বদলে গেছে পেশাদার খুনি বাস্টার্ড। সে আর টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করেনা। তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারনে ফিরে গেল নিজের পুরনো পরিচয়ে। আবারো মুখমুখি হল হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের। ইন্টারোগেশন রুমে শুরু হল বাস্টার্ডের অতীত জীবনের "কনফেশন"।
MOHAMMAD NAZIM UDDIN (Bengali: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন) is a writer and Translator of more than 26 novels..His original works are NEMESIS, CONTRACT, NEXUS, CONFESSION,JAAL, 1952: nichok kono number noy, KARACHI, RABINDRANATH EKHANE KOKHONO KHETE ASENNI and KEU KEU KATHA RAKHE. These six Thriller novels are highly acclaimed by the readers.
বরাবরের মতোই জেফরি সূত্র মিস করে গেছে। এহসান চৌধুরী অসুস্থ না এই খবর অপহরণকারীরা কিভাবে জানতে পারলো তা বোঝার জন্য শার্লক হোমস হতে হয়না। সমাপ্তিটা অতি নাটকীয় হলেও খুশি মনে মেনে নিয়েছি।
পুরানো কেচ্ছা জুড়ে দিয়ে রাবারের মত টেনেটেনে গল্প লম্বা না করলেই বেশি ভাল লাগতো। অনায়াসে এই গল্প ভালোভাবে দেড়শ পাতায় শেষ করা যেতো। তখন রেটিং চারতারা দিতেও খারাপ লাগতো না।
এই বই দিয়ে ঢাকাই সিনেমা হবে। নাম হতে পারে 'বাবলু কেন অপরাধী' (যেখানে 'পোলা ও পোলা তুই অপরাধী রে' গানটা থিম সং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে) কিংবা 'বিদ্রোহী বাবলু'। পরিচালক অবশ্যই হবেন কাজী হায়াৎ, আর নায়ক কে হতে পারে কাজী মারুফ ছাড়া? বেয়াকুব পুলিশ ডিটেকটিভের চরিত্রে হেলাল খানকে কাস্ট করা যেতে পারে। ছিঁচকাঁদুনে নায়িকা হিসেবে কাকে মানাবে বুঝতে পারছি না, গত বছর দশেকের বাংলা সিনেমার নায়িকা সম্পর্কে আমার ভাল ধারণা নেই।
সাধারণত আমরা বিভিন্ন সিরিজে উপন্যাসের ভেতর ১০০-১৫০ পেজের কিছু উপন্যাসিকা দেখতে পাই। যা ওই সিরিজের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত না হলেও প্রধান কোনো চরিত্র, ঘটনা বা উভয় এর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখতে পাই। খুব ভালো করে খেয়াল করলে কনফেশন ঠিক তেমনই উপন্যাসিকা হতে গিয়ে উপন্যাস হয়ে ওঠার গল্প।
কনফেশন এ দুটি পার্ট আছে। যেখানে প্রথম পার্ট অনেকটা মেলোড্রামাটিক থ্রিলার আর পরের পার্টে রিপিট দোষে আক্রান্ত বাবলুর ডিটেইলস ব্যাকগ্রাউন্ড আর শেষে সিরিজ এবং বই এর দুই পার্ট এর কানেক্টেড হবার জন্য কিছু চ্যাপ্টার। যতটা এক্সপেক্টেশন সিরিজ থেকে ততটা না পেলেও আমি পুরোপুরি হতাশ না। তবে প্রথম পার্টে প্রয়োজনের থেকে বেশি মেলো ড্রামা অনেকের মত আমার চোখেও দৃষ্টি কটু লেগেছে, তবু লেখকের স্টোরি টেলিং ছিল অসাধারণ মানের যা লেখার অন্য খুত গুলো অনেকটা অভারকাম করেছে। পরবর্তী পার্টে দেখা গেছে বাবলুর ব্যাকগ্রাউন্ড এর ডেপথ এ যায় লেখক। এমনিতেই ক্যারেক্টার ডেভল্পমেন্ট অনেক স্ট্রং ছিল। তবু আবার ও পুরো পার্টে বাবলুর মনসত্বাত্তিক দিক টা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখাতে গিয়ে সিরিজের আগের বই গুলোর অনেক অংশ বার বার রিপিট করেছেন যেটা অপ্রয়োজনী বলে মনে হয়েছে।
সব মিলিয়ে লেখকের লেখনীর জোরে কনফেশন আমার খুব একটা খারাপ লাগেনি।
এই সিরিজের আগের তিনটি বইয়ের তুলনায় এটি আপেক্ষাকৃত ম্লান, তবে ভালমত পর্যবেক্ষণ করলে অনেক ইন্টারেস্টিং। বইয়ের শুরু থেকেই বাস্টার্ডের চরিত্রের 'সোশিওপ্যাথিক' একটি দিক ফুটে ওঠে, যা সম্পূর্ণই নতুন। ইন্টারোগেশন রুমে জেফরি বেগ ও বাস্টার্ডের সাক্ষাত এর আগে একবার হলেও পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে এবারই প্রথম। এর আগের বই গুলোতে জেফরি ও বাস্টার্ডের চেহারার মিলের কথা বলা হয়েছে, এই বইতে তাদের অতীত জীবনেরও কিছু মিল পাওয়া যায়, ভবিষ্যতে এদের মধ্যে 'Long Lost Brother' টাইপের কোন সম্পর্ক খুজে পাওয়া গেলে আমি অন্তত অবাক হবনা। নেক্সাসে ক্ষান্ত দেওয়ার পর কনফেশনে বাস্টার্ড আবারও জেফরি বেগ কে 'Outshine' করে। এবারের দ্বৈরথে বাস্টার্ড বিজয়ী হলে আবারো প্রশ্ন জাগে বইয়ের প্রধান চরিত্র কোনটি।
সিরাজুল ইসলাম নিউটন আবারও স্বরূপে ফিরেছেন অসাধারণ একটি কভার দিয়ে, ব্যাক কভারের Overlay Sketch দেখে প্রথমেই ইন্টারোগেশন রুমের কথা মাথায় আসে। ফ্রন্ট কভারটিও যথেষ্ট কমপ্যাক্ট। থ্রিলিং একটি কভার।
সবশেষে আমি বলব একক বই হিসেবে খুব একটা আহামরি কিছু না হলেও একটা সিরিজের জন্য এই বইটি একটি বিশেষ 'Turning Point' বা 'Junction' হিসেবেই কাজ করবে এবং এইটাও চোখ বন্ধ করে বলা যায় আমরা শেষ বারেরমত জেফরি-বাস্টার্ড দ্বৈরথ দেখিনি।
অতীত গল্পের পাতার কোনও এক মানুষের হঠাৎ আগমন বাবলুকে আবার জাগিয়ে তোলে বাস্টার্ড হিসেবে। কপালের ফেরে বেগ আর বাস্টার্ড আবার মুখোমুখি! এবার সময় গল্প বলার আর গল্প শোনার। বাবলু থেকে বাস্টার্ড হয়ে অন্ধকার জগতে প্রবেশের কনফেশন!! শেষটা নাটকীয় আর ধীরগতির হলেও শুরুর কাহিনীতে ছিল গতি আর একটু টুইস্ট। বেগ আর বাস্টার্ড এর যাত্রাটা একই ভাবে শুরু ,রাস্তা থেকে-শুধুমাত্র দুজন ভিন্ন মানুষের কাছে আশ্রয় পাবার কারণে একজন আলোর জগতে আর আরেক জনের বিচরণ অন্ধকারের দিকে।
এর আগে এই সিরিজের দুটো বই পড়া হয়েছে, তাদের তুলনায় কনফেশন এর ফিনিশিং আমাকে যথেস্ট আশাহত করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে কেন বার্স্টার্ড কে মাসুদরানা কিংবা জেমসবন্ডের মত বারবার মৃত্যুর মুখথেকে ফিরে আসতে হবে?
