Nalini Das নলিনী দাশ (1916 - 1993) was a Bengali writer. She was one of the managing editors of the Pioneering Bengali children's magazine Sandesh. Nalini Das created a series about popular female detective group of Bengali literature. The Goenda Gondalu , are story of adventures where four young schoolgirls solve mysteries.
From 1964 till her death in 1993, she was one of the three editors of the Bengali children's magazine Sandesh, which operated out of her home. Along with her elder sister, Kalyani Karlekar, in the 1930s and 1940s she edited a Bengali a women's magazine Meyeder Katha. She wrote a book about the childhood days of her brother Satyajit Ray, Shaat Rajar Dhon Ek Manik. She edited children's books along with Lila Majumdar and Ray.
মাতাঠাকুরানী পূণ্যলতার ছেলেবেলার দিনগুলির মতো রস টুপটুপে ভাষার আরাম না থাকলেও ভাই মানিককে নিয়ে নলিনী দাশের এই বইয়ে রয়েছে ছোট্ট মানিকের ছেলেবেলার দূলর্ভ সব ছবি! সন্দেশ সম্পাদকের সাত রাজার ধন এক মানিক এর চাইতে এ খানা তূুলনামৃূলক সুপাঠ্য।
ফেলুদা আঁকা শখের সংগ্রহ শাড়ির সাথে মিলিয়ে সপ্তাহান্তের উপহার হিসেবে পুস্তকখানি উপহার দেওয়ায় গামাই ভদ্রলোকও ধন্যবাদার্হ।
সত্যজিৎ এর শৈশব এর গল্প পড়ে খুব ভালো লাগল। এমন সমৃদ্ধ শৈশব যিনি পেয়েছেন তাঁর জীবন পরবর্তীতেও অসাধারণ হবে এটা আর আশ্চর্যের কী? মানিক নিজে যেমন রত্ন ছিলেন, তাঁর সাহচর্যে যাঁরা ছিলেন তাঁরাও তো অসম্ভব মেধাবী এবং গুণী ছিলেন৷ সমস্তকিছু নিয়েই সাত রাজার ধন এক মানিক আমাদের সত্যজিৎ রায়।
নলিনী দাশ যার পরিচয় পর্বের ঘনঘটা এতটাই গভীর আর শক্তপোক্ত যে রায় পরিবারের নামের মোড়কে পূন্যলতা দেবীর তনয়া পরিচয়ের তরু হিসেবে তাকে পরগাছা না করে,সুকুমার সত্যজিৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর মতো বিশাল মহীরুহদের আড়ালের অতলান্তে না হারিয়ে বরং মাতুলালয়ের ;স্বভাবসুলভ সরস সুন্দর সুললিত সৌষ্ঠব সৌন্দর্যের গুনগুলো সহজাত প্রবৃত্তি হিসেবে প্রকৃতি দেবীর কাছ থেকে বরদান রূপে পেয়েছেন।
তার লেখনীর শব্দগুলো ইউ রায় এ্যান্ড সন্সের সাথে আশেপাশের সব মানুষকে নিয়ে শৈশবস্মৃতির যে রোমন্থন করেছেন তা শুধু বইয়ের পাতায় শব্দবদ্ধ কয়েকটা কালির আঁচড়ে বন্দী না থেকে সৌরভ ছড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ পাঠকের বাস্তবের পাট পেরিয়ে মনের চৌকাঠে এক দৃঢ় অথচ মধুর আসনে।
গল্পের নামে মনে হবে এ শুধু মাত্র "তাতা"ওরফে সুকুমারের সুযোগ্য সুপুত্র সুকুমারের সুকীর্তী নিয়ে সবটা লেখা, কিন্তু পড়ার পরেই এই ভ্রম সমীকরণে শুদ্ধতা আসে।
এ গল্প শব্দ শুধু মানিকের জন্য বরাদ্দ নহে,পুরো রায় পরিবারের প্রতিটি সদস্যের যথাসম্ভব বিস্তারে বর্ননা না পেলে ও ভালো লেগে ভালোবাসার উপাদানে ভরপুর শুরু থেকে শেষ অবধি।
আক্ষেপ শুধু একটাই পাঁচটি তারা পাওয়ার মতো এ স্মৃতিকথায় একই কথা বারবারে প্রতি পাতায় ফিরে আসার জন্য পুনরাবৃত্তি বাহুল্য দোষে দোষী মেনে একটি তারা শূন্য রেখে রিভিউ খানি এখনকার মতো সমাপ্তির পথে পাঠিয়ে দিলুম।
রায় বাড়ির দৌহিত্রী ছিলেন নলিনী দাশ। উপেন্দ্রকিশোরের মেজো মেয়ে পূণ্যলতা চক্রবর্তীর মেয়ে নলিনী দাশ সম্পর্কে ছিলেন সত্যজিতের পিসতুতো দিদি। বয়সের কিছু ফারাক থাকলেও দুজনের ছেলেবেলার অনেক স্মৃতি আছে একসাথে। নলিনী দাশের বাবা ছিলেন বিহার সরকারের একজন ম্যাজিস্ট্রেট। বিহারের বিভিন্ন শহরে তাদের ছেলেবেলা কেটেছে। মায়ের সাথে বা একাও সত্যজিত প্রায়ই চলে যেতেন তার পিসির বাড়িতে। আনন্দময় কিছু সময় কাটতো সবাই মিলে। তাছাড়া কলকাতার স্মৃতিও তো ছিলই। তবে যারা সত্যজিতের, পূণ্যলতার কিংবা লীলা মজুমদারের শৈশব স্মৃতিগুলো পড়ে ফেলেছেন এই বইয়ে তারা কতোগুলো নতুন ছবি আর চিঠির কপি ছাড়া কিছুই পাবেন না। নলিনী দাশ সত্যজিতের ছেলেবেলার কাহিনীকে মূখ্য হিসেবে গ্রহণ না করে নিজের ছেলেবেলার কাহিনী যদি লিখতেন তবে তা আরও সাবলীল হতো বলেই আমার ধারণা। তাছাড়া সত্যজিতের ছেলেবেলা সেখানে এমনিতেই আসতো। লেখিকার লেখার হাত যদিও রায় বাড়ির অন্যদের মতো পরিণত না, তবু আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন সত্যজিতের না জানা অনেক কথা জানার জন্য।