীলার সাথে। পরবর্তীতে দেশে ফিরে শীলার সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ। মিউনিখ, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, তেহরান ভ্রমণ-লিপি, সেখানকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং নানা স্থাপত্য সম্পর্কে বর্ণনা এই স্মৃতিকথার অন্যতম আকর্ষনীয় অংশ। তার সাথে ইউরোপ ভ্রমণের টুকিটাকি তো আছেই।

অধিকাংশ আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা অল্প-বিস্তর রিপিটেশনে সিক্ত থাকে। অবাক করার বিষয়, ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরীর "জীবনের ইন্দ্রধনু" এই রিপিটেশন থেকে মুক্ত। গতিময়, সরস এবং গভীর লেখনী যেমন বইটি পড়তে আনন্দ দেবে, তেমনি কৌতুককরভাবে উঠে আসা নানা বিষয়ের অবতারনাও বাড়তি পাওনা হিসাবে থাকবে পাঠকের ঝুলিতে। শুরুতেই বলেছি জমিদারনন্দন। অগাধ প্রাচুর্য ছিল শৈশব থেকেই। তাই খুব কষ্টের শৈশব না, বরং জমিদার-ঘরনার এবং অগাধ প্রাচুর্য বেড়ে ওঠা একজনের স্মৃতিকথাও আলাদাভাবে নতুন লাগবে পাঠকের। অগাধ প্রাচুর্য নিয়ে বড় হলেও ভেসে যাননি সেই স্রোতে - সেটা তার কর্মজীবন এবং গবেষণা-কর্মেই স্পষ্ট।

ময়মনসিংহে যে বাড়িতে জন্মেছিলেন, সেখানেই তাদের হাতির সংখ্যা ছিল ১৫। জঙ্গল এবং হাতি ছিল ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরীর ধ্যান-জ্ঞান ও জীবন। যদিও আগেই বলেছি, জঙ্গল, সেখানে শিকার বা হাতির কথা এই স্মৃতিকথায় কমই এসেছে।

শুধু চঞ্চলপিয়ারী কথা পাবেন ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরীর "জীবনের ইন্দ্রধনু" স্মৃতিকথায়। অসম্ভব ভালোলাগার না হলেও একবার অবশ্যই পড়ে দেখার বই। সংগ্রহে রাখার মতোই বই।




Displaying 1 - 3 of 3 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.