গুডরিডস এর এখনকার রেটিং টা একদম পারফেক্ট!! ৩.৫৪/৫ এইবারে থ্রিল এর তুলনায় আবেগের ঘনঘটা বেশি। আগমন ঘটে নতুন চরিত্রের, বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র বটে। নাম তো যথার্থই-তবে ভালোর দিক গুলো বললে শুরুর দিকে বেশ কিছু হালকা টুইস্ট।
শেষ দিকে থ্রিলিং ভাব আনতে চাইলেও কিছুটা বাংলা সিনেমা টাইপ হয়ে গিয়েছে- এ কথা অস্বীকার করব না। একটু হাই ক্লাস বাংলা সিনেমা আরকি।। আগেরগুলোর তুলনায় এটার প্লটটা খুব বেশি শক্তিশালী না...
কিন্তু আবেগের ব্যাপারে আমার তেমন খারাপ লাগেনি যার প্রধান কারণ সিরিজ হিসেবে পড়া...একটার সাথে আরেকটার যোগসূত্র হিসেবেই সিরিজে একটা নতুন সংযোজন বলা যায় "কনফেশন" কে।
কিন্তু যেহেতু আগেরগুলোর সাথে কানেক্টেড, সে হিসেবে কন্ট্রাক্ট এর অনেকগুলো বিষয়ের পুনরাবৃত্তি টা পড়ায় কিছুটা বিরক্তির উদ্রেক ঘটাতে পারে। কাহিনীর ফ্লো বজায় রাখতে মানা যায় যদিও :( তবুও
এবারে রমিজ লস্কর কে দেখতে পা���না আমরা, রেস্টে আছে মনে হয়। ধকল গিয়েছে আগের অপারেশনে বেশ। তবে এবার পাই ভাল একজন শ্যুটার *_*
যাইহোক, আমার কাছে এই সিরিজটা বিশেষ সুখকর। বেগ-বাস্টার্ড এর কাহিনী আমি বেশ উপভোগই করি, আর এ-ও আন্দাজ করেছিলাম এটা আগেরগুলোর মত সেইইরকম হবেনা; তাই এক্সপেকটেশনও এমনই ছিল। তবে প্রিয় হিসেবে এনজয়েবল!! সিরিজটা সাজেস্ট করব নতুন কিংবা অভিজ্ঞ সব থ্রিলার পাঠকদের :D
বাবলুর হাত ধরে মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল ওইসব কাজ ছেড়ে দিতে। বাবলুর জীবনের সব ঘটনা মেঘলাকে বলার পরেও মেয়েটা বাবলুকে ঘৃণা করতে পারেনি। কারণ ভালোবাসার কাছে সবকিছু হার মেনে যায়।
"সখি তোরা প্রেম করিও না, পিরিত ভালো না পিরিত করছে যে জন জানে সে জন পিরিতের কী বেদনা। প্রেম করে ভাসল সাগরে অনেকে পাইল না কূল জগৎ জুড়ে বাজে শোনো পিরিতের কলঙ্কের ঢোল দিতে গিয়ে প্রেমের মাশুল মান-কুলমান থাকে না"
বাবলু চায়নি মেয়েটাকে একটা অনিশ্চিত জীবন দিতে। বাবলু কলেজে পড়া অবস্থায় যে কাজের সাথে জড়িয়ে গেছে তাতে মা*মলা, পু*লিশ, আ*দালত সব মিলিয়ে বাবলুর জীবনে শুধু বিষাদ। তাই সে মেঘলাকে বলেছিল তাকে ভুলে বিয়ে করে সংসার শুরু করতে। মেঘলার সেই অশ্রুভেজা চোখ এখনো এক দুঃসহ স্মৃতি।
🍬 আবারো নিয়তি এনে দিলো কাছে 🍬
আনিকা তাবাসসুম দিলশাদ। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এহসান চৌধুরীর স্ত্রী। ফুটফুটে মেয়ে দিহানের মা। কিন্তু আজকে সে শুধুই মেঘলা। যাকে এই নামে শুধু একজনই ডাকতো। আজকে আবার তার সাথেই যোগাযোগ করতে হবে। দুজনের দেখা হয়েছিল আবার এক বিলাসবহুল রিসোর্টে। মেঘলা গিয়েছিল স্বামী, সন্তান নিয়ে অবকাশ যাপনে। আর বাবলু সেখানে আছে অমূল্য বাবুর কথামতো গা ঢাকা দিয়ে। সেখানেই দুজনের হঠাৎ দেখা। সেদিন কথা হয়নি কিন্তু আজ বাবলু রিসিপশন থেকে ফোন পেয়ে কথা শুরু করতেই অঝোর ধারায় কান্নার আওয়াজ শুনতে পেল মেঘলার। তার একমাত্র আদরের মেয়ে দিহানকে কেউ কি*ডন্যাপ করেছে। এবং মুক্তিপণ দাবি করেছে এক কোটি টাকা। মেয়েটিকে নিয়ে যে ড্রাইভার স্কুলে যাচ্ছিল তাকে গুলি করে খু*ন করে দিহানকে তুলে নিয়ে গেছে ওরা। মেঘলা কাঁদতে কাঁদতে বাবলুর সাহায্য চায়। কারণ মেঘলার বদ্ধমূল ধারণা টাকা দিলেও হয়তোবা তার মেয়েকে সে জীবিত ফিরে পাবে না।
🍬 আবার ফিরেছে বাস্টার্ড 🍬
কিন্তু সেই ভয়ানক পেশাদার খু*নি বাস্টার্ড আর আগের মতো নেই, উমার ভালোবাসা বদলে দিয়েছে তাকে। টাকার বিনিময়ে খু*ন করা ছেড়ে দিয়েছে সে। কিন্তু নিয়তির খেলা তাকে আবারও ফিরিয়ে এনেছে এ রাস্তায়। এবং এবার পুরনো প্রেমিকার জন্য। উদ্ধার করে আনতে হবে ছোট্ট দিহানকে। কিছু কিছু মানুষ না বুঝে যখন নিয়তি বেছে নেয় তখন নিয়তি তার পিছু ছাড়ে না। অমূল্য বাবুর এই কথাটাই যেন বাবলুর জন্য প্রযোজ্য। আবার তাকে খুঁজতে হবে অ*স্ত্র। যেতে হবে গোপন মিশনে। পু*লিশকে জানালে দিহানের বিপদ।
🍬 জেফরি বেগের দূরদর্শিতা 🍬
হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের কাছে একটা কেস আসে একজন গাড়ির ড্রাইভার গাড়ির মধ্যে খু*ন হয়েছে। জেফরি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নামে। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তারা। এবং খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এই গাড়িটি ব্যবসায়ী এহসান চৌধুরীর। এবং ড্রাইভার বাতেন তাদের বহু পুরনো ড্রাইভার। মিঃ চৌধুরীর সাথে কথা বলতে গিয়ে জেফরি লক্ষ্য করে তিনি যেন কিছু লুকাচ্ছেন। জেফরির সন্দেহ সত্যি হয় এক ভিক্ষুকের জবানবন্দীর ভিত্তিতে। মিঃ চৌধুরীর মেয়ে কি*ডন্যাপ হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্য তিনি সেটা লুকিয়ে গেলেন! কিন্তু জেফরি আইনের লোক হয়ে তো বসে থাকতে পারে না। জেফরি ঠিক করলো গোপনে তদন্ত চালিয়ে উদ্ধার করবে মিঃ চৌধুরীর মেয়েকে।
🍬 বেগ বাস্টার্ড মুখোমুখি 🍬
এর আগে বহুবার বেগ বাস্টার্ড একে অন্যের খুব কাছ থেকে সরে পড়েছে আবার। জেফরি অনেক চেষ্টা করেও আগেরবার বাস্টার্ড কে আটকে রাখতে পারেনি। কিন্তু এবার হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেশন রুমে বাস্টার্ড বসে আছে জেরার মুখে। ভাবছেন কীভাবে কী হলো? আরেকটা চমক তাহলে এই পর্যায়ে এসে পাবেন। কনফেশন। একজন পেশাদার খু*নির জীবনের কথা। শোনার পর নাহয় ভেবে নেবেন এই খু*নিকে আপনি সমবেদনা জানাবেন নাকি ঘৃণা করবেন।
🍬 পাঠ প্রতিক্রিয়া 🍬
"বেগ বাস্টার্ড" সিরিজ পড়তে পড়তে চলে এলাম সিরিজের চতুর্থ বই "কনফেশন" এ। কনফেশন কে অনেকেই কন্ট্রাক্ট এবং নেক্সাসের বর্ধিত অংশ বলেছেন। অনেকেই নাজিম ভাইকে কঠোর সমালোচনা করেছেন শুধু শুধু পৃষ্ঠা বাড়িয়ে বইটি লেখার জন্য। কিন্তু আমার কাছে এই বইটি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। সেটাই বলি এবার তাহলে।
শুরুতেই ভালো লাগার বিষয়গুলো বলি। এই বইয়ের কনফেশন অংশ নিয়ে অনেকের আপত্তি আছে। আগের বইয়ের বিষয়গুলো আবার রিপিট হয়েছে। কিন্তু আগের বইয়ের মতো কিন্তু বাবলুর জীবনের গল্প সংক্ষিপ্ত নয় বরং বিস্তৃত হিসেবে ব্যাখা করা হয়েছে। এবং এতে করে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলাম। যেটা আগের বইয়ে প্রশ্ন জেগেছিল মনে। আর এই কনফেশন বাবলু কেন দিয়েছিল সেটার উদ্দেশ্যেও কিন্তু নাজিম ভাই বেশ ভালোভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন।
বাবলুর স্মার্টনেস আবারো ভালো লাগলো। এই ছেলেটির উপস্থিত বুদ্ধি এত প্রখর! বড় বড় চৌকস অফিসারদের ঘোল খাওয়ানোর অংশটা দারুন ইনজয় করেছি। হ্যাঁ আমি বাবলুর পক্ষে। একটা পেশাদার খু*নির জন্য এই মায়াও নাজিম ভাইয়ের বর্ণনার কারণে সম্ভব হয়েছে। একটা নেগেটিভ চরিত্র এমনভাবে তিনি উপস্থাপন করেছেন যাতে বারবার বাবলুকেই ভালো লাগে আমার।
শুরু থেকে সিম্পল কি*ডন্যাপিংয়ের ঘটনা শেষে একটা দারুন টুইস্ট দিয়ে শেষ হয়েছে। আমার আসলে এই জন্য ভালো লেগেছে। বইটাকে আমি তাই একেবারে খারাপ বলতে পারছি না। সাবলীল ভাবে গল্প এগিয়েছে।
মেঘলা চরিত্রটি মায়াময়। বাবলুর জন্য তার ভালোবাসা দেখতে ভালো লেগেছে। শেষটায় মেঘলার আবেগ নাড়া দিয়েছে যেন। কিন্তু দুজনের আর এক হওয়া হলো না। এই বইয়ে অমূল্য বাবুকেও অনেকটা অন্য রুপে আবিষ্কার করলাম। সবসময় মনে হতো মানুষটা অনুভূতিহীন। কিন্তু আমাকে এই বইয়ে তিনি ভুল প্রমাণ করলেন।
এবার বলি আমার খারাপ লাগার বিষয়গুলো। শুরুতেই বলি উমা। উমাকে এভাবে জাস্ট ছোট্ট একটা সিচুয়েশনে ফেলে বাবলুর জীবন থেকে তাড়িয়ে দিলেন এটা আমার আসলে ভালো লাগেনি। কন্ট্রাক্টে উমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবলুর পাশাপাশি। উমার এই চলে যাওয়া মানতে পারলাম না। পরের বইগুলোতে উমা ফেরত আসুক অবশ্যই। পুরনো প্রেমিকার আগমনে উমাকে কেন জায়গা ছেড়ে দিতে হবে!
আর ওই যে সবার মতো বলবো যে কিছু কিছু বিষয় রিপিট ছিল কনফেশন অংশে ওইটা আমারও বিরক্তি লেগেছে। খুব ইন্টারেস্টিং প্লট নয় আগের বইগুলোর মতো। সাদামাটা কি*ডন্যাপিংয়ের ঘটনা। আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে এই অংশটি।
হোমিসাইডেও দেখলাম কিছু পরিবর্তন এনেছেন লেখক। তবে এটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। একটা ডিপার্টমেন্টে কী লোক কম থাকে। এই সিরিজ পড়তে হলে আপনাকে কাহিনীর প্লট বুঝতে হবে। তাই চরিত্রদের মুখে গালাগালি নিয়ে অভিযোগ করবেন না।
পরিশেষে বলবো নাহ আমি এই বই নিয়ে বিরক্ত না পুরোপুরি। কিছু বিষয়ের ব্যাখা কিন্তু বইয়েই আছে। তো অযথা পৃষ্ঠা বাড়িয়ে লেখা হয়েছে এই কথার সাথে পুরোপুরি একমত না আমি। সাদামাটা প্লট হলেও নাজিম ভাই চেষ্টা করেছেন শেষে একটা সুন্দর টুইস্ট দিয়ে শেষ করতে। আমার ভালো লেগেছে বইটি।
আমার রেটিং ৩.৫! খারাপ না, কিন্তু ভালোও না! বাস্টার্ডের কনফেশনের শুরুর কাহিনীগুলো আমারা কন্ট্রাক্টেই পড়েছি, সুতরাং ওই ঘটনাগুলোর এতো বিশদ বিবরণ দরকার ছিলো না। সিরিজের অন্য বইগুলোর তুলনায় একটু ভিন্নধর্মী হয়ে গিয়েছে। তবে চলে, অতিমাত্রায় খারাপ যাকে বলে তেমন কিছু না।
লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রচ্ছদঃ সিরাজুল ইসলাম নিউটন প্রকাশনীঃ বাতিঘর মূদ্রিত মূল্যঃ ৩৬০ টাকা
বদলে যেতে চেয়েছিলো পেশাদার খুনী বাস্টার্ড৷ কিন্তু যার নিয়তি বাঁধা খুনের মাঝে সে কি চাইলেও শোধরাতে পারে?? তাই আবারো সে মুখোমুখি হলো হোমিসাইড ডিটেকটিভ জেফরি বেগের। তবে এবার ছেড়ে কথা বলবে না ডিটেকটিভ। আবারো শুরু হওয়া চোর পুলিশের খেলায় নিজের জীবন নিয়েই সংশয়ে পড়ে গেলো পেশাদার খুনী বাস্টার্ড!!
#পর্যালোচনাঃ হতাশ!! এই একটাই অনুভূতি হয়েছে এই বইটা শেষ করার পর। Good, Great, Greatest মোটামুটি এই ক্রম অনুসারে সাজানো যায় সিরিজের প্রথম ৩টা বই কে। সেই তুলনায় সিরিজের ৪র্থ বইটা লাফ দিয়ে একেবারে Bad এর তালিকায় চলে গেছে আমার জন্য।
বইটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো একই কাহিনীকে নতুন করে Remaster করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে রিমাস্টার করার জন্য কাহিনীটা খুব বেশী পুরোনো ছিলো না। নেক্সাসের মতো সেই একই খুন, একই রকম ভাবে খুন থেকে কিডন্যাপিং কেস বের হওয়া, সেই একই ফোন ট্যাপিং!! ভিন্নতা এসেছে বইয়ের একদম মাঝ বরাবর এসে। আর সেই ভিন্নতাটা ছিলো আরো হতাশাজনক। কন্ট্রাক্ট এ পড়া বাস্টার্ড ওরফে বাবলু এর জীবন ইতিহাসের অনেকখানি আবারো তুলে আনা হয়েছে এই বইয়ে। সামান্য কিছু নতুন তথ্যের সংযোজন হলেও, মোটাদাগে জানা কাহিনী আবারো পড়তে গিয়ে বেশ বিরক্ত হয়েছি। 'বাস্টার্ডের জামিনে বের হওয়া নিয়ে চাকুরী ছেড়ে দিতে চেয়েছিলো জেফরি বেগ', এই লাইনটা সম্ভবত গত ২টা বইয়ে ৫/৬ বার আছে!! একেবারেই অযৌক্তিক ব্যাপার। অযথাই বইয়ের প্রায় ১০০/১৫০ পৃষ্টা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
এর বাইরেও খারাপ লাগার মতো ব্যাপার হলো জেফরি বেগের মতো একজন হায়ার ট্রেনিং প্রাপ্ত ক্ষুরধার মস্তিষ্কের গোয়েন্দা কি না বেশ কয়েক জায়গায় বোকার মতো আচরণ করলো। কিডন্যাপার ধরার জন্য যথারীতি ফোন ট্যাপিং ছাড়া তার মাথায় আর কোনো বুদ্ধিই কি নেই?? আর বাবলুও সেই সেইম কন্ট্রাক্টের মতো একই পুরান ঢাকার গলি ঘুরে বেড়াচ্ছে সূত্রের আশায় এটাও বিরক্ত লেগেছে। এছাড়া ইন্টারোগেশন রুমের যে চিত্র এখানে বাস্টার্ড এর কাহিনী বলে শেষ করা হয়েছে, সেটাও বেশ ম্যাড়মেড়ে মনে হয়েছে। এই জাতীয় সিকুয়েন্স গুলা বুদ্ধির খেলা হিসাবে বেশ সুন্দরভাবে ফুটানো যায়। অথচ এখানে সাদামাটা এক "কনফেশন" এর মাঝেই শেষ করা হয়েছে। এন্ডিংটাও হয়েছে অতি নাটকীয়, একেবারে ফিল্মী স্ক্রিপ্ট অনুসারে।
পুরো বইতে ভালো লাগার মতো সত্যি বলতে কিছুই ছিলো না। একদম নতুনত্ত্ব এবং বিশেষত্ব বিহীন বই। নিয়তি নিয়ে বলা একটা ফিলোসোফিক্যাল থিওরি ছাড়া আর কিছুই পাইনি এই বইয়ে। মনে হচ্ছে টাকা খরচ করে কন্ট্রাক্ট আর নেক্সাসের জোড়াতালি দেয়া একটা বই কিনেছি। যেটা পড়ে সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয়নি আমার।
#চরিত্রায়নঃ উমা নামের যে মেয়েটা কন্ট্রাক্টে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এমনকি নেক্সাসেও তার ছোটো ক্যামিওটুকু ছিলো বইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ। সেই উমা কে এখানে স্রেফ ছুড়ে ফেলা হলো। অথচ আমি মুখিয়ে ছিলাম উমা এবং রেবা চরিত্র দুটির ব্যাপারে আরো বেশী কিছু জানতে। আগের বইয়ের রমিজ লস্কর এখানে পুরোপুরি উধাও, সেই জায়গায় সৈকত নামের নতুন একজনের আগমন। জামানের ভূমিকাও তথৈবচ। না কিডন্যাপার, না দিহানের বাবা কাউকেই ভালোভাবে ইন্ট্রিডিউস করা হয়নি। দিহানের মায়ের চরিত্রটুকুই একমাত্র ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
#প্রোডাকশনঃ বেশকিছু বানান ভুল, তাও কি না নবম এডিশনে এসে!! এটা মানা যায় না। এডিশন শুধু বের করলেই হয় না, সেটার খুঁটিনাটি ভুল ভ্রান্তি গুলা শোধরাতেও হয়। প্রচ্ছদ মোটামুটি মানের। বাকী বাইন্ডিংস পেইজ কোয়ালিটি অবশ্য ভালোই ছিলো।
#রেটিংঃ ৫/১০ (কন্ট্রাক্ট আর নেক্সাস পড়ার পর ৫/৭ বছরের গ্যাপে এই বইটা পড়লে হয়তো ভালোই লাগবে। কিন্তু পিঠাপিঠি একদম নতুনত্ত্ব বিহীন বইটা সিরিজের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো কারন খুঁজে পাইনি আমি)
#পরিশিষ্টঃ নেমেসিস জেফরি বেগ এর, কন্ট্রাট বাস্টার্ডের, এরপর নেক্সাস আবার বেগ এর, এবার কনফেশনটা বাস্টার্ড এর করি, এই প্যাটার্ন ধরে রাখতে চাওয়াটা ভুল কিছু নয়। ভুল হলো প্যাটার্ন ধরতে গিয়ে জেফরি বেগ এর মতো গোয়েন্দাকে বেকুবের মতো উপস্থাপন করা। যেহেতু "করাচি" প্রিক্যুয়েল তাই আশা করবো "নেক্সট" এ এসে সকল আক্ষেপ মিটিয়ে দিবেন লেখক। শুধু সিরিজ কন্টিনিউ করার জন্য বই বের না করলেই ভালো হয়।
কাহিনীসংক্ষেপ : কাকড়াইল মোড়ের রাস্তায় দিনে-দুপুরে খুন হয়ে গেলো এক প্রাইভেট-কার ড্রাইভার বাতেন। গাড়ির মালিক এহসান চৌধুরী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। কেবল তাইই নয়, গাড়িতে ছিল এহসান চৌধুরীর ছোট্ট মেয়েটি। পুলিশের সাথে কথা বলার সময় এহসান চৌধুরী জানালেন বাতেন তাদের খুব কাছের একজন হওয়ায় স্ত্রী ও মেয়ে এই ঘটনায় ভেঙে পড়েছে, তারা বর্তমানে আছে তার শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু ঘটনা তদন্ত করে ও পরিস্থিতি দেখে পুলিশের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বুঝতে পারলেন কথাগুলো মোটেও সত্যি নয়। বরং এহসান চৌধুরীর মেয়েকে কিডন্যাপ করা হয়েছে।
যতোদ্রুত সম্ভব কাজে নেমে পড়লেন জেফরি বেগ। কিন্তু এদিকে এহসান চৌধুরীর স্ত্রী আনিকা ভরসা করার সিদ্ধান্ত নিলো অন্য একজনের উপর। কে সেই অন্য একজন? মানুষটি তার আশেপাশের লোকজনের কাছে পরিচিত বাস্টার্ড নামে, পেশায় সে একজন প্রফেশনাল খুনী। কিন্তু যাকে-তাকে সে খুন করে না, যে কেউ তার কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে আসতেও পারে না। তার আসল নাম বাবলু। কিন্তু আনিকার মেয়েকে উদ্ধার করার দায়িত্ব তার উপরে বর্তালো কেন? বাচ্চাটিকে উদ্ধার করার জন্য বাবলু কেন ঝুঁকি নিচ্ছে বিরাট ধরণের? আর আনিকার সাথেই বা তার সম্পর্ক কি?
পাঠ-প্রতিক্রিয়া : নাজিম উদ্দিনের বইগুলো আমার খুব একটার পর একটা পড়ে যাচ্ছি এমন কখনো হয় নি। তার একটা বই পড়ি, মাঝে অনেকদিন গ্যাপ দেই, অন্য বই পড়ি, তারপর আরেকটা পড়ি।
"কনফেশন" শুরু করেছি আজ দুপুরে ফিজিওলজি লেকচার ক্লাসে বসে 😛 এতোটাই চুম্বকের মতো টানছিল কাহিনী, প্রায় কোনো বিরতি না দিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার মাথায় শেষ করে ফেলেছি। চিন্তা করেছিলাম একটা ঘুম দিয়ে চাঙা হয়ে সুন্দর করে রিভিউ লিখবো। কিন্তু ব্যাপারটা হলো ঘুমের মধ্যে জেফরি বেগ, বাস্টার্ড আর আনিকাকে স্বপ্নে দেখলাম আর ঘুম থেকে ওঠার পর বইটা মাথায় আরো বেশি জেঁকে বসেছে। "গঠনমূলক সমালোচনা" মাথায় না এসে শুধু মুগ্ধতা ঘুরপাক খাচ্ছে, কেবল স্তুতি মাথায় আসছে।
জেফরি বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের প্রথম পড়া বই এটা আমার। বাবলু চরিত্রটা খুব খুব খুবই দারুণ ছিল, সাথে জেফরি বেগও। বাবলু যখন পুলিশ স্টেশনে বসে নিজের জীবনের কাহিনীগুলো বলছিল, জায়গাগুলো অত্যন্ত অসাধারণ। সাথে আনিকা চরিত্রের উপরও অদ্ভুত একটা মায়া কাজ করছে। অনেকে বলে সিরিজের অন্য বইগুলোর তুলনায় এটা কিছুটা ডাউন কিন্তু আমি এটাই প্রথম পড়ায় আমার কাছে যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে। উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। এন্ডিং ভালো লেগেছে। সর্বোপরি বাংলা ক্রাইম-থ্রিলার আমার কাছে বরাবরই খুব আবেদনময় ❤
বাবলুর ভাগ্যের পরিণতি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে! তবে অমূল্য বাবু যেভাবে চিন্তা করেন তা একদম সঠিক, free will না থাকলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের বিচার করতেন না। বাবলুর কিছু সিদ্ধান্ত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়!
"মানুষ নিয়তির দাস নয়। তবে প্রত্যেকের জন্যে অনেকগুলো নিয়তি বরাদ্দ থাকে। কেউ জেনেবুঝে বেছে নেয়, কেউ বেছে নেয় না বুঝে।"
বাবলুর নিয়তিটাও অদ্ভুত। যখন চেয়েছে অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে ঠিক তখনই নিয়তির ফেরে ফিরে যেতে হয় সেই জগতে। সিরিজের ৪ নাম্বার বই হিসাবে এটাতে থ্রিলের চেয়ে অতি নাটকীয়তা বেশি। সিনেমাটিক বলা যায়। এই বইয়ে ইনভেস্টিগেটর বেগ আর পেশাদার খু নি বাস্টার্ড আবারও মুখোমুখি। তবে এবার জেফ আর বাবলু হয়ে। কাহিনী দুই অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ একটা খু নের তদন্ত থেকে শুরু হয়। বের হয়ে আসে এর পেছনের কারণ কিড ন্যাপিং। খুব সহজেই কেইস সমাধান হয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে ধরা পরে যায় বাবলু। দ্বিতীয় অংশ এখান থেকেই শুরু। কনফেশন অফ আ মার্ডারার। বাবলু কিভাবে বাস্টার্ড হয়ে উঠে তার বর্ণনা। যদিও রিপিটেড মানে কন্ট্রাক্টে এসব ঘটনা আমরা পড়েছি। একবার আমার মনে হচ্ছিলো না দিলেও চলতো তবে এটা বাবলুর মনস্তাত্ত্বিক দিকটা তুলে ধরেছে। হয়তো পাঠকের মনে মায়ার সৃষ্টি হবে যেমন হয়েছিলো জেফের।
জেফ আর বাবলুর জীবনের শুরুটা একইরকম কিন্তু ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন পরিবেশ তাদের জীবন ও জীবনবোধকে দুই পথে নিয়ে গেছে।
শেষটা ওই যে বললাম সিনেমাটিক অনেক। এইটা দিয়ে একটা ভালো বাংলা সিনেমা হইতে পারে।
রিভিউ নাম:কনফেশন (বাস্টার্ড সিরিজ এর চতুর্থ বই) লেখক:মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রকাশনী :বাতিঘর মূল্য:৩০০ পেজ:৩১৬
পেশাদার খুনি বাস্টার্ড আর আগের মতো নেই,সে বদলে গেছে,টাকার বিনিময় আর সে খুন করে না,,,সব ছেড়ে দূরে একটি রিসোর্স এ বসবাস করে সে,, কিন্তু নিয়তি তাকে আবার একটি ভিন্ন কারনে দার করায়,আর সেই ঘটনার মীমাংসা করতে গিয়ে বাস্টার্ড ধরা পরে ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ এর হাতে,, তারপর বাস্টার্ড তার জীবনের সকল কনফেশন গুলো বলে ইনভেস্টিগেট রুমে জেফরির বিপরীত এ বসে। বাস্টার্ড এর জীবনের এমন কিকি ঘটনা যা তাকে বাবলু থেকে বাস্টার্ড এ পরিনত করেছে,,তাই আসে এই কনফেশন এর।
পাঠ প্রতিক্রিয়া : বাস্টার্ড সিরিজ এর চতুর্থ বই কনফেশন, আগের বইগুলোর তুলনায় এবারের পর্বটি একদম ভিন্ন। এখানে কনফেশন এর মাধ্যমে বাস্টার্ড এর অতিত জীবন এর স্মৃতিরোমন্থন হয়েছে। এবারের পর্বে দেখা যায় বাস্টার্ড এর একান্ত ব্যক্তিজীবন তার আলো আধারি মেশানো অতিত আর প্রথম আবেগ। যাকগে সে কথা, সিরিজ এর অন্য বইগুলোর মতো ওতোটা অ্যাকশন না থাকলেও এবারে পর্বে মূল অনুভুতি পাঠকে নাড়া দিবেই। হয়তবা শেষে এক ফোটা চোখের জল নিজের অজান্তেই গরিয়ে পরবে।। হয়তবা না।।।।।।
I am truly finished. Bastard a.k.a Bablu has stolen the spotlight completely, again. But Jeffry Beg was surprisingly, not annoying at all and very much capable in this story. I just don't like the fact that they parted ways like this. But it's fitting to their story too, isn't it?
I cannot wait for the reveal.... in the next story. Hopefully. ^_^ Cannot wait to see and feel their reaction. Both of them, actually. Wonder what happens if they find it out together? Hmph. Very interesting.
আগের তিনটার তুলনায় এটা তেমন একটা থ্রিলিং মনে হয় নি, তাছাড়া একই কথার পুনরাবৃত্তিতে বোধকরি একটু বিরক্তই হয়েছিলাম, বিশেষ করে জেফরি বেগ চাকরি ছেড়ে দিতে গিয়েছিলো কিন্তু মহাপরিচালক......... সব দিক বিবেচনায় নিলে ভালোই ছিল।আপাতত ৩/৫
একটু সিনেমেটিক টাইপ। বেশি বেশি সবকিছু এক্সপ্লেইন করতে গেসেন লেখক। দেড়শ পাতার মধ্যেই সবকিছু শেষ করতে পারলে রেটিং বাড়তো বইয়ের। Overall, not good not bad.
বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের ৪র্থ বই এটি। এই সিরিজের পূর্বের বইগুলোর তুলনায় এই বইটা আমাকে অনেকটা হতাশ করেছে। অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এতে থ্রিল,রহস্য, সাসপেন্স এর ঘাটতি ছিলো।
এটি মূলত বাস্টার্ড এর অতীতের অজানা কাহিনিগুলোর,অপরাধগুলোর কনফেশন ছিলো। কিভাবে সে এই অন্ধকার পথে পা বাড়ালো,কেন সে এইসব খুনের কাজে জড়িয়ে গেলো আরো অনেক অতীত টেনে আনা হয়েছে বইটিতে।
বাস্টার্ড এর প্রাক্তন মেঘলার একমাত্র মেয়েকে অপহারণকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে যেয়ে বাস্টার্ড জেফরির হাতে ধরা পড়ে যায়। তারপর তাকে ইন্টারোগেশন রুমে নিয়ে তার অতীত জানার কৌতুহল প্রদর্শন করে ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। তারপর শুরু হয় তার অন্ধকারময় অতীতের স্বীকারোক্তি।
বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে আগের বইগুলো থেকে অনেক কিছুই রিপিট করা হয়েছে।
আর বাস্টার্ড এর কই মাছের জানের কথা তো নাইই বললাম! এতো গুলি খেলো! এতো এতো মানুষের কাছে হকিস্টিক,লাঠি দিয়ে গণপিটানি খাওয়ার পরও সে চারদিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে যায়! আরেকটা বিরক্তিকর দিক হচ্ছে লেখক বাস্টার্ড এর বর্ণনা দিতে যেয়ে দেবদূত শব্দটা যে কতোবার ব্যবহার করেছেন তার হিসেব নেই!
মেঘলার চরিত্রটা ভালো লাগেনি এই কারণে যে সে তার এতো সুন্দর সংসার,বাচ্চা,হাসবেন্ড রেখে কেনো এখনো তার প্রাক্তন বাস্টার্ড এর পিছে পড়ে আছে! কেনোইবা এতো পিরিতি কথাবার্তা বলা লাগবে আর কেনোইবা বাস্টার্ড এর সাথে এতো ঢলাঢলি করতে হবে এখন! সে এখন সুধুই তার অতীত। তার উচিত বর্তমানে ফোকাস করা।
আর বেচারা বাস্টার্ড যাকেই ভালোবাসে তাকেই হারিয়ে ফেলে। ওর অতীত শুনে কিছুটা মায়া লেগেছে আবার বিরক্ত ও লেগেছে। অ���িরিক্ত নাটকীয়তা লেগেছে আমার কাছে। একজন ছেলে একসাথে একাধিক মেয়েকে ভালো বাসতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ লেখক বাস্টার্ড এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন। এই ব্যাপারটা আমার কাছে মোটেই ভালো লাগেনি ।
অন্যদিকে জেফরি আর রেবার ভালোবাসাটাই নিখাঁদ লেগেছে। এডলিন ডি কোস্টা অনেক চেষ্টা করেও জেফরির কাছে ঘেষতে পারেনি জেফরির রেবার প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার কারণে। এই ব্যাপারটা সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।
তবে অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এই বইটার ভালো দিক হচ্ছে এতে কোনো এ*ডাল্ট কথাবার্তা, অশ্লীল গালিগালাজ খুব একটা চোখে পড়েনি।লেখক একটি কাহিনির সাথে আরেকটি কাহিনির সংযোগ খুব সুন্দরভাবে ঘটিয়েছেন।
This entire review has been hidden because of spoilers.
বেগ-বাস্টার্ড সিরিজে ক্রমানুযায়ী প্রত্যেকটি বইয়ে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ বাড়তে থাকছিল। এই বইয়ে তার জায়গায় বেশিরভাগ জায়গা নিয়ে আছে নাটকীয়তা। একটু অদ্ভুত লেগেছে।
বইটি কি একদমই বেকার? একেবারেই না। অন্যগুলির থেকে হতাশাজনক? একটু খানি।
🌟 গল্পের শুরুতে আবার জেফরি বেগ তার স্বাভাবিক ছন্দে এসে গেছেন। তিনি রেড সিগন্যালে অপেক্ষা করছেন, আর সবাই নিয়মভঙ্গ করে তাকে পেরিয়ে চলে যাচ্ছেন। ওদিকে বাস্টার্ডও একই রকম অবস্থায়। খুন খারাবি ছেড়ে চলে আসতে চাইলেও তাকে নেমে পড়তে হয় আবার এক মিশনে।
মিশনটি এমন কিছু না। একদল একান্তই মামুলি কিডন্যাপার, তাদেরকে সামলাতে হবে। তবে মূল মজা গল্পের শেষ অর্ধেকে। কিন্তু তাও ঠিক জমেনি। আগের বইয়ে পড়েছি এমন বাস্টার্ডের ছোটবেলার কিছু ইতিহাস আবার রং চড়িয়ে পরিবেশন করা হয়েছে।
🌀 বেগ-বাস্টার্ড সিরিজের সেই উত্তেজনা, রহস্য, বুদ্ধিযুদ্ধ অনেকটাই মিসিং। শেষে ওই বাস্টার্ডের পালিয়ে যাওয়াটাও খুব গতে বাঁধা ধরনের। ভালো লাগেনি তাই।
জেফরি বেগও অল্প আধটু বুদ্ধির চমক দেখালেও সেই ব্যাপারটা নেই। আসলে আগের পার্ট গুলো পড়ে এক্সপেক্টেশন আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছিল, তার সাইড এফেক্ট হয়তো। 🤷🏻♂️
🌀 যাই হোক, সিরিজটা ধরে ফেললে অবশ্যই পড়ে ফেলুন। এই সিরিজে প্রাপ্তি বলতে এখানে বাস্টার্ডের চরিত্রের নতুন একটা স্তর সামনে আসবে। সে কেন এরকম, সে ঠিক ঠিক কিসের কিসের মাঝ দিয়ে নিজের নৈতিকতার দাগ টানে ইত্যাদি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। তার জন্য এই বই পড়তে পারেন।
▪️মানুষের নিয়তি অনেক বড় বিষয়। বলা হয়ে থাকে মানুষের নিয়তিতে যা লেখা থাকে তাই নাকি ঘটে। কিন্তু প্রার্থনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেও নিয়তির মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা সম্ভব। আসলে মানুষের অনেকগুলো নিয়তি থাকে এবং সেখান থেকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা রয়েছে প্রত্যেকের। সৃষ্টিকর্তা অন্তত এই স্বাধীনতাটি দিয়েছেন, নইলে মানবসন্তানের কৃতকর্মের বিচার তিনি কিভাবে করবেন?
▪️ একই সময়ে জন্মগ্রহণ করা দুই ব্যাক্তি। অবাক করা বিষয় হলো দুজনেই একই পরিস্থিতির স্বীকার অর্থাৎ তাদের কুড়িয়ে পাওয়া গিয়েছে । এতো বড় মিল থাকলেও নিয়তির কারণে তাদের পরিণতির মধ্যেই অনেক বড় অমিল বিদ্যমান। একজন দেশের সেবার নিয়োজিত অন্যজন পেশাদার খু'নি। সেই খু'নি ব্যাক্তি বাস্টার্ড এর জীবনবৃত্তান্ত ও কনফেশন ফুটে ওঠেছে উক্ত বইটিতে।
▪️ বরাবরের মতো জেফরি ও বাবলুর মধ্যে ইঁদুর বিড়ালের কর্মকান্ড। কিন্তু এবার আর তাকে ধরতে হয় নি। বাবলু নিজে থেকে ধরা দিয়েছে। আবার যখন সব বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়ে যাবে তখনই আবার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায়। নাজিম উদ্দিনের আরো একটি একশন ও থ্রিলারের কম্বিনেশন হলো 'কনফেশন'।
বাস্টার্ডের সেকেন্ড গার্লফ্রেন্ড এর উদয়টা একটু বেশি ড্রামাটিক হয়ে গেল 😒 বেশি বেশি।
কনফেশনে মূলত আগের বেশ কিছু কাহিনীর রিপিটেশন হয়েছে। বাস্টার্ডের আগের জীবন সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা করার চেষ্টায় একই গল্পের পুনরাবৃত্তিতে যেমন বিরক্তি উদয় করেছে তেমনি শুধু শুধুই কাহিনী টেনে বড় হয়েছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
"নিয়তি আসলে সমগ্র মানুষের কর্মফলের একটি বাইপ্রোডাক্ট। চক্রকারে এটা আবার মানুষের কর্মকাণ্ড আর জীবন-যাপনে প্রভাব ফেলে। এভাবেই নিয়তির খেলা অব্যাহত আছে। মানবসভ্যতার অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত একটা চলবে।"
তবে এই পর্বের "কনফেশন অব এ্যা কিলার" নিজেই তার নিয়তি বেছে নিয়েছে বারাবরের মতন।
গল্পের শুরুতেই খুন, যথারীতি ইনভেস্টিগেট জেফরি বেগের আগমন। কিন্তু তদন্ত খতিয়ে দেখা যায় এ শুধুই হত্যাকান্ড নয়, কিডন্যাপিং কেস। অন্য দিকে বদলে যেতে চেয়েছিলো পেশাদার খুনি বাস্টার্ড। কিন্তু যে নিয়তি সে নিজেই বেছে নিয়েছে তার থেকে মুক্তি কই? হতে পারে আবেগের তাড়নায় কিংবা ভাগ্যের পরিহাসেই ফিরে আসে পুরানো পেশায়।
গল্পের এই পর্যায় উমার সাথে বাস্টার্ডের বিচ্ছেদ ঘটে। একান্তই ব্যক্তিগত কারণে এডিস-সন্ত্রাসীকে আগুনে পুড়িয়ে মারে। তারপর নিজ অবস্থানরত স্থানে ফিরে আসে। তবে অতীতের বুঝি অতীত থাকে? বহুদিন আগে হারিয়ে যাওয়া অতীত "মেঘলা" ফিরে আসে বাস্টার্ডের জীবনে। অতীত কখনো সুখ বয়ে আনে না। মেঘলার একমাত্র মেয়ে দিহান কিডন্যাপিং হয়। পুরানো সম্পর্কের অধীকারে সাহায্য চায় বাস্টার্ডের কাছে। শুরু হয় মিশন।
সেই সূত্রেই আবার দেখা জেফরি বেগ - বাস্টার্ডের। মিশনের এই পর্যায় ধরা পরে যায় বাস্টার্ড। মূল কাহিনী গল্পের শেষ অর্ধেক। তবে এবার থ্রিলারের চাইতে আবেগ বেশি। "কন্ট্রাক্ট " এ পড়া পেশাদার খুনি বাস্টার্ড ওরফে বাবলুর জীবন কাহিনীই পুরনাবৃত্তি হয়। বাস্টার্ডের জীবনের উত্থানপতন নিয়ে গল্প বলে যায় জেফরি বেগের কাছে। গল্পের শেষে একটু থ্রিলিং আনার চেষ্টা করলেও কেমন সিনেমেটিক হয়ে যায়।
যাই হোক আমার কাছে বেশ লেগেছে। নেমিসেস, কন্ট্রাক্ট, নেক্সাসের মত টানটান উত্তেজনা নেই, কাহিনীও তেমন আহামরি নয়। তবে কনফেশন পড়ে মনে হচ্ছে বাস্টার্ড চরিত্রটি সামনে আরো স্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে। জেফরি বেগ আর বাস্টার্ডের বিড়াল ইঁদুর দৌড় খোলার শেষটা জানার অপেক্ষায় আছি।
অনেক আলসেমি করে বইটা শেষ করলাম। জেফরি বেগ-বাস্টার্ড series এর অন্যগুলোর তুলনায় এটা একটু ফিকে লেগেছে। তবে, বাবলু আর বেগের জীবনের প্রারম্ভিক সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য, বাবলুর এই পথ বেছে নেয়া, এসব পড়তে ভালো লেগেছে।